পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজ আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত হচ্ছে। দুর্যোগ সহনীয় আবাস গড়ি, নিরাপদে বাস করি। এবারের প্রতিপাদ্যের তাৎপর্য অনুধাবন করে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে সরকার। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়া দিয়ে শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।
আজ শুক্রবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনাতয়নে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রমশন দিবস-২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ভ‚মিকম্প ও অগ্নিকান্ড সচেতনতা অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীরবিক্রম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: শাহ কামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: রিয়াজ আহমেদ, ডিজি (অপারেশন্স এন্ড প্ল্যান) সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এজাজুল বার চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমদ খান প্রমুখ।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: রিয়াজ আহমেদ ইনকিলাবকে বলেন, ভৌগোলিক কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অবস্থান বিভিন্ন স্থানে। তাই দেশ ভেদে প্রাকৃতিক দুর্যোগেরও ভিন্নতা রয়েছে। বিভিন্ন দুর্যোগের বৈশিষ্ট্য, ক্ষয়ক্ষতি ও এর প্রভাব সম্পর্কে আমাদের সম্যক জ্ঞান রাখতে হবে এবং সে মোতাবেক জীবনযাত্রায় পরিবর্তন ও প্রতিফলন ঘটাতে হবে। দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পূর্ব হতে প্রস্তত। প্রাক দুর্যোগ, দুর্যোগকালীন ও দুর্যোগ পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আমাদের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দুর্যোগের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে সারাবিশ্বে প্রতিবছর ১৩ অক্টোবর ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালন করা হয়ে থাকে। তিনি বলেন, এ উপলক্ষে সভা, সেমিনার ও টিভি চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন টক’শোর আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি পোস্টার লাগানো, জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, লিফলেট বিতরণ, সড়ক দ্বীপ সাজ-সজ্জা, র্যালি, স্মরণিকা প্রকাশ, চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ও মহড়ার মাধ্যমে এ দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়। জনসচেতনতার জন্য দুর্যোগ মোকাবিলার কৌশলগুলো জনগণকে অবহিত করাই এ দিবসের মূল লক্ষ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।