Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষক জসিম হাজতে

ডাক্তারি রিপোর্টের অনিয়মের প্রতিবাদে শেরপুরে মানববন্ধন

| প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা : শেরপুরের দশকাহনীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর শেরপুর হাসপাতালে ভর্তি করলে, তাকে মেডিক্যাল পরীক্ষা ছাড়াই ছাড়পত্র প্রদান ও ঘটনার তিন দিন পর মেডিক্যাল পরীক্ষা করে আলামত নষ্টের চেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধনসহ জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। গতকাল সকালে শহরের নিউমার্কেট সড়কে হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের শেরপুর জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত ওই মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি এসএম শহীদুল ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এম এ মাসুদ ও ধর্ষিতার হতদরিদ্র পিতা। ওইসময় একাত্মতা পোষণ করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার জিন্নাত আলী, কবি সংঘ’র সভাপতি তালাত মাহমুদ, জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মো. মেরাজ উদ্দিন, দুদকের পিপি এডভোকেট মোখলেসুর রহমান জীবন, জেলা মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম হোসেন, কেন্দ্রীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির প্রচার সম্পাদক খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, হেরুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রুকনুজ্জামান খোকন, এক্স সোলজার ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি জালাল উদ্দিন, সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের সভাপতি সোহাবী বেগম, কুমড়ী কাটাজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মমতাজ বেগম, পলাশ আহাম্মেদ প্রমুখ। বক্তাগণ ধর্ষিত শিশুর বিচার নিশ্চিত করতে তার সঠিক মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রদানের জন্য দাবি জানান। একই সাথে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পরে হিউম্যান রাইটস অব বাংলাদেশ ফাউন্ডশন নেতৃবৃন্দ ধর্ষিতা শিশুর বাবা ও স্কুলের কর্মকর্তা-শিক্ষকদের নিয়ে জেলা প্রশাসক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণি ও সিভিল সার্জন ডা: মো. রেজাউল করিমের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ৬ অক্টোবর বিকেলে সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের দশকাহনীয়া গ্রামের হাতু মিয়ার ছেলে দুই সন্তানের জনক জসিম উদ্দিন (২৭) স্থানীয় হতদরিদ্র তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থীকে (১১) জোরপূর্বক একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনার পর গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশুকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় ধর্ষিতা শিশুর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় জসিম উদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা করেন। কিন্তু অসুস্থ অবস্থায় ভর্তির পরদিনই ধর্ষিতা শিশুকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়ায় তার ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট প্রদানে ষড়যন্ত্র ও অনিয়মের অভিযোগ উঠে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া মামলার ১০ দিন পরও ধর্ষক গ্রেফতার না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়ে তার পরিবারসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে একই দিন দুপুরে পুলিশের চোখকে ফাকি দিয়ে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমানের আদালতে ধর্ষক জসিম উদ্দিন হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে, আদালত তা নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ