Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সীমান্তের গ্রামে মাদকের ভয়াল থাবা

| প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা : মাদকে পাঁচবিবি সীমান্তের গ্রামগুলি। হাত বাড়ালেই মিলবে মাদক, ফেনসিডিল, ইয়াবা, হেরোইন আর গাঁজা। প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে আসছে মাদক সেবী যুবকরা। আসছে মটরসাইকেল, কার-মাইক্রোবাস এবং দূরপাল্লার কোচ। মাদক সেবনে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, স্থানীয় যুবকরাও আসক্ত হয়ে পড়ছে।
জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি সীমান্তের শেষ প্রান্তের ভারত ঘেঁষা আটাপাড়া, চেঁচড়া বাগজানা, রতনপুর এলাকা গুলোতে মাদকের বিপুল ছড়াছড়ি। সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশের এই গ্রামগুলিতে ভারতীয় মাদক মওজুদ করা হচ্ছে। দিবারাত্রি বিভিন্ন কৌশলে ভারত থেকে আনা মাদকের চালান দেশের বিভিন স্থানে প্রেরন করার পাশাপাশি স্থানীয়দের ভাল বেচাকেনা হচ্ছে। আটাপাড়া সীমান্তের বাগজানা উত্তর কৃষ্ণপুর, উত্তর গোপালপুর এবং আটাপাড়া রেলগেটে ফেরি করে বিক্রি হচ্ছে মাদক দ্রব্য। ব্যবহার করা হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তি। মাদক সেবীরা পৌঁছার পূর্বে বিক্রেতাদের সঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ করে স্থান নির্ধারণ করে নেয়। মাদক সেবীরা সেই স্থানে পৌঁছে নিরাপদে সেবন করে বিদায় নিচ্ছে।
এলাকা ঘুরে দেখা যায় সীমান্তের গ্রাম গুলিতে কার- মাইক্রোবাস, মটর সাইকেল নিয়ে এসে নিরাপদ স্থানে দাঁড় করিয়ে রাখে। নির্ধারিত স্থানে পৌঁছে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মাদক ব্যবসায়ীরা সেই স্থানে মাদক দ্রব্য পৌঁছে দিচ্ছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। সীমান্তের গ্রামের দোকানীরা অনেকে এ পেশায় সঙ্গে জড়িত। মাদক ব্যবসায়ীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। এদের প্রত্যেকেরই আছে দামী মটর সাইকেল। অনেক ব্যবসায়ী পাশের গ্রামের হওয়ায় মটর সাইকেলে মাদক বহন করে আাটাপাড়া রেলগেটের পার্শ্বে নিরাপদ স্থানে মওজুদ করে । মাঝেমধ্যে আইওয়াসের জন্য কর্র্তৃপক্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও আইনের ফাঁকফোঁকর দিয়ে জামিনে এসে এলাকায় আবারও মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে।
অবৈধ মাদক বিক্রি করা আর হাতের কাছে পাওয়ায় স্থানীয় অভিভাবকমহল সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন। মাঝে মধ্যে অভিযানের নামে মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করলেও আন্তরিকতা না থাকায় বন্ধ করা যাচ্ছে না। প্রতিনিয়ত কার-মাইক্রোবাস আর মোটর সাইকেল আরোহিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে পারলে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে এলাকাবাসী মনে করেন। পাশাপাশি সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে অভিভাবকদের উদ্বেগ, উৎকন্ঠা কিছুটা হলেও কমে আসবে। অবিলম্বে মাদক বিরোধী অভিযান জোরদার করার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ