Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারসাম্য হারাচ্ছে চাঁদপুর শহরের পরিবেশ ডাকাতিয়ার পাড়ে অবৈধ ইট বালুর ব্যবসা

| প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

চাঁদপুর থেকে বি এম হান্নান : চাঁদপুর শহরের বিআইডাব্লিউটিএর মোড় থেকে ট্রাকঘাট হয়ে লন্ডনঘাট পর্যন্ত বিশাল এলাকা অবৈধভাবে দখল করে ইট-বালু, কংক্রিট ও সিমেন্টের ব্যবসা করে যাচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু। এ ব্যবসার কারণে ডাকাতিয়া নদী দখলসহ এলাকায় পরিবেশের ভারসাম্য হারাচ্ছে। ধুলা-বালির কারণে পথচারী, স্কুল-কলেজগামী শিশু ও বিভিন্ন বয়সী শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে। উড়ন্ত বালুর কারণে ক্ষতি হচ্ছে পাশের ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। সেখানে এ ধরনের ব্যবসা করবে না মর্মে ব্যবসায়ীরা গত তিন বছর আগে প্রশাসনের কাছে অঙ্গীকার করে।
স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, ২০১৪ সালে স্থানীয় অধিবাসীদের দাবির প্রেক্ষিতে অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। এরপর বিআইডাব্লিউটিএর প্রকৌশল বিভাগ কাটা তারের প্রাচীর তৈরি করে। সাধারণ মানুষ নদীর পাড়ে বসার জন্য মাচাও তৈরি করা হয়। কিন্তু বছর না যেতেই আবারো এলাকাটি বেদখল হয়ে যায়।
ট্রাকঘাট এলাকার ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম মিয়াজী জানান, সেখানে দুই শ্রেণীর ইট-বালুর ব্যবসায়ী রয়েছেন। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী শুধু সড়ক পথে মালামাল বিক্রি করেন। আরেক শ্রেণী হচ্ছে নদীপথে এনে পাড়ে রেখে চলে যান। যারা নৌপথে মালামাল আনেন তারা বিআইডাব্লিউটিএর লোকদেরকে মালামাল উঠানোর জন্য টাকা দেন। নদীর পাড় দখল করে তাদের মালামাল মজুদ রাখা হয়।
চাঁদপুর নদীবন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে স্থানীয় লোকজন পরিবেশের ভারসাম্য নষ্টকারী ব্যবসা স্থানান্তর করার জন্য দাবি তোলেন। এরপর এলাকাবাসী মানববন্ধন ও পথসভা করেন। সে আলোকে ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বিআইডাব্লিউটিএ ডাকাতিয়া নদীর পাড়সহ অবৈধ দখল উচ্ছেদ করেন। কিন্তু এক বছরের মধ্যেই পুনরায় ওই ব্যবসায়ীরা ব্যবসা চালু করেন।
চাঁদপুর নদীবন্দরের উপ-পরিচালক এবং বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি চাঁদপুরে আসার আগে দখলমুক্ত হয়। কিন্তু এখন আবার দখল হলেও আমরা কি করব। যে সব ব্যবসায়ীরা মালামাল উঠাচ্ছেন তাদের কাছ থেকে আমরা একটা টাকা নেই। বন্দর এলাকায় মালামাল উঠাতে না পারলে ব্যবসায়ীরা কোথায় যাবে। অবৈধভাবে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে কাটা তারের প্রাচীর ভেঙে দখল সম্পর্কে কিছু বলতে রাজি নন এ কর্মকর্তা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ