Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর


প্রশ্ন : বেশ কিছুদিন হলো বিবাহ করেছি, তারা তিন বোন, সে ছোট। প্রথমদিন শ্বশুরবাড়ি গিয়েই দেখি স্ত্রীর বড় দুলাভাই শালীদের জড়িয়ে ধরে ও চুমু খায়। আমার শাশুড়িও বলেছে বড় জামাই শালীদের বোনের মত দেখে, এটা স্বাভাবিক। আমার স্ত্রী ও দুলাভাইরা একে অপরকে ইয়ার্কি করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ইমো, ম্যাসেঞ্জারে কে কি করছে সে ছবি দেয়, গালিগালাজ করে। যা আমার কাছে দৃষ্টিকটু লাগে। এসব ব্যাপারে স্ত্রীকে বলায় আমাকে ছোট মনমানসিকতার বলা হয়েছে। এসম্পর্কে বিধান কি?

উত্তর : আপনি যে বর্ণনা দিয়েছেন, আমাদের সমাজে ভাই বোনেরা পরস্পরে কি এমন করে? বোনেরা আপন ভাইয়ের সাথে যতটুকু খোলামেলা, ভাইয়ের মতো বা বোনের মতো দেখলেও অন্যরা এমন খোলামেলা আচরণ করতে পারে না। ইসলামে ভাইয়ের মতো বা বোনের মতো এমন...




প্রশ্ন : আমি ছোটোখাটো ব্যবসা করছি। কোনোরকম দিন চলছে। কিন্তু খুব কষ্টে। বাড়িভাড়াসহ যাবতীয় খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। নিজস্ব জায়গাজমি নেই। আমি চেয়েছিলাম ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিছু জমি কিনি। যাতে বাড়িভাড়া থেকে অন্তত বেঁচে থাকতে পারি। কিন্তু ব্যাংক থেকে লোন নিতে গেলে ব্যবসার কথা বলে নিতে হয়। এ নিয়ে আমি ব্যাংকের সাথে লেনদেনও করেছি। যখন লোন প্রসেসিং করতে যাবো তখন আমাদের এলাকার মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছে লোনের ব্যাপারে জানতে চেয়েছি। তিনি সরাসরি বলেছেন, লোন হারাম। এটা সুদ। আসল কথা হচ্ছে- ব্যাংক লোন কি সত্যিই হারাম ? যদি তাই হয় তাহলে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো যে লোন নিয়ে বিজনেস করছে সেগুলো কী ? ব্যাংক লোন ছাড়াও এনজিও বা সমিতি থেকে কিস্তি বা লোন নেয়া কী জায়েজ হবে ব্যবসার পরিধি বাড়ানোর জন্য ? যদি হারাম বা সুদ হয়ে থাকে, তাহলে আমার করণীয় কী?

উত্তর : হালাল পদ্ধতিতে লোন নেওয়া সম্ভব হলে নিতে পারেন। তবে, আমাদের দেশে প্রচলিত লোনের পদ্ধতি ব্যাংক বা সমিতিতে যা চালু আছে, এর প্রায় সবই হারাম। কারণ, এসবে সুদ থাকে। সুদবিহীন লোন কিংবা বিনিয়োগ খুঁজে বের করুন। নির্দিষ্ট বিষয়টি বিজ্ঞ...




প্রশ্ন: আমি ছোটো থাকতে বাসার বাজারের টাকা থেকে কিছু টাকা মেরে দিতাম। এছাড়াও বাবার পকেট থেকে টাকা চুরি করতাম। আমি অনেক ক্রেতার কাছ থেকে দাম ইচ্ছে করেই বেশি নিয়েছি। দোকান থেকে টাকা চুরি করেছি। অনেকের হক খেয়েছি। এখন বুঝতে পেরেছি যে, অন্যের হক হরণকারীকে আল্লাহ কখনো ক্ষমা করেন না। এখন এসব পরিশোধ করবো কীভাবে? আমার সে সামর্থও নেই যে তাদের কাছে টাকা ফেরত দেবো বা তাদের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ার মতো ব্যবস্থাও নেই। আমি টুকিটাকি দান-সদকা করি এই নিয়তে যে, আমার এই দানগুলো যাদের হক খেয়েছি, তাদের আমল নামায় লিপিবদ্ধ হোক। এটা কি আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য?

উত্তর : আপনার বুঝের জন্য আল্লাহর শোকরিয়া করুন। যতদূর সম্ভব আদায় করে করে হালকা হোন। যেখানে আদায় করা সম্ভব নয়, ক্ষমা চেয়ে নিন। যেখানে এটাও সম্ভব নয়, তাদের নিয়তে যতটুকু সম্ভব দান-খয়রাত করতে থাকুন। এরপরও তাদের জন্য রহমত ও মাগফেরাতের...


আর্কাইভ
রোব সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ