পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের শিশুর দাঁতের ক্ষয় রোগী সংখ্যা বাড়ছে। নিয়মিত ও সঠিক পদ্ধতিতে দাঁত পরিস্কার না করায় এই রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ। সঠিক নিয়মে দাঁত পরিস্কার রাখলে ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
দাঁতের ক্ষয়রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে বিশ্বে প্রতি বছর ১৪ অক্টোবর ‘ওয়ার্ল্ড কেভিটি ফ্রি ফিউচার ডে’ পালন করা হয়। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছেÑ দাঁতের ক্ষয়রোধে মোরা এক সাথে, সুস্বাস্থ্যের ভবিষ্যত গড়ার পথে। তবে এবারই বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হয়। দিবসটিকে সামনে রেখে আত্মপ্রকাশ করে ‘বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর ওরাল হেলথ প্রমোশন অ্যান্ড ডিজিজ প্রিভেনশন (বিএএফওএইচপিপি)’। দিবসটি উপলক্ষে সংগঠনটি গতকাল শনিবার সকালে রাজধানী কলাবাগানের লেক সার্কাস বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাঁতের ক্ষয়রোগ সম্পর্কে পরামর্শ প্রদান, বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান ও র্যালী করেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, নিয়মিত ও নিয়মানুযায়ী দাঁত পরিস্কারের বিকল্প নেই, মিষ্টি জাতীয় খাদ্যের পরিবর্তে স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণে উৎসাহিত হই এবং ছয় মাস পরপর ডেন্টাল চেক-আপ করতে হবে। এসব বিষয়ে স্কুল শিক্ষার্থীদেরকে অন্য শিশুদের জানাতে হবে। পরে রাজধানীর বাংলামোটরের একটি হোটেলে ওয়ার্ল্ড কেভিটি ফ্রি ফিউচার ডে বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেছেন, মানবদেহের গরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মধ্যে দাঁত একটি। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই দাঁতের সঠিক যতœ নেয় না। অজ্ঞতার কারণে শিশুরাও দাঁতের অসুখে ভুগে থাকে। তবে একটু সচেতন হলে শিশুর দাঁত আজীবন ভালো রাখা সম্ভব।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পেডোডনটিকস বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ফর ওরাল হেলথ প্রমোশন অ্যান্ড ডিজিজ প্রিভেনশন (বিএএফওএইচপিপি) এর প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. জেবুন নেছা বলেন, পৃথিবীর উন্নত ২৬টি দেশকে সদস্য হিসেবে নিয়ে ওয়ার্ল্ড কেভিটি ফ্রি ফিউচার ডে নামের একটি সংগঠন গঠিত হয়েছে। সংগঠনটি আগামী ২০২৬ সালের মধ্যে বিশ্বকে কেভিটি ফ্রি (ক্যারিজ মুক্ত) করার ঘোষণা দিয়েছে। এই লক্ষ্যের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছে বাংলাদেশও।
তিনি বলেন, শিশুদের ডেন্টাল ক্যারিজ বেশি হওয়ার কারণ- শিশুরা চকোলেট, আইসক্রিম ও মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া। ক্যারিজ হলে দাঁতের গোড়ায় পুঁজ হয়ে ফুলে যায় এবং ব্যথা হয় তখন টের পাওয়া যায়। ডেন্টাল ক্যারিজের মূল কারণ হচ্ছে অবহেলা, দাঁতের যতœ না করা। যতœ করলেও নিয়ম না মেনে করা। মানুষ ব্রাশ-পেস্ট দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে। কিন্তু ব্রাশ করার নিয়ম জানে না দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ। দাঁত ব্রাশের সঠিক নিয়ম হচ্ছেÑ রাতে খাবারের পর শোয়ার আগে এবং সকালে নাস্তা খাওয়ার পর। ব্রাশের পর নাস্তার ফলে দাঁত আবার নোংরা হয়ে যায়। মুখে নানা ধরনের জীবাণুর আগমন ঘটে। এভাবে চলতে চলতে দাঁতে ক্যারিজ হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।