বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া থেকে : নিষেধাজ্ঞা সত্বেও কুষ্টিয়ায় চলছে অবাধে মা ইলিশ শিকার। বিশেষ করে জেলার দৌলতপুর উপজেলার পদ্মা নদীতে দিনরাত চলছে মা ইলিশ শিকারের প্রতিযোগিতা। স্থানীয় শতাধিক জেলে প্রতিদিন নদীতে শিকার করছেন। আর ওইসব ইলিশ বিক্রিও হচ্ছে প্রকাশ্যেই। আড়াইশ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে। স্থানীয় প্রশাসন নামমাত্র অভিযান পরিচালনা করলেও তা অনেকটাই লোক দেখানো এবং দায়সারা। যদিও প্রায় প্রতিদিনই চলছে অভিযান। জেল জরিমানাও করছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
পদ্মা নদী এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলা সত্বেও প্রকাশ্য দিবালোকে এবং রাতের অন্ধকারে জেলেরা মা ইলিশ ধরছে অবাঁধে। সন্ধ্যা নামলেই জেলেরা মাছ ধরার নৌকা নিয়ে ইলিশ ধরতে ছুটে যান পদ্মা নদীর গভীরে। আবার প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রমত্তা পদ্মায় দিনের আলোয় চলে অবাঁধে মা ইলিশ শিকার। প্রতিদিন জেলেরা এখানে শত শত কেজি মা ইলিশ শিকার করে বিক্রয় করছে নির্বিঘেœ। দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগরের আবেদের ঘাট, গুলাবাড়ি ঘাট, বেরাগীরচর বাজার, বৈরাগীরচর ঘাট, ভাগজোত বাজার, চিলমারী বাজার, বাহিরমাদি চর, বাংলা বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে মা ইলিশ ধরা ও বিক্রি চলছে। ফিলিপ নগর ইউপি সদস্য মুকুল হোসেনসহ বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীর নিয়ন্ত্রনে এবং স্থানীয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় ইলিশ ধরার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক স্কুল শিক্ষক জানান প্রতিদিনই ধরা পড়ছে বিপুল পরিমান ইলিশ। তিনি জানান অন্যান্য সময় দৌলতপুরের পদ্মায় ইলিশ কম ধরা পড়লেও অক্টোবরের শুরু থেকে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় বর্তমানে বিপুল পরিমান ইলিশের আমদানী ঘটেছে। আর এই সুযোগে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় থেকে প্রকাশ্যে ইলিশ শিকার করছে। এতে ওই সমস্ত প্রভাবভালীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তার পকেটে যাচ্ছে মোটা অংকের টাকা।
অবশ্য স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা এমন অভিযোগ অস্বীকার করছেন। দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাহাঙ্গীর আলম জানান নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে যারা ইলিশ শিকার করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন প্রতিদিনই পদ্মা নদীতে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হচ্ছে। পহেলা অক্টোবর থেকে আজ পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক জেলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাছাড়া বিপুল পরিমান কারেন্ট জালও জব্দ করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ দ্বারা খান বলেন আমাদের সার্বক্ষনিক নজরদারী রয়েছে। নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। দৌলতপুর থানা পুলিশের কঠোর নজরদারীতে মৎস্য শিকারীরা তাদের তৎপরতা চালাতে পারছেনা।
সচেতন নাগরিক সমাজের জেলা আহবায়ক রফিকুল আলম টুকু মনে করেন শষ্যের মধ্যে ভূত থাকলে হবেনা। যাদের ওপর মা ইলিশ শিকারীদের বিররুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব তারা যদি ম্যানেজ হয়ে যান সেই ক্ষেত্রে প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবেনা। আমি মনে করি নিষ্ঠা ও সততার সাথে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। তবেই অভিযান স্বার্থক হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।