বরখাস্ত কর্মকর্তা চাকরিতে কীভাবে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট
রীড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় অদক্ষতা ও অযোগ্যতার দায়ে ঔষধ প্রশাসন থেকে বরখাস্ত এক কর্মকর্তা কীভাবে এখনও চাকরিতে আছেন- তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ঔষধ প্রশাসনের মহাপরিচালককে এক সপ্তাহের মধ্যে এর ব্যাখ্যা দিতে বলেছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, রীড ফার্মার ভেজাল প্যারাসিটামল সিরাপ খেয়ে ২৮ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় অদক্ষতা ও অযোগ্যতার দায়ে ঔষধ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে আদালতের নির্দেশে বরখাস্ত করা হয়েছিল। দুই কর্মকর্তার মধ্যে ওষুধ প্রশাসনের সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম তথ্য গোপন করে বরখাস্তের আদেশের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক আপিল ট্রাইব্যুনাল-১ এ আবেদন করেন। এরপর ট্রাইব্যুনাল বরখাস্তেরর আদেশ স্থগিত করে। এর মধ্যে তিনি কাজও শুরু করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ইনকিলাবকে বলেন, হাইকোর্ট তার কাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ট্রাইব্যুনালের আদেশ স্থগিত করেছে। বরখাস্ত হওয়ার পর শফিকুল ইসলাম আবার কীভাবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন বা কীভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, তা এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। আদালত বিষয়টি আগামী ২৬ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছে। ২০০৯ সালের জুন থেকে আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সারা দেশে ২৮টি শিশুর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করলেও তাদের সবাই খালাস পেয়ে যান।
ঢাকার ঔষধ আদালতের বিচারক আতোয়ার রহমান গত বছরের ২৮ নভেম্বর ওই রায়ে বলেন, মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তখনকার সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালকের অযোগ্যতা ও অদক্ষতার কারণে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
আদালতের ওই রায় আসার পরও ঔষধ প্রশাসনের দুই কর্মকর্তার পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ হাইকোর্টে গেলে স্বাস্থ্য সচিব প্রথমে জানান, ওই দুই কর্মকর্তাকে সতর্ক করা হয়েছে। পরে আদালতের আদেশে ২৪ অগাস্ট আরেক বরখাস্ত করার কথা জানানো হয় আদালতকে।