পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আবারো অভিযান চালিয়েছে সড়ক ও জনপথ কর্তৃপক্ষ গতকাল সকাল ১০টায় অভিযান শুরু করে ৫০টির বেশি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এবারও উচ্ছেদ অভিযান থেকে বাদ রাখা হয়েছে সরকারি দলের দুটি স্থাপনা। এদের একটিতে আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ের সাইনবোর্ড ঝুলানো অপর একটি পাকা ভবনে মিষ্টির দোকান রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে. শামছুউদ্দিন আহাম্মদের নেতৃত্বে চলা উচ্ছেদ অভিযানে স্থানীয় পুলিশ সহায়তা করে।
উচ্ছেদ চলাকালে সরেজমিনে উপস্থিত থেকে দেখা গেছে, অভিযানের শুরুতে সড়কের উত্তর পাশে গড়ে উঠা খাবার হোটেল ফার্মেসি, টায়ারের দোকানসহ ৩০টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এরপর সড়কের পশ্চিম-দক্ষিণ কোনে অবস্থিত ২০টির বেশি অস্থায়ী দোকান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সরকারি দলের স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গেলে বাধার মুখে পড়ে উচ্ছেদকারীরা। সরকারি দলের ওই স্থাপনা রক্ষা করতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন ভুঁইয়া সেখানে লোকজন নিয়ে সকাল থেকেই অবস্থান করছেন। ওই অফিসটির সামনে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানের ছবি সম্বলিত ঝুলানো সাইনবোর্ড ও ব্যানারগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী দলীয় লোকজনকে অনুরোধ করেন। পরে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এসে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে দুই দিনের সময় নেন। উল্লেখ্য, গত জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে একই স্থানে উচ্ছেদ চালানোর সময় সরকারি দলের এই স্থাপনা দুটি বাদ রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে তারা আশপাশের জায়গা ভরাট করে ১৫টির বেশি দোকান বরাদ্দ দেয়।
উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছেন, তারা ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অগ্রীম দিয়ে সরকারি দলের এক নেতার কাছ থেকে দোকান বরাদ্দ নিয়েছিলেন। দৈনিক ভাড়াও দিতেন ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এখন তাদের সবই গেছে।
এ ব্যাপারে উচ্ছেদে নেতৃত্বে দেওয়া নারায়ণগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.কে. শামছুউদ্দিন আহাম্মদ বলেন, সরকারি দলের অফিসটি সরিয়ে নেওয়ার জন্য ২ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। পাকা ভবন তৈরি করে মিষ্টি দোকান বসানো সম্পর্কে তিনি বলেন, সেখানে জেলা প্রশাসনের নামে যাত্রী ছাউনীর সাইনবোর্ড লাগানো আছে। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়ে পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।