পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ নিয়ে জটিলতা কাটছে না। দর কষাকষির ফাঁদে আটকে আছে। চায়না হারবার কোম্পানী আগ্রহ দেখালেও তাদের দেয়া দর সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের চেয়ে প্রায় ৪৩ শতাংশ বেশি। এছাড়াও নির্মাণকাজের জন্য চায়না কোম্পানী ৮৭টি বিলাসবহুল গাড়ি দাবি করেছে। এর সাথে ৫০টি দামী মোটরসাইকেলও চেয়েছে কোম্পানীটি। তাদের এই দাবি নিয়ে আপত্তি তুলেছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে চায়না হারবার কোম্পানী তাদের চাহিদার কথা বিস্তারিত উল্লেখ করেছে। তাতে দেখা যায়, এক কোটি সাড়ে ছয় লাখ টাকা দামের ২৫টি বিলাসবহুল জিপ, ৫৩ লাখ ২৯ হাজার টাকা দামের ৪৯টি ডাবল কেবিন পিকআপ ও একই দামের ১৩টি মাইক্রোবাস চেয়েছে চায়না হারবার। এর সাথে ৫০টি মোটরসাইকেলের প্রতিটির মূল্য ধরা হয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার টাকা। ভ্যাট-শুল্কসহ এগুলো কেনায় মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, এই কাজের জন্য সওজ যে প্রস্তাব করেছে তাতে গাড়ি ও মোটরসাইকেলের দাম অনেক কম ধরা হয়েছে। সওজের প্রস্তাবে তিনটি জিপের দাম ধরা হয়েছে (ভ্যাট-শুল্ক ছাড়া) ৭৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ডাবল কেবিন পিকআপ ও মাইক্রোবাস ৩৭ লাখ ৯ হাজার করে এবং মোটরসাইকেল ৯২ হাজার টাকা। এক্ষেত্রে ভ্যাট-শুল্কসহ ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। চায়না কোম্পানীর প্রস্তাব অনুযায়ী গাড়ি ও মোটরসাইকেলের রক্ষণাবেক্ষণে ১১ কোটি ৩২ লাখ টাকা চাওয়া হয়েছে। এ খাতে সওজ দিতে চেয়েছে সাত কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
সূত্র জানায়, ঢাকা-সিলেট ২২৬ কিলোমিটার চার লেন মহাসড়ক নির্মাণে সওজ ব্যয় প্রাক্কলন করছে ১০ হাজার ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আর চায়না হারবার এ ব্যয় নির্ধারণ করেছে ১৪ হাজার ৪৭০ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ চার হাজার ৩৭৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা বেশি ব্যয় প্রস্তাব করেছে চীনের কোম্পানিটি। দ্বিতীয় প্রস্তাবেও সওজের প্রস্তাবিত দরের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তৃতীয় আরেকটি প্রস্তাব দিয়েছে চায়না হারবার। এক্ষেত্রে চার লেন নির্মাণে ১৪ হাজার ৫২৪ হাজার কোটি টাকা চেয়েছে কোম্পানিটি। আর সওজ কিছুটা বাড়িয়ে এ দর প্রস্তাব করেছে ১২ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। তবে এখনও দুই প্রস্তাবের মধ্যে এক হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা বা ১৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ দর পার্থক্য রয়েছে। নতুন প্রস্তাবে চার লেন নির্মাণে ভ্যাট ও শুল্ক নিয়ে দর কষাকষি করছে সওজ ও চায়না হারবার। এতে দেখা যায়, মূল ব্যয়ের সঙ্গে ১৩ শতাংশ ভ্যাট ও শুল্ক যোগ করে ১৪ হাজার ৫৬১ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রস্তাব করেছে সওজ। আর চায়না হারবার বলছে, মূল প্রস্তাবের বাইরে শুল্ক ও ভ্যাট বাবদ এক হাজার ৮৮৮ কোটি ১২ লাখ টাকা সরকারকে দিতে হবে। এতে চার লেন নির্মাণে ব্যয় পড়বে ১৬ হাজার ৪১২ কোটি ১২ লাখ টাকা। সূত্র জানায়, ঢাকা-সিলেট চার লেন মহাসড়ক নির্মাণে জমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও অন্যান্য ব্যয় যুক্ত করা হয়নি। এগুলো যোগ করা হলে প্রকল্পটির মোট ব্যয় ১৯ হাজার কোটি টাকায় গিয়ে ঠেকতে পারে। এতে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় পড়বে ৮৪ কোটি টাকা। অথচ গত বছর প্রাথমিক হিসাবে এ ব্যয় ধরা হয় কিলোমিটারপ্রতি ৫৬ কোটি টাকা। গত বছর অনুমোদিত এলেঙ্গা-রংপুর চার লেন মহাসড়ক নির্মাণে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় ধরা হয়েছে ৬০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। আর ২০১৪ সালে শুরু হওয়া জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইল হয়ে এলেঙ্গা চার লেনে কিলোমিটারপ্রতি ব্যয় হচ্ছে ৪৮ কোটি ছয় লাখ টাকা। এ হিসাবে চীনের অর্থায়নে প্রকল্পটির ব্যয় অনেক বেশি পড়বে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারনা।
এর আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা-সিলেট চার লেন নির্মাণে সম্ভাবতা যাচাই ও বিস্তারিত নকশা প্রণয়ন করা হয়। এতে চার লেন নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১২ হাজার ৬৬৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ব্যয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। এছাড়া পরিষেবা সংযোগ লাইন অপসারণ ও পরামর্শক ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ব্যয়ের এ চারটি অংশ বহন করবে বাংলাদেশ সরকার। আর জিটুজি ভিত্তিতে মহাসড়কটির নির্মাণ ব্যয় বহন করার কথা চীন সরকারের। তবে দর নিয়ে সমঝোতা না হলে প্রকল্পটি ঝুলে যেতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।