Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে আমানতের সুদে সমন্বয় নেই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০২১, ১১:৫৮ পিএম

চলতি বছরের আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া একটি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মুদ্রাস্ফীতির থেকে আমানতের সুদের হার বেশি হতে হবে। কিন্তু দিনকে দিন মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ বাড়লেও সুদের হার সেই তুলনায় বাড়েনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেওয়া তথ্যমতে, বর্তমানে ব্যাংক খাতে আমানতের সুদের হার ৪ দশমিক ০১ শতাংশ। কিন্তু বাজারে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তার বিপরীতে সুদের হার ছিল ৪ দশমিক ১১ শতাংশ। আগস্ট মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং সুদ হার ছিল ৪ দশমিক ০৫ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ, সুদ হার ছিল ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ। সর্বশেষ অক্টোবর মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং সুদহার ৪ দশমিক ০১ শতাংশ।
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদের হারকে ইতিহাসের সর্বনিম্ন সুদের হার হিসেবে ধরা হচ্ছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের আগে দেশের প্রায় সব বেসরকারি ব্যাংক আমানতের তীব্র সংকটে ছিল। তখন বেশি সুদের অফার দিয়ে অন্য ব্যাংকের গ্রাহককে নিজ দখলে নেওয়ার প্রতিযোগিতায় ছিলেন ব্যাংকাররা।
পরবর্তীতে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হলে ব্যাংকের মুদ্রাবাজারে শুরু হয় অলস অর্থের তারল্যের প্রাদুর্ভাব। এর ফলে ব্যাংক আমানতের সুদের হার ২ শতাংশের নিচে নেমে আসে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেয়াদি আমানতে সুদহার আগের তিন মাসের গড় মূল্যস্ফীতির কম থাকা চলবে না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমানতের সুদে সমন্বয়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ