পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতিরি সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেছেন, রাষ্ট্রের প্রধান হচ্ছেন প্রেসিডেন্ট। কাজেই প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান বিচার বিভাগকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করুন।
গতকাল শনিবার দুপুরে সমিতির শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনের সভাপতি ও সম্পাদকের নেতৃত্বে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন সমিতির সভাপতি। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার বিদেশ যাওয়ার আগে দেয়া বক্তব্য নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন।
লিখিত বক্তব্য জয়নুল আবেদীন বলেন, আইনজীবী সমিতি যা এত দিন দৃঢ়তার সাথে বলে আসছে তাই সত্য হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা আজ সারা দেশের আপামর জনগণ এবং আইনজীবীদের সর্বত্র সহযোগিতা কামনা করছি বিচার বিভাগ রক্ষার আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য। এই হামলা বিচার বিভাগের ওপর নয়, এই হামলা বাংলাদেশের সংবিধানের ওপর। আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবেলা করি। প্রধান বিচারপতি দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন তিনি আবার ফিরে আসবেন, দেশবাসীও তাই কামনা করে।
তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্রের তিন বিভাগ শাসন, আইন ও বিচার বিভাগ। সংবিধান অনুসারে বিচার বিভাগ হচ্ছে সংবিধানের অভিভাবক। সেই অভিভাবককে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিমান দুঃখজনক। প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাচ্ছি, অভিমান ভুলে বিচার বিভাগ রক্ষায় এগিয়ে আসুন।
এই আইনজীবী নেতা আরো বলেন, আরেকটি কথা বলতে চাই, রাষ্ট্রের প্রধান হচ্ছেন প্রসিডেন্ট। কাজেই প্রেসিডেন্টের প্রতি আহ্বান, বিচার বিভাগকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করুন। সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, প্রশ্ন এসেছে, প্রধান বিচারপতি অসুস্থ নন। আইনমন্ত্রী বলেছেন, উনি অসুস্থ, চিঠি পেয়েছেন। ওই চিঠি প্রধান বিচারপতির নয় দাবি করে তিনি বলেন, ওই চিঠি আইন মন্ত্রণালয়ের তৈরি করা চিঠি।
অ্যাটর্নি জেনারেল প্রথম জানিয়েছিলেন যে উনি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন; উনি কীভাবে জানলেন? রাষ্ট্র জড়িত আছে বলেই উনি জেনেছেন। এ জন্য অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। এসময় সহ-সভাপতি উম্মে কুলসুম বেগম, সহ-সম্পাদক শামীমা সুলতানা, সদস্য শেখ তাহসিন আলী উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন নিয়ে হট্টগোল : প্রধান বিচারপতির বিদেশ যাওয়ার আগে দেয়া বিবৃতির নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা নিয়ে সমিতির বিএনপি এবং আওয়ামী সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে এক ধরনের হট্টগোল বেধে যায়। এসময় উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে বাগি¦তন্ডা চলে। এসময় সমিতি প্রাঙ্গণে এক ধরনের উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। যদিও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়নি। প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহার বিদেশ যাওয়ার আগে দেয়া বিবৃতিতে দেয়ার প্রেক্ষাপটে গতকাল দুপুরে সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রথমে সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি ও সম্পাদকসহ (বিএনপি-সমর্থিত) আইনজীবী নেতারা।
একই স্থানে সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ অজি উল্লাহর নেতৃত্বে (আওয়ামী-সমর্থিত) আইনজীবী নেতারা সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন। এ অবস্থায় বিএনপি-সমর্থক ও আওয়ামী লীগ-সমর্থকদের প্রায় ১০ মিনিটের মতো বাগি¦তন্ডা চলতে থাকে। একপর্যায়ে সমিতির সহ-সভাপতি বক্তব্য উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। বিএনপি-সমর্থক আইনজীবীরা আপত্তি জানাতে থাকেন। এক ধরনের উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় সমিতির সভাপতি বলেন, সমিতির সভাপতির বক্তব্যের পর অন্য কোনো ব্যক্তির আইনজীবী সমিতির নামে কোনো সংবাদ সম্মেলন বা কোনো কিছু করার এখতিয়ার নেই। যদি কেউ এরকম কিছু বলেন, তা তার ব্যক্তিগত। কেউ এমন চেষ্টা করলে তা আইনজীবী সমিতির বক্তব্য হবে না। পরে সহ-সভাপতি সমিতির প্রবেশপথে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন।
এদিকে বিচার বিভাগ নিয়ে উদ্ভ‚ত পরিস্থিতিতে আজ (রোববার) ফের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করবে আইনজীবী সমিতির বিএনপির-সমর্থিত আইনজীবীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।