Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে স্বেচ্ছায় রক্তদানকে জনপ্রিয় করতে হবে -রাঙ্গা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়ন কৌশল ২০১২-৩২ প্রণয়ন করেছে। ২০৩২ সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা অর্জনের লক্ষ্যেমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে দরিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারসমূহকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ক কর্মসূচি পাইলট প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তিনি থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রমকে অধিক হারে জনপ্রিয় করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
গতকাল সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির উদ্যোগে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসা- বাংলাদেশ প্রেক্ষিত বিষয়ক আলোচনা এবং লটারী- ২০১৭ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সমিতির সভাপতি মো. মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী সৈয়দ দীদার বখত, কাজী রোজী এমপি, থ্যালাসেমিয়া হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. এ কে এম একরামুল হোসেন স্বপন ও সম্পাদক ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগ সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এ রোগ প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করার পাশাপাশি চিকিৎসা সুবিধাকে সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন। থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসার জন্যে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন নিরাপদ রক্তের। সময়মত নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালন করলেই কেবল একজন রোগী সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারেন। তিনি বলেন, নিরাপদ রক্তের চাহিদা তুলনায় রক্তের প্রাপ্যতা তিন ভাগের এক ভাগ মাত্র। সে জন্যে স্বেচ্ছায় রক্তদান কার্যক্রমকে অধিক হারে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। দেশের অনেক সুস্থ্য ও সবল লোক এখনো রক্ত দিতে ভয় পায়। অথচ ১৮ বছর থেকে ৫৭ বছর বয়সী যে কোন সুস্থ্য লোক রক্ত দিতে পারেন। থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা ও প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ সমিতি রক্তের হিমোগেøাবিন ডিজঅর্ডার পরীক্ষার মাধ্যমে রোগটি প্রতিরোধে ভূমিকা রাখছে। পরে প্রতিমন্ত্রী সমিতি আয়োজিত লটারী-২০১৭ বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন।
লটারীতে সর্বমোট ৫০ লক্ষ টাকার ১০২৫টি পুরস্কার ছিল। এই লটারীতে ১ম পুরস্কার ৩০ লক্ষ টাকা বিজয়ী হয়েছেন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার অলিপুর গ্রামের মোঃ শাহ আলম চৌধুরী। তিনি একজন মাদ্রসার শিক্ষক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ