Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মামলায় গতিহারা

স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও তৃণমূল উন্নয়ন কার্যক্রম

পঞ্চায়েত হাবিব : | প্রকাশের সময় : ৯ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সর্বশেষ ইউনিয়ন-পৌরসভা-উপজেলা-সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর ৬ শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে ফৌজদারি আইনের ধারা বলে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে চেয়ারে বসতে পেয়েছেন ৩ শতাধিক জনপ্রতিনিধি।


স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা যত শক্তিশালী হয়; দেশের উন্নয়নের ধারাও হয় ততই গতিশীল। আমলাতন্ত্রের ‘লাল ফিতা’ উন্নয়নের ধারাকে টেনে ধরে। এই যখন অবস্থা; তখন হিংসা-প্রতিহিংসার রাজনৈতিক মামলায় ছন্দ হারাচ্ছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে তৃণমূল পর্যায়ে বিরোধী মতের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় জড়িয়ে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করা হচ্ছে। সংবিধান ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞদের মতে স্থানীয় সরকারব্যবস্থা ক্ষমতাসীনরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে এর স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত শত শত জনপ্রতিনিধিকে ‘সাময়িক বরখাস্ত’ করায় স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। সর্বশেষ ইউনিয়ন-পৌরসভা-উপজেলা-সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পর প্রায় ৬ শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে ফৌজদারি আইনের ধারা বলে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে চেয়ারে বসতে পেয়েছেন ৩ শতাধিক জনপ্রতিনিধি। তাদের প্রায় সবাই বিএনপি ও মিত্র দলের নেতা-সমর্থক। বিপুলসংখ্যক নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করার আইনের ওই ধারা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয় সরকার আইনের ১২(১) ধারায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির পদ স্থগিত হয় এটিও প্রশ্নবিদ্ধ। আইন বিশেষজ্ঞদের মতে এই ধারা কেন্দ্রীয় সরকার স্থানীয় সরকারকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। যা কোনোভাবে যৌক্তিক নয়। এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আব্দুল মালেক ইনকিলাবকে বলেন, ২০০৯ সালে করা স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের ১২(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় চার্জশিট বা অভিযোগপত্র গৃহীত হলে সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে ওই মেয়র বা কাউন্সিলরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর বাহিরে কাউকে হয়রানি করা হয় না। আইন সংশোধনের জন্য প্রস্তাব আসলে মন্ত্রণালয় বিষয়টি ভেবে দেখবে। এ বিষয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ইনকিলাবকে বলেন, স্থানীয় সরকার আইনের যে বিধানবলে কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধির পদ স্থগিত হয় এটি প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ এই বিধান হলো কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা স্থানীয় সরকারকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার। যা কোনোভাবে যৌক্তিক নয়। এটি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই ওই বিধান সংশোধন করা জরুরি।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। একই সাথে জনগণের ম্যান্ডেট ভুল প্রমাণ করা হচ্ছে। এটা গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। গণতন্ত্রের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ। সরকারের সদিচ্ছাই পারে এ অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটাতে। সরকার দ্বারা এসব সাময়িক বরখাস্ত আদেশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যখন-তখন কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্তের পরিণতি ভালো হয় না। এতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ছে।
বাংলাদেশ বার কউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদার ইনকিলাবকে বলেন, যে বিধানবলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বা কর্তৃপক্ষ কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধিকে বরখাস্ত করে, ওই বিধান উচ্চ আদালতের আদেশ ছাড়া তা অকার্যকর হবে না। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ইনকিলাবকে বলেন,সরকার স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের ১২(১) ধারা দিয়ে সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করছে আর অন্যদিকে দেশের গণতন্ত্র রাজবাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতিকে জোর করে ছুটিতে পাঠিয়েছে। ঠিক বিগত আড়াই বছর আগাদের ছুটিতে পাঠিয়েছিল। তিনি বলেন, বর্তমান আইনটি বাতিল করার জন্য জোর দাবি করছি।
মূলত ২০০৯ সালে করা স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইনের ১২(১) ধারায় বলা হয়েছে, কোনো সিটি করপোরেশনের মেয়র বা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় চার্জশিট বা অভিযোগপত্র গৃহীত হলে সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে ওই মেয়র বা কাউন্সিলরকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য স্থর যেমন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভার ক্ষেত্রেও আইনে একই রকম বিধান রাখা হয়েছে। স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইনের ৩৪(১) ধারা, স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইনের ১৩খ(১) ধারা এবং স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের ৩১(১) ধারায়ও বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় আদালতে চার্জশিট গৃহীত হলে বা আদালত কোনো ফৌজদারি অপরাধ আমলে নিলে সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে ওই জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে। বর্তমান সরকারের আমলে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত অনেক জনপ্রতিনিধি বিভিন্ন মামলায় চার্জশিটভুক্ত হওয়ায় তাঁদের একের পর এক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। যাদের প্রায় সবাই বিরোধীদলের নেতা। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার আইনটি সর্বপ্রথম প্রণয়ন করেছিল সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকার। অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি জারি করে। তখন ১২(১) ধারা অনুযায়ী কোনো জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্তের পূর্বে নির্বাচন কমিশনের অভিমত নেয়ার বিধান ছিল। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেনা সমর্থিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের অনেকগুলো অধ্যাদেশ সংসদে পাস না করলেও এটি সংসদের মাধ্যমে আইনে পরিণত করে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সাড়ে তিনহাজারেরও বেশি অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগই বেশি। তবে ফৌজদারি আইনের ধারায় পড়ে এমন অভিযোগ রয়েছে আট শতাধিক। এর ভিত্তিতে সর্বশেষ নির্বাচনের পর ৬ শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে ফৌজদারি আইনের ধারা বলে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এর মধ্যে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে পদ ফিরে পেয়েছেন ৩ শতাধিক জনপ্রতিনিধি। তাদের প্রায় সবাই বিএনপি ও মিত্র দলের নেতা বা সমর্থক। বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, রাজনৈতিক স্বার্থেই বিএনপি ও তার মিত্রদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে না দেয়ার জন্যই আইনে এমন বিধান রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে বিএনপি ও তার মিত্র দলের নেতাকর্মীদের ক্ষেত্রেই বিধানটি প্রয়োগ করা হচ্ছে। ওই বিধানটি আইনের সাধারণ নীতির পরিপন্থী এবং দেশের সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেই জনপ্রতিনিধিদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ উচ্চ আদালতে টিকছে না। আইনের সাধারণ নীতি হচ্ছে কোনো আদালত কাউকে দোষী সাব্যস্ত না করা পর্যন্ত তাকে অপরাধী বলা যাবে না। স্থানীয় সরকার আইনে কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় দেয়া চার্জশিট আদালতে গৃহীত হলেই একজন নির্বাচিত প্রতিনিধিকে শাস্তিমূলকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগেই তিনি হয়ে যান ‘অপরাধী’। বিষয়টি আইনের সাধারণ নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
২০১৫ সালের ৭ মে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ওই সময় এবং তার আগে ও পরে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র এমএ মান্নান, কুমিল্লার মেয়র, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছসহ আরো অনেককেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯-এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় তাদের বরখাস্ত করে। এই ক্ষমতাবলে গত সাড়ে তিন বছরে ৩৮১ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্ত করে মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে চারজন সিটি করপোরেশনের মেয়র, ৩৬ জন পৌর মেয়র, ৫৬ জন কাউন্সিলর, ৫২ জন উপজেলা চেয়ারম্যান, ৬৭ জন ভাইস চেয়ারম্যান, ৯২ জন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং ৭৪ জন মেম্বার। এদের অধিকাংশই বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতাকর্মী। এর মধ্যে রাজশাহী, সিলেট ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন ও হবিগঞ্জের পৌর মেয়রকে দুই দফা বরখাস্ত করা হয়। এরা প্রত্যেকেই এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট অধিকাংশ মামলায়ই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করে দেয়। দায়েরকৃত মামলার মধ্যে শুধু রাজশাহীর মেয়র বুলবুলের রিট মামলাটি চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছে। গত বছরের ১০ মার্চ হাইকোর্ট এ সংক্রান্ত রায়টি দেয়। কিন্তু মেয়র পদে পুরো ৫ বছর দায়িত্ব পালন করতে না পারারও পর আবার নতুন করে ভোট তার পরে নতুন মামলার আতঙ্ক রয়েছে তার।
২০১৬ সালের ২০ মার্চ হবিগঞ্জ পৌরসভার টানা তৃতীয়বারের মতো নির্বাচিত মেয়র জিকে গউছকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। জিকে গউছের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট বরখাস্তের ওই আদেশ স্থগিত করেন। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র বিএনপি নেতা এম এ মান্নানকে ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এক আদেশে। ওই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র মান্নান পরের বছর ৩১ মার্চ হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। গত বছর ১১ এপ্রিল হাইকোর্ট মেয়র মান্নানের বরখাস্ত আদেশ স্থগিত করেন। সরকার আপিল বিভাগে গেলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।
উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের ২ শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ এ পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। তারা হলেন, দিনাজপুরের ১১ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯ জন, কক্সবাজারের পাঁচজন, সাতক্ষীরার আটজন, বগুড়ার ২০ জন, চাঁদপুরের চারজন, হবিগঞ্জের চারজন, রাজশাহীর ১১ জন, সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৯ জন, ধোবাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ময়মনসিংহের দু’জন, শরীয়তপুরের পৌর মেয়র, কিশোরগঞ্জের তিনজন, নড়াইলের একজন ও নারায়ণগঞ্জের দু’জন। তাদের মধ্যে শরীয়তপুরের পৌর মেয়র আবদুর রব মুন্সী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি একটি দুর্নীতির মামলায় জড়িয়ে পড়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ১১ জন জামায়াতের। বাকি সবাই বিএনপির বলে জানা গেছে।



 

Show all comments
  • nasir ৯ অক্টোবর, ২০১৭, ১:৪৭ এএম says : 0
    রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। একই সাথে জনগণের ম্যান্ডেট ভুল প্রমাণ করা হচ্ছে। এটা গণতান্ত্রিক চেতনার সাথে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Belal ৯ অক্টোবর, ২০১৭, ১:৪৮ এএম says : 0
    Thanks to The Daily Inqilab and the reporter for this news
    Total Reply(0) Reply
  • আরফান ৯ অক্টোবর, ২০১৭, ১২:০০ পিএম says : 0
    এভাবে চলতে থাকলে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা ও তৃণমূল উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্থানীয় সরকার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ