পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চীনা সৈন্যরা এখনো দোকলাম অঞ্চলে অবস্থান করছে বলে খবরের মধ্যে সীমান্ত বিরোধের বিষয়টি নিয়ে ভুটান নয়া দিল্লীতে চীনের ক‚টনৈতিক মিশনের সাথে পুনরায় আলোচনা করেছে। তবে দোকলামে ভারত ও চীনা সৈন্যরা যেখানে মুখোমুখি অবস্থায় ছিল চীনা সৈন্যরা সেখান থেকে বর্তমানে দূরে অবস্থান করছে বলে খবরে বলা হয়।
নয়া দিল্লীর ক‚টনৈতিক সূত্রগুলো জানায়, ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত ভেস্টপ নামগিয়েল দোকলাম অঞ্চলে চীনা তৎপরতা নিয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর চীনের রাষ্ট্রদূত লুয়ো ঝাও হুই-এর সাথে আলোচনা করেন। চীন ও ভারত ২৮ আগস্ট দোকলামে তাদের মুখোমুখি অবস্থান থেকে সৈন্য সরিয়ে নেয়ার কথা ঘোষণার ঠিক এক মাস পর তাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে তারা দু’দেশের মধ্যে শিগগিরই আরেক দফা সীমান্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
উল্লেখ্য, দোকলাম মালভূমিকে চীন নিজেদের ভূখন্ড বলে দাবি করলেও ভুটান ও ভারত তা মানে না। ভুটান দোকলামকে তার এলাকা বলে দাবি করে। সংবাদ মাধ্যমের গত দু’সপ্তাহের খবরে বলা হয়, দোকলামে ভারত ও চীনের সৈন্যরা যেখানে মুখোমুখি অবস্থানে ছিল চীনা সৈন্যরা বর্তমানে সেখান থেকে ৮-৯শ’ মিটার দূরে অবস্থান করছে। অন্যদিকে তারা যেখানে রাস্তা নির্মাণ করছিল সেখান থেকে তাদের সকল নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নিয়েছে। এদিকে উপ্রগ্রহ ভূ-চিত্র থেকে দেখা যায়, মুখোমুখি অবস্থানের স্থান থেকে ১০-১২ কি মি উত্তরে চীনারা বর্তমানে একটি সড়ক নেটওয়ার্ক নির্মাণের কাজ করছে।
চীন যখন ভারতের প্রভাব বলয় থেকে ভুটানকে দূরে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে তখন ভুটান-চীন-ভারত ত্রিদেশীয় সীমান্ত নিয়ে থিম্পুর পদক্ষেপ ভারতের জন্য খুবই গুরুত¦পূর্ণ বিষয়। চীনা রাষ্ট্রদূতের সাথে ভুটানের রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের ঘটনাটি এ খবরের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ যে চীন দোকলাম অঞ্চলে সক্রিয় রয়েছে এবং চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ঘাঁটি ইয়াতুং থেকে চীন ও ভুটানের মধ্যকার বিতর্কিত এলাকা পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের সম্ভাবনা পরীক্ষা করছে।
গত জুন মাসে দোকলাম মালভ‚মি নিয়ে ভারত-চীন অচলাবস্থা সৃষ্টির পর ভুটান এ ব্যাপারে প্রতিবাদ জানানোর পর সম্পূর্ণ নীরব থাকে। ৭৪ দিন পর সঙ্কটের অবসান ঘটলে থিম্পু এক বিবৃতিতে তাকে স্বাগত জানায় এ বলে যে ঘটনাটি শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে এবং বিদ্যমান চুক্তির প্রেক্ষিতে ভুটান, চীন ওভারত সীান্তে স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে।
ভুটানের এ বিবৃতি ভারতের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ এ কারণে যে তা চীনের সামনে এ কথা বলেছে যে চীন যদি দোকলামের বিরোধিত এলাকার স্থিতাবস্থা পরির্তনের জন্য একতরফা পদক্ষেপ নেয় সেক্ষেত্রে হত্তক্ষেপ করার ভারতের বৈধ অধিকার আছে। এ প্রেক্ষিতে ২০১২ সালে স্বাক্ষরিত ভারত-চীন চুক্তি মোতাবেক তৃতীয় দেশের সাথে আলোচনার পর তবেই কোনো ত্রিমুখী সড়ক প্রতিষ্ঠা করা যাবে বিষয়টি ভারত ও ভুটানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
চীনের গেøাবাল টাইমস পত্রিকার সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়, দোকলাম অঞ্চলে রাস্তা নির্মাণ একটি নতুন প্রবণতা হতে যাচ্ছে। চীন দক্ষিণমুখী রাস্তা নির্মাণ বন্ধ করে দেয়ায় ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার আর কারণ নেই। ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভুটান এ অঞ্চলে চীনের সাথে তার সীমান্ত বিরোধ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
বলা প্রয়োজন যে দোকলামে চীনা নিয়ন্ত্রণ মাউন্ট রিমপোচির ত্রিদেশীয় সীমান্ত মোড় পর্যন্ত অগ্রসর হওয়ার কথা ছিল। এটা হলে ভারতের ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের জন্য তা দুর্বলতা সৃষ্টি করত। দোকলাম সঙ্কটের সময় চীনের কিছু মিডিয়ায় বলা হয় যে ভারতের চাপে ভুটান চীন বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। ভারতীয় কর্মকর্তারা একে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। তারা বলেন, ভুটান অতীতে কখনো দোকলামের উপর চীনের দাবি মেনে নেয়নি এবং চীনের সাথে ২০ দফারও বেশি বৈঠকে এ এলাকার উপর তার সার্বভৌমত্বের বিষয়টি উত্থাপন করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।