পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত কয়েক বছর ধরে আমানতের সুদহার কমার পাশাপাশি ঋণের সুদহারও কমিয়েছে ব্যাংকগুলো। তবে আমানতের অনুপাতে ঋণের সুদহার কমাচ্ছে না বেশ কিছু ব্যাংক। ফলে তাদের ঋণ ও আমানতের সুদ ব্যবধান (স্প্রেড) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশিত সীমায় নামছে না। গত আগস্ট মাস শেষে দেশী ও বিদেশী খাতের ১০টি ব্যাংকের স্প্রেড পাঁচ শতাংশের বেশি ছিল। এ সময়ে সবচেয়ে বেশি স্প্রেড রয়েছে বিদেশী খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের। এরপরেই রয়েছে বেসরকারী খাতের ব্র্যাক ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, কোন ব্যাংকের ঋণ ও আমানতের সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। তাই স্প্রেড পাঁচ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বারবার নির্দেশনা দেয়া হলেও তা মানছে না এসব ব্যাংক। বিশ্লেষকরা বলছেন, অনেক ব্যাংকের কাছে প্রচুর পরিমাণে অলস টাকা পড়ে আছে। বিনিয়োগ স্থবিরতার কারণে উদ্যোক্তারা ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে না। আবার খেলাপী ঋণের পরিমাণও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকের ব্যয় নির্বাহ করাই কঠিন হয়ে পড়ছে। এত কিছুর পরও বছর শেষে রয়েছে ভাল মুনাফা অর্জন করার টার্গেট। ফলে আমানতকারীদের দিকে খেয়াল না রেখেই বছর শেষে ভাল মুনাফা অর্জনের স্বার্থে আমানতের সুদ কমাচ্ছে ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঁচ শতাংশের বেশি স্প্রেড থাকা ব্যাংকগুলোর মধ্যে রয়েছে -বিদেশী খাতের-স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া, উরি ব্যাংক, এইচএসবিসি ও সিটি ব্যাংক এনএ এবং দেশী খাতের-দ্য সিটি ব্যাংক, ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক। এছাড়া নতুন প্রজন্মের আরেকটি ব্যাংক রয়েছে এ তালিকায়। প্র্রতিবেদনে দেখা যায়, আগস্ট মাসে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আমানতের বিপরীতে গড়ে এক দশমিক ২৬ শতাংশ সুদ দিয়েছে। আর ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকটি ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ সুদ নিয়েছে। ফলে বিদেশী খাতের এ ব্যাংকটির স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ০৫ শতাংশ। এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংক আমানতের বিপরীতে সুদ দিয়েছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। আর ঋণের বিপরীতে নিয়েছে সুদহার ১১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বেসরকারী খাতের এ ব্যাংকের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। আর ডাচ্ বাংলা ব্যাংক আমানতের বিপরীতে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ সুদ দিলেও ঋণের ক্ষেত্রে আদায় করছে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। ফলে ব্যাংকটির স্প্রেড দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এদিকে, বিদেশী ব্যাংকগুলোর স্প্রেড এখনও পাঁচ শতাশের ওপরে রয়েছে। আগস্টে বিদেশী ব্যাংকগুলো আমানতের বিপরীতে এক দশমিক ৭৪ শতাংশ সুদ দিয়েছে। অন্যদিকে ঋণের বিপরীতে আদায় করেছে সাত দশমিক ৮৯ শতাংশ সুদ। এ খাতের ব্যাংকগুলোর স্প্রেড সবচেয়ে বেশি, যা ছয় দশমিক ১৫ শতাংশ। তবে দেশীয় খাতের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড ৫ শতাংশের নীচে রয়েছে। গত আগস্টে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে গড়ে আট দশমিক ৫৮ শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। আর আমানতের বিপরীতে দিয়েছে চার দশমিক ৫১ শতাংশ সুদ। স্প্রেড দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৭ শতাংশ। তবে বিশেষায়িত ব্যাংকের স্প্রেড সবচেয়ে কম; যা মাত্র দুই দশমিক ৭ শতাংশ। বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক আমানতের বিপরীতে গড়ে ৫ দশমিক ৫১ ও ৮ দশমিক ৬ শতাংশ সুদ দিয়েছে। আর ঋণের ক্ষেত্রে সুদ নিয়েছে আট দশমিক ৬৫ শতাংশ হারে। অন্যদিকে, আগস্টে বেসরকারী খাতে ব্যাংকগুলো ঋণের ক্ষেত্রে গড়ে নয় দশমিক ৭৮ শতাংশ হারে সুদ আদায় করেছে। আর আমানতের বিপরীতে দিয়েছে পাঁচ দশমিক ২৭ শতাংশ সুদ। ফলে তাদের স্প্রেড দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৫১ শতাংশীয় পয়েন্ট।
এদিকে, গত আগস্ট শেষে সার্বিক ব্যাংকিং খাতে আমানতের গড় দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৯৩ শতাংশ। এর বিপরীতে ঋণের গড় সুদ দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ফলে ব্যাংকগুলোর গড় স্প্রেড দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৫৩ শতাংশ। আগের মাস জুলাইতে এ খাতেত গড় স্প্রেড ছিল ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।