পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : ইউরোপীয় বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়। তিনি বলেন, আইসিটি খাতে বিনিয়োগে বাংলাদেশই হবে আগামীর গন্তব্য। প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন জানান, জার্মানির হ্যানোভারে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের সিবিট মেলায় প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ হিসেবে এক বক্তৃতায় জয় এ আহ্বান জানান।
বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে জয় বলেন, গত সাত বছরে বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিপ্লব ঘটেছে। বিনিয়োগ অব্যাহত থাকলে এ খাতকে ঈর্ষণীয় জায়গায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব। ‘সিবিট-২০১৬’ কে বলা হচ্ছে তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রদর্শনী। ডিজিটাল অর্থনীতির সংক্ষিপ্ত রূপ ‘ডিকোনমি’ শব্দটিকে প্রতিপাদ্য ধরে সোমবার শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ১৮ মার্চ পর্যন্ত। ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কাঠামো ও কর্মকা- কীভাবে আরও সহজ ও বাস্তবসম্মত করা যায়, তার নানা উপস্থাপনা এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল এবং এ আয়োজনের সহযোগী দেশ সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ইয়োহান নিকোলাস স্নাইডার মঙ্গলবার মেলায় উপস্থিত ছিলেন। ১ লাখ ৭৫ হাজার বর্গমিটার জায়গাজুড়ে আয়োজিত সিবিটের ৩১তম আসরে ২৮টি হলে অংশ নিয়েছে ৭০টি দেশের ৩ হাজার ২০০টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ এবারই প্রথম সিবিটে অংশ নিচ্ছে। বাংলাদেশী প্যাভেলিয়ন ছাড়াও রয়েছে দশটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠানের স্টল।
মেলায় বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বাংলাদেশ কেন তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের ‘উর্বর ক্ষেত্র’ তাও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে এ প্রদর্শনীতে।
‘বাংলাদেশ: দ্য নেক্সট আইসিটি ডেসটিনেশন’ শিরোনামে উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশের তথ্য-প্রযুক্তি, বিদ্যুৎ খাত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, সরকার মেট্রো রেল, গভীর সমুদ্রবন্দর, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, ডিজিটাল আইল্যান্ড ও ফোর জি সেবা চালুর প্রকল্পগুলো এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এক প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, হ্যাকারদের ‘অন্যতম টার্গেট’ এখন বাংলাদেশ। এর কারণ ডিজিটাইজেশন। সরকার এ বিষয়গুলো মাথায় রেখেই ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার স্বল্প সময়ে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত প্রযুক্তি সেবা পৌঁছে দিয়েছে, যার সুফল গ্রামের মানুষও ভোগ করছে। হাইটেক পার্ক নির্মাণের কথা তুলে ধরে জয় বলেন, এর মাধ্যমে সরকার প্রযুক্তিতে দক্ষ প্রজন্ম তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে, যারা ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। এক প্রশ্নের উত্তরে জয় বলেন, এ খাতের উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে সরকার সহজ শর্তে ঋণ দেয়াসহ নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
সুইস এক নারী উদ্যোক্তার প্রশ্নে তিনি জানান, সরকার বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ৩০ হাজার নারী উদ্যোক্তা তৈরি করেছে। এই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এর আগে সজীব ওয়াজেদ জয় ফিতা কেটে বাংলাদেশী প্যাভেলিয়নের উদ্বোধন করেন এবং দেশী-বিদেশী বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।