পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮১ কোটি মার্কিন ডলার বা ১৪ হাজার ৬০৮ কোটি টাকা। গতকাল রোববার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে। তবে গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্ট মাসে এর পরিমাণ ছিল মাত্র ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ৪ হাজার ২৩৭ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে আরো জানা যায়, মূলত রপ্তানির বিপরীতে আমদানির পরিমাণ বেশি হওয়ায় বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতির মুখে পড়েছে দেশ। এদিকে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আমদানি ৯ শতাংশ এবং রপ্তানি ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ বেড়েছে। অর্থের হিসাবে ৪ হাজার ৩৫০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়। বিপরীতে পণ্য রপ্তানি হয় ৩ হাজার ৪০১ কোটি ডলারের। ফলে সামগ্রিক বাণিজ্য ঘাটতি দাঁড়ায় ৯৪৭ কোটি ডলার। তার আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬৪৬ কোটি ডলার। সেই হিসাবে গেল অর্থবছরে ঘাটতি ৪৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে নিবন্ধিত ব্যবসায়ীদের ‘নিজ দায়িত্বে’ করা আমদানি পণ্যের পরিমাণ ৩৪ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে একই শর্তে রপ্তানি বেড়েছে মাত্র ১৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ।
এ ছাড়া সেবা খাতে আমদানি-রপ্তানির পার্থক্যও ৭৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৬ হাজার ২৭৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে এবং চলতি হিসাব ভারসাম্যে ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৪৫ কোটি ১০ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই হিসাবে ৮১ কোটি ২০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল। সাধারণভাবে চলতি হিসাবের মাধ্যমে দেশের নিয়মিত বৈদেশিক লেনদেন পরিস্থিতি বোঝানো হয়।
এই হিসাবে আমদানি-রপ্তানিসহ অন্যান্য নিয়মিত আয়-ব্যয় এতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। এখানে উদ্বৃত্ত হলে চলতি লেনদেনের জন্য দেশকে ঋণ করতে হয় না। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে আরো জানা যায়, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের দেশের পণ্য ও সেবা উভয় বাণিজ্যেই ঘাটতির পরিমাণ বেড়ে ছয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থায় পৌঁছায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।