উত্তর : স্ত্রী জীবিত থাকা অবস্থায় একই সাথে তার আপন বোন, ভাগ্নি, ভাগ্নির দিকে নাতনি কাউকেই বিয়ে করা জায়েজ নেই। বরং তাদের সাথে কঠোর পর্দা আছে। কারণ, স্ত্রীর মৃত্যুর পর তাদের কোনো একজনকে বিয়ে করা যাবে। শরিয়তের মূল নীতিটি জেনে রাখলে সহজ হবে, ‘যে মেয়েটি পুরুষ হলে আপনার স্ত্রীকে বিয়ে করতে পারত না এমন মেয়েকে স্ত্রীর সাথে একত্রে বিয়ে করা জায়েজ নেই।’ ওপরের সম্পর্কগুলো এমন। কিন্তু স্ত্রী না থাকা অবস্থায় অন্যসব দিকে মিল হলে এদের একজনকে বিয়ে করা জায়েজ। সূত্র :...
উত্তর : উত্তম হলো অজ্ঞাত মালিকের ওয়াইফাই লাইন পেলেও ব্যবহার না করা। তবে যতদূর জানা যায়, একটি ওয়াইফাই লাইনের খরচ অধিক ব্যবহারেও কমবেশি হয় না। নির্দিষ্ট টাকা দিলেই চলে। মালিকের যে সমস্যাটা হতে পারে সেটি হচ্ছে, তার নিজের ওয়াইফাই ব্যবহার...
উত্তর : স্বামীর প্রতি স্ত্রীর দায়িত্ব তিনটি: ১. স্বামীর দৈহিক, মানসিক সংগ দেওয়া। ২. তার বিশ্বাস, আস্থা, সংসার, সন্তান ও সহায়-সম্পদ রক্ষণাবেক্ষণ করা। ৩. শরীয়তসম্মত ও সামাজিক বিষয়ে স্বামীর আনুগত্য করা। সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।উত্তর দিয়েছেন...
উত্তর : (ক) দুধ ভাই বোন কিছুই পাবে না। (খ) শর্ত ছাড়া, হাত পাতা ছাড়া, পাওয়ার আশা ছাড়া প্রাপ্ত সব টাকা-পয়সা, খাদ্য, জামা-কাপড়, ঈদের উপহার, হাদিয়া ইত্যাদি তারাবীহ পড়ানো সম্মানিত হাফেজ সাহেব নিতে পারেন। (গ) কাতার পূরণের জন্য অন্যকে কষ্ট...
উত্তর : বিয়ে হবে। যদি ইসলামী শরিয়ত অনুসরণ করা হয় তাহলে নাবালিকাকেও তার সম্মতি বা কবুল বলা ছাড়াই বৈধ অভিভাবক বিয়ে দিতে পারেন। এ বিয়ে মেয়েটি সাবালিকা হওয়ার সাথে সাথে অনতিবিলম্বে ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য কাজী বা বিচার কর্তৃপক্ষকে বলতে পারে।...
উত্তর : অমুসলিম বন্ধু-বান্ধবের সাথে গুনাহর কাজ ছাড়া অন্য সব কিছুতে অংশ নেয়া যেতে পারে। আপনার বন্ধুরা যতক্ষণ স্বাভাবিক কাজে থাকে, ততক্ষণ তারা আপনাকে পাশে পাবে এটাই নিয়ম। কিন্তু তাদের বন্ধুত্বের টানে আপনি শিরক ও কুফরি করতে পারেন না। হারাম...
উত্তর : জায়েজ আছে। শর্ত হলো, মুরগির ড্রেসিংটি তার নাপাক অঙ্গ বর্জ্য ছাড়া করতে হবে। গরম পানিটিও পাক হলে ভালো। এরপরও নিজেরা পবিত্র পানি দিয়ে এ মুরগির গোশত ভালো মতো ধুয়ে নিতে হবে। সুবিধা থাকলে সতর্কতার জন্য মেশিনে ড্রেসিং না...
উত্তর : দাঁড়িতে কলপ দেয়া জায়েজ। কড়া কালো রঙ না দেয়া ভালো। কেননা, এটি মাকরূহ। উত্তম হলো মেহেন্দি দেয়া। এ ছাড়া হারবাল কালার দেয়া যায়। ব্রাউন/অ্যাশ/বøু বা মিশ্র রঙ দেয়া যায়। শর্ত হলো, রঙ যেন চুল-দাঁড়ির সাথে নিঃশেষে মিশে যায়।...
উত্তর : দেবতার উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত ও তাদের বলি দেয়া পশু খাওয়া হারাম। তবে, অন্যান্য খাদ্যদ্রব্য, ফলমূল খাওয়া নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এক শ্রেণীর আলেম এগুলোকে আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে জবাই ও উৎসর্গকৃত পশুর মতোই হারাম বলেছেন। আরেক শ্রেণীর কিছু আলেম বলেছেন,...
উত্তর : আপনারা কয়েকজন যুবকের সবাই কি মুসলিম? যদি মুসলিম হয়ে থাকেন, তাহলে পূজার জন্য চাঁদা তোলা ও এসব মন্ডপে দেয়া জায়েজ হবে না। যদি অমুসলিমও থেকে থাকে, তা হলে শুধু তারা এ কাজ করতে পারে। তবে শর্ত হলো, কোনো...
উত্তর : সাবান, জেলি, লিপস্টিকসহ বহু প্রসাধনীতেই অনেক সময় পশুর চর্বি ব্যবহৃত হয়। উৎপাদন উপকরণের তালিকা থাকলে দেখে সাবধান হওয়া যায়। তালিকা না থাকলে মানুষ সন্দেহে পড়ে। এক্ষেত্রে যারা জানেন, তাদের পরামর্শ নেয়া জরুরি। সুতরাং শূকর বা অন্য হারাম প্রাণীর...
উত্তর : না। এমন কোনো নিয়ম শরিয়তে স্বীকৃত নয়। মৃত ব্যক্তিকে দাফনের পর লোকজন কিছুটা দূরে সরে গেলেই ফেরেশতাদের প্রশ্নোত্তর শুরু হয়। কবরের বাইরে থেকে ওয়ারিশান বা হুজুররা কোনো নির্দেশনা দিলেও কবরে শায়িত ব্যক্তির এতে কোনো উপকার হয় না। এটি...
উত্তর : আপনি শান্তি চাইলে না জানার ভান করতেই থাকুন। যদি আপনার স্বামীর এ আসক্তি বৈধ উপায়ে হয়ে থাকে, তাহলে আপনার ক্ষোভ কিছু কম থাকা ভালো। দেশীয় আইনে আপনার অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করলে আপনার স্বামীকে আপনি জেল জরিমানা করতে...
উত্তর : রাষ্ট্র ও সমাজের ভয়ে বৈরী পরিবেশে নিজের ইসলাম গ্রহণ গোপন রাখা যায়। সময়-সুযোগে প্রকাশ করবেন, না হলে যেভাবে আছেন সেভাবেই আল্লাহর ইবাদত ও সংসার জীবন চালিয়ে যাবেন। একটি কথা জেনে রাখা প্রয়োজন, আপনার দাবি অনুযায়ী ‘গোপনে ইসলাম গ্রহণ...
উত্তর : বিবাহপূর্ব মিলন অবশ্যই জেনা হয়েছে। এ জন্য সারাজীবন কঠিন তওবা ও কান্নাকাটি করে যেতে হবে। যেহেতু পরে বিয়ে করেছেন, তাই বর্তমানে স্বাভাবিক জীবন যাপন করুন। তওবা ইস্তেগফার ও দোয়া বন্ধ করবেন না। মৃত্যু পর্যন্তই ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকুন। সূত্র...