Inqilab Logo

রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সুদীপ্ত খুনের ইন্ধনদাতাদেরও গ্রেফতার করুন -ছাত্রলীগ

| প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চট্টগ্রাম ব্যুরো : সুদীপ্ত বিশ্বাস খুনের ইন্ধনদাতাদেরও গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগ। গতকাল (রোববার) লালদীঘি মাঠ সংলগ্ন জেলা পরিষদ চত্বরে নগর ছাত্রলীগের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়। ছাত্রলীগের অবস্থান কর্মসূচি যেখানে চলছিল তার ঠিক বিপরীতেই চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) কার্যালয়। ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাসের খুনের ইন্ধনদাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে শুরুতে নগর পুলিশ কমিশনার কার্যালয় ঘেরাওয়ের কথা থাকলেও পরে তার বদলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে ছাত্রলীগ।
অবস্থান কর্মসূচিতে নগর ছাত্রলীগ সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু বলেন, হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আমরা ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমাদের প্রিয় নেত্রী দেশ পরিচালনা করছেন। প্রশ্ন জাগে এমন কারা আছে যারা ছাত্রলীগের রক্ত নিয়ে হোলি খেলতে চায়। সন্ত্রাসীরা কারও আপন হতে পারে না, সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসীই। তাদের কোনো দল নেই। যাদের ইন্ধনে সুদীপ্তকে হত্যা করা হয়েছে তাদেরও গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, এর আগে নাসিম আহমেদ সোহেলকে হত্যা করা হল। দিয়াজ ইরফান চৌধুরীকে হত্যা করল। হত্যাকারীরা পালিয়ে গেল। প্রশ্ন জাগে এমন কোন অপশক্তি আছে যে ছাত্রলীগ নেতাদের একের পর এক হত্যা করা হবে কিন্তু তারা গ্রেফতার হবে না। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে ভবিষ্যতে আরও বড় কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
গত ৬ অক্টোবর সকালে নগর ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্তকে দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। এ ঘটনায় মোক্তার হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। যিনি সুদীপ্ত হত্যায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। সুদীপ্ত হত্যার পর থেকে একাধিক ছাত্রলীগ নেতা অভিযোগ তুলেছিলেন, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুমের অনুসারীরাই সুদীপ্তকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। গ্রেফতার মোক্তার দিদারুল আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সমাবেশে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন হলো সুদীপ্ত হত্যার বিচার হবে কি হবে না? আসামিরা গ্রেফতার হবে কি হবে না? একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বরাত দিয়ে পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়েছে লালখান বাজারে বৈঠকে হত্যার নির্দেশ দেয়া হয়। কার নির্দেশে হতাকাÐ ঘটানো হলো? রনি বলেন, ভিডিও ফুটেজসহ সব তথ্য পুলিশের কাছে আছে। কার নির্দেশে হত্যার পর পাঁচ ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিবৃতি দিয়েছিল? দিয়াজকে হত্যার পর কেন আত্মহত্যা বলা হয়েছিল? মেহেদী হাসান বাদলকে হত্যার পর নেতৃবৃন্দ কেন গুপ্তহত্যা বলেছিল? সোহেল হত্যার পর কেন ভিসির পদত্যাগ দাবি করা হয়েছিল? কারণ একটাই খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেয়া। প্রত্যেকটি একই সূত্রে গাথা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইফুল্লাহ আনসারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজিজুর রহমান, ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান তারেক, আবু তৈয়ব সুমন, রুম্মান চৌধুরী, নাজমুল হাসান রুমি প্রমুখ। সমাবেশে সরকারি সিটি কলেজ, হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ, এমইএস কলেজ, কর্মাস কলেজ এবং ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ