পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, দেশের উচ্চশিক্ষা বিশ্বমানে উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ২০৩০ সাল নাগাদ উচ্চশিক্ষার জন্য একটি কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে। এজন্য বিভিন্ন কমিটি তাদের সুপারিশমালা পেশ করেছে এবং একটি খসড়া পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। গতকাল (রোববার) রাজধানীর সিরডাপ অডিটোরিয়ামে ’ড্রাফট স্ট্রাটেজিক প্লান ফর হাইয়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ: ২০১৭-২০৩০’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি একথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের আওতাধীন ’হাইয়ার এডুকেশন কোয়ালিটি এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট (হেকেপ)’-এর উদ্যোগে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, উন্মুক্ত ও সূদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে। অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো এতে থাকবে। তিনি বলেন, বর্তমানের তথ্যের ভিত্তিতে ভবিষ্যতের জন্য করনীয় নির্ধারণ করতে হবে। সকলের পরামর্শগুলো এতে সন্নিবেশিত করা হবে। তিনি অতি দ্রæত লক্ষ্য-নির্ভর একটি কৌশলগত পরিকল্পনা প্রণয়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের আহবান জানান। তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নে এক্রিডিটেশন কাউন্সিল আইন পাশ হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আমরা প্রথাগত ধারণার পরিবর্তন চাই। শিক্ষা হবে দক্ষতা-নির্ভর, যাতে একজন শিক্ষার্থী প্রকৃত অর্থে মানব সম্পদে পরিনত হতে পারে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হবে জ্ঞানচর্চা, গবেষণা ও নতুন জ্ঞান সৃষ্টির জন্য চরম উৎকর্ষ অর্জনের স্থান। জ্ঞান-প্রযুক্তি শুধু আমদানি নয়, রপ্তানি করার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। এ লক্ষ্যে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এডুকেশন স্পেশালিস্ট ইয়োকো নাগাশিমা এবং হেকেপ প্রকল্প পরিচালক ড. গৌরাঙ্গ চন্দ্র মোহান্ত বক্তব্য রাখেন। খসড়া কৌশলগত পরিকল্পনার ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লাহ। আলোচনায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসেরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, শিক্ষাবিদ ও উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।