বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তানোর (রাজশাহী) উপজেলা : রাজশাহীর তানোরে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইনে কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা চরম আতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছে। তানোরের আলোচিত দু’জন যুদ্ধাপরাধী রাজাকারের বিরুদ্ধে খবর প্রকাশের জের ধরে তানোর প্রেসক্লাব থেকে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে দু’জন সাংবাদিককে হাতুড়ি পেটা ও এক জনকে উঠিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে গণমাধ্যম কর্মীরা চরম আতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছে। চলতি বছরের ১১ অক্টোবর গত বুধবার সন্ধ্যায় তানোর প্রেসক্লাব থেকে ক্লাবের নির্বাহী সদস্য সাংবাদিক সারোয়ার হোসেন ও ১২ অক্টোবর কৃহ¯প্রতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক আলিফ হোসেন উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ি পেটা করেছে মণির বাহিনী, খবর পেয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এছাড়াও পরের দিন ১৩ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক আব্দুস সবুরকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়ে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এদিকে সাংবাদিক নির্যাতনের এসব ঘটনা স্থানীয় সাংসদ ও রাজশাজী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরীকে অবগত করা হলে তিনি সাংবাদিক নির্যাতনকারি এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার নির্দেশ দেন। কিন্তু নির্যাতিত সাংবাদিকরা থানায় মামলা করতে গেলে থানার গেটেই আবারো সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর হামলার চেষ্টা করে এবং ঘোষণা দেন এসব ঘটনায় থানায় মামলা বা অভিযোগ করা হলে ওই সাংবাদিতের হাত কেটে নেয়া হবে এতে যতো টাকা লাগে তারা ব্যয় করবেন। সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে নির্যাতিত সাংবাদিকরা ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখানো থানায় মামলা বা অভিযোগ করতে পারছে না। এদিকে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকগণ গত শনিবার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, পুলিশ মহা-পরিদর্শক, র্যাব মহাপরিচালক ও জাতীয় মাণবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
জানা গেছে, তানোর পৌর সদরের গুবিরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও (সাবেক) সেনা সদস্য মণির হোসেনকে নিয়ে ‘নাপিত থেকে হাইব্রিড নেতা’ শিরোনামে স্থানীয় একটি পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এছাড়াও রাজাকার আনিসুর রহমান ও মাইনুল ইসলামকে নিয়ে পৃথক প্রতিবেদন বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এসব খবর প্রকাশের জের ধরে মণির হোসেনের নির্দেশে তার পুত্র আপেল, ভাই আব্দুল হালিম, মজিবুর ও কীটনাশক ব্যবসায়ী দেলোয়ার, ইয়াহিয়া ও নাজিমসহ প্রায় ১০ জন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সাংবাদিকদের উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে তাদের ওপর মথ্যযুগীয় নির্যাতন করেছে। এ ঘটনার পর থেকে তানোরের সাংবাদিকরা চরম অতঙ্কে দিন অতিবাহিত করছে। এব্যাপারে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল ইসলাম নির্যাতনের কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি নিজে নির্যাতিত সাংবাদিকদের উদ্ধার করেছেন। তিনি বলেন, এমপি মহোদয়ের নির্দেশের পরেও সাংবাদিকরা এখানো কোনো লিখিত অভিযোগ না করায় তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছেন না। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকের খবর মিথ্যা হলে আইনের আশ্রয় নিতে পারেন, তাই বলে সাংবাদিকের ওপর হামলা করতে পারেন না।
এদিকে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক চৌধূরী, তানোর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র গোলাম রাব্বানী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল-মামুন, তানোর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও কলমা ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের ইসলাম, তানোর পৌর যুবলীগের সভাপতি রাজিব সরকার হিরো, সাধারণ সম্পাদক ওহাব সরদার ও তানোর প্রেসক্লাবের আহবায়ক টিপু সুলতান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।