পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাউফল উপজেলা সংবাদদাতা : সরকারী নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় মোবাইল ফোন কোম্পানীর প্রতিনিধিরা সিম রেজিট্রেশনে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্থ দিতে অস্বীকার করলে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ফলে টাকা দিয়েই তারা সরকার ঘোষিত বায়োমেট্রিক পদ্বতিতে সিম রেজিস্ট্রেশন করতে বাধ্য হচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের সঠিক তথ্যসংরক্ষণ ও অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িতদের দ্রুত সনাক্তের উদ্দেশ্যে সরকার দেশের সকল মোবাইল ফোন কোম্পানীকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশনা দেয়।
কোম্পানীগুলো তাদের গ্রাহকদের সিম পুনঃরেজিস্ট্রেশন করার জন্য সারাদেশের ন্যায় বাউফলেও প্রতিনিধি নিয়োগ দেয়। সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী গ্রাহকদের কাছ থেকে কোন প্রকার অর্থ না নেওয়ার জন্য বলা হয়। সম্প্রতি উপজেলার বেশ কয়েটি এলাকা ঘুরে গ্রাহকদের কাছ থেকে জানাগেছে বায়োমেট্রিক পদ্বতিতে সিম রেজিষ্ট্রেশন করতে গিয়ে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত টাকা দিতে হয়। রেজিষ্ট্রশনের সময় তাদের দাবীকৃত টাকা না দিলে বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
বাউফল পৌর শহরের কাগুজীর পুল এলাকার চা বিক্রেতা জিতেন্দ্র নাথ অভিযোগ করে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, স্থানীয় জসিম টেলিকম নামের একটি প্রতিষ্ঠানে সিম রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে আমার কাছে ৩০টাকা দাবী করে। দিতে রাজি না হওয়ায় ফরম নেই বলে ফিরিয়ে দেয়। পরে বাধ্য হয়ে টাকা দিয়েই রেজিষ্ট্রেশন করি। নওমালা নেছারিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্রী শারমিন আক্তার বলেন, স্থানীয় হান্নান টেলিকমে সিম রেজিষ্ট্রেশন করতে গেলে ৫০টাকা করে দাবী করে। টাকা দিতে না চাইলে নেটওয়ার্কে সমস্যা, মেশিনে চার্জ নাই ইত্যাদি বলে ফিরিয়ে দেয়।
চন্দ্রপাড়া গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক কামাল হোসেন, কর্পূরকাঠী গ্রামের অটোড্রাইভার আহম্মদ হোসেন, বটকাজল গ্রামের দিনমজুর তুলশি হালদার ও কাশিপুর গ্রামের মসজিদের ইমাম রফিকুল ইসলাম এদের প্রত্যেকের কাছ থেকে মোবাইল সিম রেজিস্ট্রেশনে টাকা দিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে।
অবশ্য জসিম টেলিকম, হান্নান টেলিকমসহ উপজেলার একাধিক প্রতিষ্ঠান টাকা নেওয়া বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ক্ষোভের সুরে বলেন, বায়োমেট্রিক পদ্বতিতে সিম রেজিষ্ট্রেশন করতে প্রায় ১০ মিনিট সময় যায় তাতে কোম্পানী মাত্র ১টাকা ৮৪ পয়সা দেয়। যা উপহাস ছাড়া অন্য কিছু না। কোম্পানী যদি এই টাকার পরিমান বাড়িয়ে দেয় তাহলে প্রতিষ্ঠানগুলো আর টাকা নিবে না।
এ বিষয়ে বাউফলের বাংলালিংক ও গ্রামীণ মোবাইল কোম্পানীর সেবা প্রধানকারী কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম ও শারমিন জাহান গ্রাকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্যতা স্বীকার করে জানান, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে যেসব সিম রেজিষ্টেশন প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করব। এ ব্যাপারে বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, সিম রেজিষ্ট্রেশনে গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি জেনেছি। খুব শীঘ্রই সিম রেজিষ্ট্রেশন প্রতিষ্ঠানদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।