উত্তর : একজন মুসলমানের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত, বরকতপূর্ণ সালাম দেওয়ার যে বিধান ইসলামে রয়েছে, তা কেবল মুসলমানদের জন্যই। অমুসলিমকে সালাম দেওয়া যাবে, তবে তা ইসলামের সালাম নয়, সামাজিক ও মানবিক সালাম। এটি প্রচলিত নির্দোষ যে কোনো পন্থায় হতে পারে। বলা হয়, শান্তি অবস্থায় অমুসলিমদের জন্য সালাম এরকম ‘আসসালামু আলা মানিত্তাবাআল হুদা’। অর্থাৎ, আল্লাহর দেখানো পথ গ্রহণকারী এ সালামের উপযুক্ত। কোনো অমুসলিম সম্ভাষন জানালে তার প্রতিউত্তর, গোনাহ হয় না এমন যে কোনো উপায়ে দেওয়া চলে। অমুসলিম যদি মুসলমানের মতো...
উত্তর : আকিকার নিয়ম মূলত দুম্বা, ছাগল বা খাসি দিয়ে দেওয়া। ইজতেহাদ করে বিশেষজ্ঞ ফকীহগণ বড় পশুর ভাগ দিয়েও আকিকা করা যায় বলে মত প্রকাশ করেছেন। যার ওপর উম্মতের আমলও পাওয়া যায়। তবে, খাসী দিয়ে দিতে পারলে কেউ গরু দিয়ে...
উত্তর : রাতের ভেতর চারটি প্রহর থাকে। ধরে নিন, চার ঘণ্টা করে। প্রথম প্রহরের এশা পড়া উত্তম। দ্বিতীয় প্রহর পার হয়ে গেলে মাকরূহ ওয়াক্ত এসে যায়। তবে এমনিতে কোনো উজর বশতঃ ফজর হওয়ার আগ পর্যন্তই এশা পড়া যায়। দুই সেজদার...
উত্তর : পর্দার উদ্দেশ্য নারীর প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বাইরে প্রকাশিত হওয়া থেকে বিরত থাকা। এটি ভদ্র পোশাক, সঙ্গে (জিলবাব) বা বড় চাদর এবং (খিমার) বড় উড়না এসব দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখা উদ্দেশ্য। এমনকি সব ঢাকার পরও প্রকাশিত সৌন্দর্য পরপরুষের সামনে প্রদর্শন...
উত্তর : অজু ছাড়া কোরআন তেলাওয়াত ও তরজমা পড়া যায়েজ। প্রশ্ন হলো, স্পর্শ করা নিয়ে। মোবাইলে যে কোরআন থাকে তা মুদ্রিত নয়। এটি আলোর মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু ডট মাত্র। আয়াতের ওপর স্পর্শ না করে, অজু ছাড়া মোবাইলটি হাতে রেখেও তেলাওয়াত...
উত্তর : প্রশ্নে বর্ণিত কথাগুলোর কোনো ভিত্তি নেই। এমন হয় না। চন্দ্রগ্রহণ বা সূর্যগ্রহণের সময় সুন্নত নামায শুধু গর্ভবতীদের জন্য নয় বরং সব মুসলমানের জন্য বিধিবদ্ধ রয়েছে। আমাদের দেশে রেওয়াজ নেই তবে মক্কা মদীনাসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় এ সুন্নত নামায...
উত্তর : একটি প্রাণী সাদকা দেওয়া মানে এটি আল্লাহর রাস্তায় উৎসর্গ করা। যারা যাকাত ফিতরা নিতে পারে তারাই কেবল সাদকা নিতে পারে। এমন কাউকে দিয়ে দেন, জবাই করলে গোশত বা তরকারী শুধু এমন মানুষকেই দিতে হবে। নিজে বা ধনী কোনো...
উত্তর : সন্তান জন্মের পূর্বে হালাল খানা খাওয়া, নিজেদেরকে পবিত্র রাখা, দোয়া পড়া। পেটে আসার পর মা পর্দায় থাকা। আল্লাহর ধ্যানে ইবাদতে সময় কাটানো। খারাপ চিন্তা, খারাপ কথা, খারাপ দৃশ্য থেকে দূরে থাকা। শিশু জন্মের পর আজান ও ইকামত শোনানো।...
উত্তর : মসজিদ ইবাদত-বন্দেগী, জ্ঞান, চর্চা ও সাধারণ সৎকর্মের জায়গা। এখানে অর্থহীন কথাবার্তা বলা ও বেহুদা কাজকর্ম করা নিষিদ্ধ। ইসলামী ভাবধারার নির্দোষ পত্র-পত্রিকা মসজিদে বসেও পড়া যেতে পারে। তবে প্রাণীর ছবিযুক্ত সচিত্র কোনো পত্রিকা মসজিদে বসে পড়া উচিত নয়। বাজে-বেহুদা...
উত্তর : মিথ্যা বলা মহাপাপ। বলা হয়, মিথ্যা বলা সকল অপকর্মের শিকড়। একটা মানুষ যদি মিথ্যা বলা ছেড়ে দেয় তাহলে সে অনেক অনেক পাপ ও অন্যায় কর্ম এমনিতেই ছেড়ে দিতে বাধ্য হবে। কেননা, মিথ্যা বলার সুযোগ নিয়েই মানুষ অনেক অপরাধ...
উত্তর : এটি আরবী বাক রীতির অংশ। সেখানে এক ব্যক্তি ‘আমি’ বলে। মহান অর্থে ‘আমি’র জায়গায় ‘আমরা’ও বলে। এটা কেবল কোরআন শরীফে নয়, আরবী সাহিত্যে প্রচুর দেখা যায়। যেমন, একজনকে বলা হয় ‘আলাইকা’ কিন্তু আমরা সালামের সময় বলি ‘আলাইকুম’। যার...
উত্তর : যদি সন্দেহ প্রবল হয়ে নিশ্চয়তার কাছাকাছি চলে যায়, তাহলে না খাওয়াই ভালো। তবে সন্দেহ প্রবণতা প্রশংসনীয় নয়। মানুষকে, সমাজকে ও পরিবেশকে বিশ্বাস করাই স্বাভাবিকতা। মুসলিম দেশে, মুসলিম প্রধান এলাকায় জবাই করা হালাল পশু খাওয়া জায়েজ। সন্দেহ পোষণ করাই...
উত্তর : পিতার যত বদভ্যাসই থাকুক, তার সাথে কথা কাটাকাটি করা চলবে না। সম্পর্ক নষ্ট হওয়ার তো প্রশ্নই উঠে না। সন্তানের জন্য এটাই আল্লাহর বিধান। আল্লাহর সাথে যেরকম গোলামির সম্পর্ক কোনো কারণেই ছিন্ন করা যায় না। বান্দাদের মধ্যে পিতা-মাতাও এমন...
উত্তর : মায়ের জন্য মন কাঁদবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সব সন্তান সারা জীবন মায়ের সাথে থাকতে পারে না। নানা কারণে তাকে দূরে যেতেই হয়। ধীরে ধীরে অভ্যাসও হয়ে যায়। আপনি কাজকর্ম ও ইবাদতে মনোযোগী হন। সুযোগ হলে মাকে এসে দেখে...
উত্তর : বৈধ ব্যবসায়িক লেনদেন, কর্জ, দান ও নির্দোষ হাদিয়া ছাড়া শরিয়তে অনিশ্চয়তাপূর্ণ কোনো লেনদেন জায়েজ নেই। মজার জন্য বা লাভের জন্য বাজি ধরা এক ধরনের জুয়া। যা থেকে একপক্ষ বিনা কারণে লাভবান হয়, অপরপক্ষ সর্বস্ব হারায়। ফলে অনেক ধরনের...