বিএনপি নেতা সাজুর তত্ত্বাবধানে বিজয় দিবস র্যালিতে বিপুল নেতাকর্মীর অংশগ্রহন
ঢাকা-১৪ আসনের বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ও দারুসসালাম থানা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস
সরকারের হস্তক্ষেপে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না বলে অভিযোগ করে নিজের মামলায় ন্যায়বিচার না পাওয়ার আশঙ্কা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে দেয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন খালেদা জিয়া।
তিনি প্রথমেই প্রশ্ন তুলে বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের মামলার বিচারকার্য যেখানে করা হয়েছে, সেখানে আমার মামলার বিচার কেন করা হচ্ছে?
খালেদা জিয়া বলেন, আমার বিরুদ্ধে আরও যেসব মামলা করা হয়েছে সেগুলো অন্য আদালতে বিচারাধীন হলেও এ দুটি মামলা এখানে আনা হল কেন? এর মাধ্যমে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশ্য হল বিচারের নামে আমাকে জনসমক্ষে হেনস্থা ও অপমান করা।
তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি থেকেই প্রমাণিত হয়, সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আমার মামলার কাজ এখানে চালাচ্ছে।
এ ধরনের আচরণকে স্বাধীন বিচারের অন্তরায় উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আমাকে এভাবে হেনস্থা ও অসম্মান করার প্রতিকার কোথায় পাব?
নিম্ন আদালতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ থাকায় বিচারকরা যথাযথভাবে বিচার করতে পারছেন না বলে মন্তব্য করে খালেদা জিয়া বলেন, বকশীবাজার কোর্ট ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দীনের শাসনামলের কোর্টের মতো।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের সঙ্গে সরকারের বিরোধ প্রকাশ্য হয়েছে। এ সময় প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বক্তব্য উদ্ধৃত করে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের হাত-পা বাঁধা। আর এ কারণে আমার মামলায় ন্যায়বিচার হবে কিনা তা নিয়ে মানুষের মনে সংশয় আছে।
তিনি আরও বলেন, মামলায় বিচারের নামে হয়রানি ও হেনস্থার শিকার হচ্ছি। বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিশেষ আদালতে আংশিক বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এ সময় আদালতে বেগম জিয়া বলেন, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে মামলা দেয়া হয়েছে। মামলায় দুদকের স্ববিরোধী বক্তব্যে ভরপুর। এ মামলা দুদকের আইনগত কর্তৃত্ব ও এখতিয়ারের বাইরে।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, মামলায় বিচারের নামে দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি ও হেনস্থার শিকার হচ্ছি। আমার স্বাভাবিক জীবন-যাপন ব্যাহত হচ্ছে।
পরে আদালতে সময় আবেদন করা হয়। আদালত মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৬ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।