Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডিজিটাল ব্যাংক ডাকাতির হালহকিকত

প্রকাশের সময় : ১৮ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জালাল উদ্দিন ওমর
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি হয়েছে, বাংলাদেশী মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি ফান্ড ট্রান্সফারের ৫টি আবেদনের মাধ্যমে এই অর্থ ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে শ্রীলংকা এবং ফিলিপাইনে পাচার হয়। এ পর্যন্ত প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী শ্রীলংকায় পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ২ কোটি ডলার এবং ফিলিপাইনে পাচার হওয়া অর্থের পরিমাণ ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। হ্যাকাররা সুইফট কোডের মাধ্যমে ট্রান্সফার করে এই অর্থ চুরি করেছে। অর্থ চুরির এই ঘটনাকে ডিজিটাল ভাষায় হ্যাকিং বলা হলেও, বাস্তবে এটি হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ব্যাংক ডাকাতি। এই অর্থ চুরির ঘটনা প্রকাশিত হওয়ায় আরো ৮৭ কোটি ডলারের চুরির ঘটনা বন্ধ করা গেছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ফান্ড ট্রান্সফারের মোট ৩৫টি আবেদনের মধ্যে মাত্র ৫টি কার্যকর হওয়ায় ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার ডাকাতি হয়েছে। বাকি ৩০টি আবেদন কার্যকর হলে আরো ৮৭ কোটি ডলার ডাকাতি হতো। ফিলিপাইনের পত্রিকা ডেইলি ইনকোয়ারে সর্বপ্রথম এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। আর বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকে ৭ মার্চ এ খবর প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্র্তৃপক্ষ এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এবং চুরি হওয়া কিছু অর্থ আদায় হয়েছে বলে দাবি করে। বাংলাদেশ  ব্যাংকের এই অর্থ চুরির ঘটনা দেশ-বিদেশে আজ আলোচিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং আর্থিক জগতে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ২৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ ফান্ড থেকে এভাবে ১০ কোটি ডলার অর্থ চুরি হয়ে গেল। এদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা আজ এভাবে চোরের দল চুরি করে নিয়ে গেল। এটা আমাদের জন্য যেমন লজ্জার, তেমনি ব্যর্থতার।  ঘটনার দায়ে অভিযুক্ত হয়ে কিংবা যথাযথ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে না পারায় গত ১৫ মার্চ গভর্নরের পদত্যাগ, দুজন ডেপুটি গভর্নর, দুজন নির্বাহী পরিচালক, দুজন মহা ব্যবস্থাপক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সচিবকে অপসারণ করা হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান হয়ে যায়নি। কেননা এর সাথে আরো বড় কোন চক্র জড়িত আছে বলেই প্রতীয়মান। সুতরাং কার কার অবহেলায় এ চুরির ঘটনা ঘটল, তা খুঁজে বের করতে হবে। একইভাবে কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত, তাও খুঁজে বের করতে হবে। এই ঘটনায় দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং এই ধরনের চুরি চিরতরে বন্ধ করতে হবে। একই সাথে চুরি হওয়া এই অর্থ আদায়ের জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং তা উদ্ধার করতেই হবে। কারণ এটা আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ এবং দেশের ষোল কোটি মানুষই এই সম্পদের মালিক। আর আমাদের দেশের জাতীয় সম্পদ এভাবে লুট হবে, তাতো কোনো অবস্থাতেই মানতে পারি না এবং মেনে নেয়া যায় না।
ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্পোরেশনের মাধ্যমে এই অর্থ চুরি হয়। প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সালের মে মাসে এই ব্যাংকের একটি শাখায় ভুয়া তথ্য এবং আইডি ব্যবহার করে পাঁচটি ব্যাংক হিসাব খোলা হয়। ভুয়া তথ্য ব্যবহার করে হিসাব খোলার এই ব্যাপারটি নাকি ব্যাংকের কিছু কর্মকর্তার জানামতেই হয়েছে। আর এসব হিসাব খোলার উদ্দেশ্যই ছিল ব্যাংকের টাকা লুট। এই অর্থ চুরির প্রাথমিক প্রক্রিয়ায় ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ফান্ড ট্রান্সফার হয়ে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক কর্পোরেশনের এসব অ্যাকাউন্টে জমা হয়। পরবর্তীতে এসব অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ তুলে নেয়া হয়। এই অর্থ জুয়ার আড্ডা বা ক্যাসিনোতে বিনিয়োগ হয়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তিনটি ক্যাসিনোতে এই অর্থ বিনিয়োগ হয়। ক্যাসিনো তিনটি হচ্ছে সোলার রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনো, সিটি অব ড্রিমস এবং মাইডাস ক্যাসিনো। পরবর্তীতে ক্যাসিনো থেকে সেই অর্থ তুলে নেয়া হয় এবং অন্যত্র পাচার করা হয়। এভাবেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ চুরি করেছে। চীনা বংশোদ্ভুত একজন ফিলিপাইনির নেতৃত্বে একটি দল এই চুরির কাজটি সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সুইফট কোড ব্যবহার করে এবং সুইফট বার্তার মাধ্যমে এই অর্থ ট্রান্সফার করা হয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সুইফট অফিসে কর্মরত আট কর্মকর্তাকে নজরদারিতে রেখেছে বলে খবরে প্রকাশ। কিন্তু ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কের সাথে যেখানে ২০০টির বেশি দেশের সেন্ট্রাল ব্যাংকের এবং বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাব রয়েছে, সেখানে চোরের দল বাংলাদেশকে কেন বেছে নিল সেটা বিরাট এক প্রশ্ন বটে? একই সাথে চোরের দল বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব নম্বর, সুইফট কোড ও তার পাসওয়ার্ড কীভাবে জানল সেটাও বিরাট প্রশ্ন। ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি ডলার ডেবিট হয়ে গেল, অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের রিলেটেড ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা সেটা জানল না তাতো হতে পারে না? কারণ তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে যেখানে ইনস্ট্যান্ট সব তথ্য পাওয়া যায়, সেখানে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ব্যালেন্স ১০ কোটি ডলার কমে গেল, ব্যাপরটা তো সাথে সাথে জানার কথা। কিন্তু এত বিরাট ঘটনাটি প্রায় এক মাস পর্যন্ত প্রকাশ করা হলো না কেন? ব্যাংকের ফরেন রিজার্ভ ব্যালেন্সের ক্ষেত্রে গরমিল ধরা পড়ল না কেন? তাহলে তো এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ সমস্যার ব্যাপারটিই সামনে এসে যায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জাগে এটা কি ব্যাংকিং ব্যবস্থার নিরাপত্তায় দুর্বলতার সুযোগ, নাকি বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু অসৎ কর্মকর্তাদের কারসাজির ফল? বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে।
ব্যাংক হচ্ছে বিশ^ব্যাপী আর্থিক নিরাপত্তা এবং বিশ^স্ততার প্রতীক। অর্থ জমা রাখার জন্য ব্যাংক হচ্ছে বিশ^জুড়ে সবচেয়ে নিরাপদ ঠিকানা। মানুষের অর্থ ব্যাংক যথাযথভাবে হেফাজত করে এবং চাহিবা মাত্র সেই অর্থ ব্যাংক আবার মালিককে ফেরত দেয়। এটাই ব্যাংকিং ব্যবস্থার নৈতিক ভিত্তি এবং মূল চাবিকাঠি। তাই বিশ^জুড়ে দেশে দেশে শত কোটি মানুষ তাদের অর্জিত অর্থ ভবিষ্যতের জন্য ব্যাংকে জমা রাখেন। শুধু তাই নয়, দেশে দেশে যত স্বর্ণমুদ্রা এবং স্বর্ণের মজুদ তাও নিরাপত্তার স্বার্থে মানুষরা ব্যাংকের লকারে জমা রাখেন। তাই ব্যাংক হচ্ছে বিশ^জুড়ে আস্থা এবং বিশ^াসের ঠিকানা। অপরদিকে চোরের দল এই ব্যাংক ডাকাতির জন্য সবর্দা লিপ্ত। অশিক্ষিত এবং অপেক্ষাকৃত অদক্ষ চোরের দল ব্যাংকের দারোয়ানকে খুন করে অথবা আটকে রেখে, ব্যাংকের তালা ভেঙ্গে, ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে এবং সুড়ঙ্গ কেটে ব্যাংকে প্রবেশ করে ব্যাংকের টাকা লুট করলেও, আধুনিক শিক্ষিত এবং দক্ষ চোরের দল প্রযুক্তির সাহায্যে এখন ব্যাংকের টাকা লুট করছে। এসব উচ্চ শিক্ষিত এবং স্মার্ট চোরের দল আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিকে তাদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। তারা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে হাজারো গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি করছে। এক্ষেত্রে তারা মূল ক্রেডিট/ডেবিট কার্ডের গোপন পিন নাম্বার জেনে নিচ্ছে, এরপর  নকল ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড তৈরি করছে এবং সেই কার্ড ব্যবহার করে এটিএম বুথ থেকে গ্রাহকের টাকা চুরি করছে। এরকম ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড জালিয়াতির বেশ কয়েকটি  ঘটনা অতীতে উদঘাটিত হয়েছে। সাম্প্রতিককালে এরকম তিনটি বেসরকারি ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে এরকম চুরির ঘটনা ঘটেছে। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ডেবিট হওয়ার সাথে সাথে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে তা গ্রাহক জানার কারণে, গ্রাহক বিষয়টি ব্যাংকে অবহিত করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। অবশ্য ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গ্রাহকদের তাদের চুরি হওয়া অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদান করেছে। এইসব কার্ড চোরেরা প্রযুক্তিগত এবং ব্যাংকের আইনগত সীমাবদ্ধতার কারণে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট থেকে এককভাবে লাখ টাকার বেশি চুরি করতে পারেনি। কিন্তু হ্যাকারের দল এখন সুইফট কোড জালিয়াতি করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি ডলার। এই চোরেরা আরো অনেক বেশি দক্ষ এবং প্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ। তারা তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষতাকে ব্যবহার করে অল্প সময়ইে কোটি ডলার চুরি করে নিয়ে গেছে। এখানে একটা বিষয় পরিষ্কার, সেটা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা চুরির যে ঘটনা ঘটেছে, তা দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা এবং সমন্বিত প্রচেষ্টার ফসল।  চোরের দল বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ কোটি  ডলার ডেবিট করল, অথচ বাংলাদেশ ব্যাংকের ফান্ড ট্রান্সফার ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তারা সেটা জানতে পারল না তাতো কিছুতেই হতে পারে না। কারণ ব্যাংক হচ্ছে এমন একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেখানে প্রতিদিনের হিসাব-নিকাশ এবং বিভিন্ন অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স নিয়ে ডেইলি পজিশন তৈরি করা হয়, যাতে একনজরে ব্যাংকের টোটাল চিত্র প্রতিফলিত হয়। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ডলারের চুরির ঘটনা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানল নাÑএটা টোটালি  ইমপসিবল ম্যাটার। এই মহা রহস্যময় ঘটনার সঠিক তদন্ত রিপোর্ট জাতির সামনে প্রকাশ করতে হবে।
মানুষ যখন নৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে, বিবেকবোধ হারিয়ে ফেলে এবং নীতি-নৈতিকতাহীন জীবন গড়ে তোলে, তখন অপকর্মই হয়ে ওঠে তার জীবনের প্রধান কর্ম। সে তখন আর সত্য-মিথ্যার ধার ধারে না। দুর্নীতি, চুরি, ডাকাতি, খুন এবং অবিচারই হয়ে ওঠে তার জীবন দর্শনের অংশ। সমাজ তখন অশান্তি এবং অস্থিরতায় ডুবে যায়। আজকের সমাজে সর্বত্রই  নীতি-নৈতিকতার আকাল চলছে। সংসারে শান্তি নেই, জীবনের নিরাপত্তা নেই এবং অর্থের নিরাপত্তা নেই। পুলিশ আর সেনাবাহিনী দিয়েও তাই দুর্নীতি বন্ধ করা যাচ্ছে না এবং চুরি ডাকাতি রোধ করা যাচ্ছে না। সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তির যেমন উন্নতি হচ্ছে, ঠিক তেমনিভাবে অপরাধের ধরনও পাল্টে যাচ্ছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধীরা নিত্য নতুন কৌশলে অপরাধ করে যাচ্ছে। এটিএম বুথ থেকে কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা চুরি আর বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চুরি সবই একসূত্রে গাথা। এসব হচ্ছে ডিজিটাল ব্যাংক ডাকাতির হালহকিকত। কিন্তু এভাবে তো একটি দেশ চলতে পারে না। এই অবস্থার পরিবর্তন অবশ্যই প্রয়োজন। জীবনের নিরাপত্তায় মানুষ যেমন আজ শঙ্কিত, ঠিক তেমনি অর্থের নিরাপত্তায় মানুষ আজ আতঙ্কিত। ঘাম ঝড়ানো শ্রমে অর্জিত টাকা নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকে জমা রেখেও মানুষ এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। কারণ চোরের দল কখন অ্যাকাউন্ট থেকে হ্যাকিং করে তার টাকা নিয়ে যায়, তার তো কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই। এই অবস্থা চলতে থাকলে টোটাল ব্যাংকিং ব্যবস্থা সংকটের মুখে পড়বে। এই অশান্তি, অস্থিরতা এবং নিরাপত্তাহীনতা থেকে মুক্তি পেতে হলে জাতি হিসেবে আমাদের উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে হবে। আমাদের হতে হবে সৎ, চরিত্রবান, দায়িত্ববান এবং বিশ^স্ত। পাশাপাশি আমাদের হতে হবে আধুনিক এবং প্রযুক্তিজ্ঞানে সমৃদ্ধ। তার জন্য নিজেদের চরিত্রবান হতে হবে এবং তরুণ প্রজন্মকে চরিত্রবান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তা না-হলে আমরা যতই আধুনিক এবং প্রগতিশীল হই না কেন দুর্নীতি এবং ব্যাংক চুরি, কোনটাই বন্ধ হবে না।
লখক : প্রকৌশলী ও কলামিস্ট
[email protected]



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডিজিটাল ব্যাংক ডাকাতির হালহকিকত
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ