Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে -ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে মিথ্যাচার করে সরকার সমস্ত বিচার বিভাগকে অপমানিত করেছে, প্রধান বিচারপতি তো একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি আরো বলেন, প্রধান বিচারপতি লিখিত যে বিবৃতি দিয়ে গেছেন, তাতে অত্যন্ত সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি অনেক সত্য কথা বলে গেছেন। সরকারের আচরণে প্রধান বিচারপতি বিব্রত হওয়ার কারণে বিদেশ চলে গেছেন, যা চমৎকার একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। গতকাল শনিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ভবনের সাংবাদিকদের সামনে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বিদেশ যাওয়ার আগে তার বাস ভবনের সামনে গতকাল একটা লিখিত বক্তব্য দিয়ে গেছেন। ওই বক্তব্যের মাধ্যমে আজকে দুটি জিনিস প্রমাণিত হলো। তার মধ্যে একটি হলো দুই অক্টোবর লেখা আইনমন্ত্রী যে চিঠি দেখিয়েছেন সে চিঠি প্রধান বিচারপতি লিখেন নাই এবং তিনি তাতে সইও করেন নাই। আরেকটা হলো প্রধান বিচারপতি কখনোই অসুস্থ ছিলেন না। তিনি সুস্থ ছিলেন সে কথাই জাতির কাছে বলে গেছেন।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, দুই অক্টোবরের লেখা প্রধান বিচারপতির যে চিঠি দেখানো হয়েছিল। সেটা ছিল একটি ভুয়া চিঠি। আইনমন্ত্রী যে চিঠিটা আপনাদের দেখিয়েছিল তাতে ছয়টি বানান ভুল ছিল। তাতে তার (প্রধান বিচারপতি)সই কিনা তাতে সন্দেহ দেখা গেছে। প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে যে সমস্ত মিথ্যাচার করছে তাতে বিচার বিভাগকে অপমানিত করা হয়েছে এমনটি উল্লেখ করে মওদুদ আহমদ বলেন, এর প্রতিক্রিয়া হবে গভীর। এটা কখনো কল্পনাও করা যায় না। তিনি বলেন, সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনী সহায়তা না নিয়ে রিভিউ করার সুযোগ থাকা সত্বেও প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্যমন্ত্রীরা যে বক্তব্য দিয়েছেন তাতে এটাই প্রমাণিত হয় যে, বর্তমান সরকার স্বাধীন বিচার বিভাগের বিশ্বাস করে না। এবং সুপ্রিম কোর্টের ভাবমূর্ত মর্যাদা সম্মানে তারা বিশ্বাস করে না। সেটাই বিচারপতি সিনহা কালকে যাওয়ার সময় নিশ্চিত করে গেছেন।
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি অত্যন্ত সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। তিনি অত্যন্ত সুস্পষ্ট করে বলেছেন, আমি স্বেচ্ছায় যাচ্ছি। কালকে ওনি অনেক সাহসের পরিচয় দিয়েছেন। ওনার কথাটা জাতির কাছে তুলে ধরেছেন। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকবে কি না সেটা নিয়ে তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। আমরা এখনো মনে করি, তাকে বাধ্য করে এ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার স্বাস্থ্যগত কারণ যেটা সেটাও সঠিক নয়। বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে তিনি স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন। তিনি কিন্তু এ কথাও বলেছেন তিনি থাকলে আরও বিব্রতকর অবস্থা সৃষ্টি হবে এ কারনেই তিনি চলে গেছেন। এতে তিনি চমৎকার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তিনি গেছেন। ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ