Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভুরুঙ্গামারীতে ভুয়া শিক্ষার্থী দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলনের অভিযোগ

| প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভুরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : ভুরুঙ্গামারীতে স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক কর্তৃক ভুয়া ছাত্রছাত্রীর তালিকা দেখিয়ে উপবৃত্তি, বই ও বিস্কুট উত্তোলন করার অভিযোগ প্রেরণের দুই মাস পেরিয়ে গেলেও রহস্যজনক কারণে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে না শিক্ষা বিভাগ।
জানা গেছে, উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ১ নং পরশুরামেরকুটি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসাটি স্থাপনের পর সরকার কর্তৃক পাঠদানের অনুমতি প্রাপ্তির পর থেকে উক্ত মাদরাসার প্রধান শিক্ষক নওসাদ আলী সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে নিজ ইচ্ছামতো মাদরাসাটির পরিচালনা করায় মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম ভেঙে পড়ে কোমলমতি শিশুরা শিক্ষা লাভ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
সরেজমিনে তদন্তে জানা যায়, মাদরাসাটির নিয়মিত ক্লাস হয় না এবং প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যেই পাঠদান সমাপ্ত করে এতে করে পড়াশোনার চরম ব্যাঘাত ঘটছে। শুধু তাই নয়, মাদরাসায় ৪০-৫০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করলেও প্রধান শিক্ষকের কারসাজিতে ২৫০-৩০০ জন ছাত্রছাত্রীর উপবৃত্তির তালিকা করে সরকারি বই এবং বিস্কুট উত্তোলন করে প্রধান শিক্ষক নিজেই আত্মসাৎ করে আসছে। ছাত্রছাত্রীদের লেখাপড়ার বিষয়ে অভিভাবকরা শিক্ষকদের কিছু বলতে গেলে ওই প্রধান শিক্ষক দাম্ভিকতার সঙ্গে তাদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলেন, সরকার আমাদের কোনো বেতন-ভাতা দেয় না, তাই আমরা ঠিকমতো ক্লাস নিতে পারি না। কেউ কিছু বলে লাভ নেই। পরে এলাকার প্রায় অর্ধশতাধিক অভিভাবক ওই প্রধান শিক্ষক নওসাদ আলীর বিরুদ্ধে উপবৃত্তি, বিস্কুট ও বই বিক্রির অভিযোগে গত ৮ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও রহস্যজনক কারণে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জ্যোতির্ময় সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অফিসের বাইরে থাকায় অভিযোগের বিষয়টি স্মরণ করতে পারছি না। এলাকাবাসী অনতিবিলম্বে সরেজমিন তদন্ত করে ভুয়া ছাত্রছাত্রীদের নামে উপবৃত্তি, বিস্কুট ও বই প্রদান বন্ধ করে মাদরাসাটির শিক্ষাকার্যক্রম গতিশীল করতে শিক্ষামন্ত্রীসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ