Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আলিয়া মাদ্রাসা : শিক্ষাবিস্তারে তাঁর অবিস্মরণীয় ভূমিকা

কে. এস. সিদ্দিকী | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

উপমহাদেশের ঐতিহ্যমন্ডিত প্রাচীনতম ইসলামী শিক্ষাকেন্দ্র কলিকাতা-ঢাকা সরকারী আলিয়া মাদ্রাসার ২৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ১৬ অক্টোবর। ভারত বিভাগের পর ১৯৪৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আলিয়া মাদ্রাসা কলিকাতা হতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়ে আসে। প্রথমদিকে সদরঘাট এলাকায় ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে ভাড়াটে ভবনে অবস্থান করার পর ১৯৬০ সালের জুলাই মাস থেকে বখশিবাজারস্থ নিজস্ব ভবনে স্থিত হয়। ১৯৮১ সালের ১২, ১৩ ও ১৪ মার্চ তিনদিন ব্যাপী প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রথম বারের মতো (দুইশততম) সরকারী পর্যায়ে অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হয়েছিল। আলিয়া মাদ্রাসার দুইশততম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল এ প্রতিষ্ঠানের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস-ঐতিহ্য ও অবিস্বরণীয় কীর্তি অবদান তুলে ধরা। কেননা তখন পর্যন্ত আলিয়া মাদ্রাসাবিদ্বেষী মহল থেকে এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা কুৎসা রটনা, অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তি ছড়ানোর একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছিল। সেই প্রবণতার অবসান ঘটেছে, এ দাবি করা যায় না বাস্তবতা এই, আলিয়া বিদ্বেষীরা ওত পেতে আছে, সুযোগ এলেই হয়তো সক্রিয় হবে। তাই প্রতিবছর আলিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজন করা সময়ের দাবি। স্বাধীন বাংলাদেশে আলিয়া মাদ্রাসার পঞ্চাশ বছর পূর্তির আর মাত্র কয়েক বছর বাকী। আলিয়া কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকলের বিষয়টি বিবেচনা নেয়া উচিৎ।
এ পর্যায়ে প্রথমে একটি বিভ্রান্তিকর প্রশ্নের জবাব দেয়া প্রয়োজন। কোন কোন মহল থেকে অভিযোগ করা হয়, আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য ছিল ভিন্ন। ওয়ারেন হেষ্টিংস ইংরেজদের মতলব হাসিলের উদ্দেশ্যে আলীয়া মাদ্রাসা স্থাপন করেছিলেন। এই ধারণা নিতান্তই অমূলক। এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার সাথে তৎকালীন মুসলিম সমাজের স্বার্থ নানাভাবে জড়িত ছিল। বিশেষ করে মুসলমানদের ধর্মীয় শিক্ষার প্রয়োজন ছিল অত্যন্ত বেশি। মুসলমানদের দাবী পূরণ করতে গিয়ে ইংরেজদেরও কিছু বাড়তি উপকার সাধিত হয়েছিল, এই কথাও সত্য। আলিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার দাবী মুসলমানদের মধ্যে কিভাবে দানা বেধে উঠেছিল, তার একটা পটভূমিকা রয়েছে। উপমহাদেশে মোঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর ইংরেজরা তাদের আধিপত্য বিস্তার ও তা সুপ্রতিষ্ঠিত ও দীর্ঘস্থায়ী করার উদ্দেশ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে যেইসব পদক্ষেপ গ্রহন করে সেগুলির মধ্যে মুসলিম শাসনামলের শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধন ছিল অন্যতম। কিন্তু এ দেশের জনগণের সমর্থন আদায় করতে হলে তাদের কিছু কিছু চাহিদা ও দাবী দাওয়া পূরণ করা ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। মুসলমানরা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি না করলে তাও হত তাদের জন্য আত্মহত্যার শামিল। কাজেই তারা ন্যায়সঙ্গতভাবেই তাদের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় শিক্ষা পুনঃ প্রবর্তনের দাবী জানায়। ওয়ারেন হেষ্টিংস কলকাতা ও আশেপাশের মুসলমান সমাজের দাবীর নিকট নতি স্বীকার করতে বাধ্য হন এবং ১৭৮০ সালে কলকাতা আলিয়া মাদ্রাসা স্থাপন করেন। পরবর্তী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার দাবী ইংরেজরা যে উদ্দেশ্যে পূরণ করেছিল, তাদের সেই উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি এবং এক সময় তারা মাদ্রাসাটি বন্ধ করে দেওয়ার ষড়যন্ত্রও করেছিল।
বিখ্যাত ইংরেজ ঐতিহাসিক ম্যাক্স মুলার সরকারী সাক্ষ্য প্রমাণ এবং মিশনারীদের রিপোর্টের ভিত্তিতে লিখেছেন:
ইংরেজি আমলদারির পূর্বে কেবল বাঙলায় আশি (৮০,০০০) হাজার মকতব ছিল। ইংরেজদের আগমণের পর এগুলোর অধিকাংশই বন্ধ করে দেয়া হয়। বিভিন্ন রিপোর্ট হতেও প্রমাণিত হয় যে, যে সব মকতব মাদ্রাসা এবং মসজিদ মুসলমানদের ওয়াকফ ও অছিয়তের ভিত্তিতে চালু হয়েছিল। ইংরেজরা সেগুলোর অধিকাংশ বাজেয়াপ্ত করে সম্পত্তিগুলো দখল করে। এমতাবস্থায় মুসলমানদের অর্থনৈতিক ও শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে যে চরম ও শোচনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়, ইংরেজরা তা ভালোভাবেই অনুভব করতো। মুসলমান প্রতিনিধিগণ শিক্ষা ক্ষেত্রে তাদের দুর্দশার কথা এবং মুসলিম সন্তানদের জন্য একটি প্রতিষ্ঠান কায়েম করার আবেদন যে জানান, তাতে এ দুর্দশার জন্য সৃষ্ট ইংরেজ কর্তৃক সৃষ্ট উপরে বর্ণিত কারণগুলোর কথা তারা উল্লেখ না করলেও গভর্ণরের আবেদন পত্রে বর্ণিত দাবিগুলোর যৌক্তিকতাও অস্বীকার করার উপায় ছিল না। সুতরাং মুসলমানদের আবেদন গৃহীত হয়।
আলিয়া মাদ্রাসাকে কেন্দ্র করে ইসলামী শিক্ষার বহু প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, সংস্থা এবং ছাত্র সংগঠন ইত্যাদি জন্ম লাভ করেছে। সেগুলো সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও বেসরকারী হলেও প্রত্যেকেটিই স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে গণ্য। উদাহরণ স্বরূপ বেসরকারী আলিয়া মাদ্রাসাসমূহের (আলিম ও ফাযিল) কথাও উল্লেখ করা যায়। কামিল টাইটেল পর্যায়ের বহু মাদ্রাসা আলিয়া নামে খ্যাত। আলিয়া মাদ্রাসার সংখ্যা বিপুল। এসব আলিয়া প্রতিষ্ঠানে এযাবত চারটি স্তর বা বিষয় চালু রয়েছে। হাদীস, ফেকাহ, আরবি ও আদব (সাহিত্য) এবং তফসীর। পূর্বে যে দেশে একটি মহিলা মাদ্রাসাও ছিল না, বর্তমানে সেদেশে সহস্রাধিক মহিলা মাদ্রাসা এবং কিছু মহিলা আলিয়া মাদ্রাসাও রয়েছে। কামিল বা টাইটেল মাদ্রাসাগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের সমপর্যায়ের বলে গণ্য করা হয়ে থাকে।
আলিয়া নেসাবের এসব মাদ্রাসা পরিচালনার সরকার অনুমোদিত সংস্থা বা একটি স্বতন্ত্র বোর্ড রয়েছে, যা বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড নামে পরিচিত। এ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছে হাজার হাজার মাদ্রাসা। এসব মাদ্রাসার শিক্ষকমন্ডলীর একটি অরাজনৈতিক স্বতন্ত্র সংগঠন রয়েছে, যার নাম জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বাংলাদেশ। এ সংগঠনের শাখা রয়েছে সারাদেশে। মুসলিম বিশ্বে মাদ্রাসা শিক্ষকদের এটি সর্ববৃহৎ সংগঠন হিসেবে খ্যাত। এর উন্নয়ন বিস্তারে স্বাধীন বাংলাদেশ আমলে হজরত মাওলানা আলহাজ্ব এম.এ মান্নান (রহ.) এর অনন্য ভূমিকা সর্বজনস্বীকৃত। উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৬ থেকে ২০০৬ সালে মাওলানা এম.এ মান্নান (রহ.) ছিলেন এই ঐতিহ্যমন্ডিত সংগঠনের লাগাতার সভাপতি। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী মাওলানা এম.এ মান্নান (রহ.) এর দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বাংলাদেশ নানা ক্ষেত্রে যে অপূর্ব ও অভাবনীয় উন্নতি সাধন করেছে, তা আরেক স্বতন্ত্র ইতিহাস।
মাওলানা এম.এ মান্নান (রহ.) এর মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে এবং মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবনমান উন্নয়নে এক সুদূর প্রসারী পরিকল্পনা ছিল এবং সারা কর্মজীবন তিনি একটি স্বতন্ত্র আরবী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কায়েম করার পূর্বসূরিদের সুদীর্ঘকালের স্বপ্নকে বাস্তব রুপদানের জন্য আপ্রাণ সাধনায় লিপ্ত ছিলেন। তার আন্দোলন সংগ্রাম তার জীবদ্দশায় বহুক্ষেত্রে সফল হতে তিনি দেখে গেলেও তার প্রত্যাশিত আরবী বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেননি। হজরত মাওলানা এম.এ মান্নান (রহ.) এর ওফাতের পর তার সুযোগ্য উত্তরসূরী, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক আলহাজ্ব এ.এম.এম বাহাউদ্দীন জমিয়াতুল মোদার্রেছীন বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে এর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং তার মহান পিতার অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করতে মনোনিবেশ করেন যার মধ্যে প্রধান ছিল ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা। তাতে তিনি সফল হয়েছেন। তার সংগঠন সফল হয়েছে। শতাব্দী পুরাতন দাবী ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয় এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব জীবন্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার দুই বছর পার করেছে।
আলিয়া মাদ্রাসাকেন্দ্রিক আরো নানা গুরুত্বপূর্ণ দিকের ওপর আলোকপাত করার এটি স্থান নয়, এ প্রতিষ্ঠানের আড়াইশ’তম (২৫০ বছর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রায় আগত সে বিষয়টির কথা স্মরণ করাটাই মুলত এই নিবন্ধের লক্ষ্য। পরিশেষে আরেকটি বিষয় উল্লেখ করতে হয় যে, স্বাধীন বাংলাদেশে ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা পূর্বের ন্যায় সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে তার মর্যাদা অক্ষুন্ন রেখে চললেও এর ইতিহাস-ঐতিহ্য নতুন ভাবে তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্ব সেভাবে বিবেচিত হয়নি। এ প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস রচনা সহজ কাজ নয়। আলিয়ার কৃতি সন্তান ও সুযোগ্য উস্তাদ মরহুম মাওলানা আবদুস সাত্তার সাহেব ‘তারীখে মাদ্রাসা-ই-আলিয়া’ রচনা করে এক অবিস্বরণীয় অবদান রেখে গেছেন যা আলিয়ার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস প্রণয়নে প্রধান মৌলিক উপাদান হিসাবে কাজ করতে পারে। প্রায় ষাট (৬০) বছর আগে রচিত ও প্রকাশিত এই ইতিহাস গ্রন্থের পরের ইতিহাসের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার প্রয়োজন দেখা দিয়েছে। কেননা এতে সংযোজিত হবে পরবর্তী কাল ও বাংলাদেশ অধ্যায়। ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি ও জ্ঞান চর্চার প্রাণকেন্দ্র হিসাবে আলিয়া মাদ্রাসা খ্যাত হলেও বর্তমানে তার কতটুকু অক্ষুণœ আছে অথবা কতটুকু বৃদ্ধি পেয়েছে তা খতিয়ে দেখার বিষয়। বাংলা ভাষা আন্দোলনের সময় আলিয়া মাদ্রাসার একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আলিয়ার সাবেক ছাত্র মরহুম সৈয়দ জাফর আলী দৈনিক আজাদ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে একুশের ভাষা আন্দোলনের যে বিবরণ লেখেন, তা ভাষা আন্দোলনের দলিল হিসাবে সংরক্ষিত হওয়ার কথা। কলিকাতা আলিয়া মাদ্রাসা ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়ে আসার পর ষাটের দশকে আলিয়া মাদ্রাসা রীতিমত সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল। আলিয়ার সাবেক ছাত্র ও তৎকালীন অধ্যাপক এবং বিখ্যাত লেখক-সাহিত্যিক মরহুম মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমানের যোগ্য সম্পাদনায় আলিয়া মাদ্রাসার মুখপত্র কয়েক বছর নিয়মিত প্রকাশিত হয়েছিল। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে আলিয়ার কৃতি সন্তানদের অসামান্য অবদানের উপর এ যাবত যৎকিঞ্চিত গবেষণাধর্মী কাজ হলেও এ সম্পর্কে ব্যাপক গবেষণার অবকাশ রয়েছে। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনের নানা ক্ষেত্রেই তারা অবদানের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন। এগুলি বিশদভাবে সমাজ ও জাতির কাছে তুলে ধরার প্রয়োজন রয়েছে। বর্তমানে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলিয়া মাদ্রাসার কৃতি সন্তানদের পদচারণা উল্লেখযোগ্য হারে পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং বহির্বিশ্বেও তাদের নানামুখী ভূমিকা দেশ ও জাতির মর্যাদা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে। এতাবস্থায় আলিয়া মাদ্রাসার প্রাচীন ও আধুনিক ইতিহাস সবিস্তারে লিপিবদ্ধ করতে হবে এবং যুগের প্রতিযোগিতায় তাদেরও সক্রিয়ভাবে অবতীর্ণ হতে হবে।

 



 

Show all comments
  • Md Faizul Islam ১৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:২১ পিএম says : 0
    Thank you for your information.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ