Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

দুর্নীতির অভিযোগে ইউপি সদস্যদের দরখাস্ত

ত্রাণের চাল গুদামজাত করে চেয়ারম্যান লা-পাত্তা!

| প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) উপজেলা সংবাদদাতা : জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের ৫শ’ বন্যার্ত পরিবার ত্রাণের চাল থেকে বঞ্চিত বলে অভিযোগ ওঠেছে। ৫ মে. টন (জিআর) চাল দুস্থ্যদের না দিয়ে গুদামজাত করে লা-পাত্তা হয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মুনছুর রহমান খান।
এদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ত্রাণের চাল আত্মসাত, দুস্থ্যদের ভাতার কার্ড প্রদানের নামে উৎকোচ গ্রহণ, এলজিএসপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত, কৃষি পুনর্বাসন তালিকা তৈরিতে অনীহা, ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে পরিষদের সব সদস্য (১২ জন) গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছে। এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, ‘চেয়ারম্যান প্রতি মাসের অধিকাংশ সময় ঢাকায় থাকেন। এতে সরকারি বরাদ্দ বাতিল ও জনভোগান্তি নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার। এছাড়া তার দুর্নীতি চরম হওয়ায় তদন্তের জন্য আমরা সকল ইউপি সদস্যের সবাই কর্তৃপক্ষের কাছে দরখাস্ত দিয়েছি।’ উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে প্রকাশ, কামরাবাদ ইউনিয়নের বন্যার্র্তদের জন্য ৫ মে. টন ত্রাণের (জিআর) চাল বরাদ্দ হয়। আগস্ট মাসে সেই চাল উত্তোলনের কথা থাকলেও ইউপি চেয়ারম্যান মুনছুর রহমান খান ঢাকায় অবস্থান করায় তা সম্ভব হয়নি। সেই বরাদ্দের ডিও বাতিল হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর নতুন ডিও’র মাধ্যমে ৫ মে. টন চাল উত্তোলন করে ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে রাখা হয়। কিন্তু সেই চালও বিতরণ না করে গুদামে তালা দিয়ে চেয়ারম্যান তার ভাইয়ের কাছে চাবি রেখে জরুরী কাজের কথা বলে প্রায় ১৫দিন ধরে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যানের ছোটভাই মোশারফ হোসেন জানান, ‘চেয়ারম্যান নিজেই আমার কাছে চাবি দিয়ে গেছেন। উনি ঢাকায় আছেন, এলাকায় এলে চালগুলো কী করবেন সেটা তিনিই জানেন।’ পরিষদের সচিব রফিকুল ইসলাম জানান, ‘বার বার বলার পরও চেয়ারম্যান চালগুলো বিতরণের উদ্যোগ নেননি।’
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান মুনছুর রহমান খান মুঠোফোনে জানান, ‘পরিষদের সাথে দলীয় নেতাদের সমন্বয় না হওয়ায় চাল বিতরণ করা যায়নি। দলীয় মিটিংয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।’ এছাড়া জরুরী কাজে ঢাকায় থাকায় চাল বিতরণ হয়নি বলে স্বীকার করলেও তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমুলক বলে দাবি করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী বলেন, ‘আমি ট্রেনিংয়ে আছি, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দরখাস্তের বিষয়টি বলতে পারছি না। তবে চেয়ারম্যান এলাকায় না থাকায় চাল বিতরণ হয়নি। তিনি আসলেই বিতরণ করবেন।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ