পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা সফররত ভারতীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেছেন, ‘আমরা আমাদের পারস্পরিক সংযোগ গভীর করতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিজেদের স্বার্থে ভারতের প্রয়োজন একটি শক্তিশালী, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।’
বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ‘তৃতীয় ঋণ চুক্তি সইয়ের ফলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, রেলপথ, সড়ক, জাহাজ চলাচল, বন্দর ইত্যাদি অবকাঠামোগত গুরুত্বপূর্ণ খাতের ১৭টি পূর্ব চিহ্নিত অগ্রাধিকারভিত্তিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। এ ঋণের সুদ হার বছরে মাত্র ১ শতাংশ। যা ২০ বছরে পরিশোধ করতে হবে।’
অরুণ জেটলি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশকে তিনটি পর্যায়ে মোট আটশ’ কোটি ডলারের ঋণ দিয়েছে ভারত। যা এ পর্যন্ত ভারতের দেওয়া কোনও দেশকে সর্বোচ্চ ঋণ। অনেক কম সুদে এ ঋণ দেওয়া হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আজ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে যা অন্যান্য দেশের জন্য অনুসরণযোগ্য একটি মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশকে ভারতের সরকারি-বেসরকারি খাতের বিভিন্ন কোম্পানির নানা বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রক্রিয়াধীন।’
ভারতীয় অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রগতি দেখে আমি মুগ্ধ। ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে, যা ক্রমবর্ধমান।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী ও আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে ঘোষিত সাড়ে চারশ’ কোটি ডলারের তৃতীয় ঋণ চুক্তি সই প্রত্যক্ষ করলাম।’
বুধবার সকাল ১০টার দিকে ভারতের অর্থমন্ত্রী সচিবালয়ে পৌঁছান। এ সময় তাকে স্বাগত জানান অর্থমন্ত্রী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ইউনুসুর রহমান, এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত অর্থ সচিব মুসলিম চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ১০টা ৫ মিনিটে অর্থমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুই দেশের অর্থমন্ত্রীর বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠক শেষে দুই দেশের মধ্যে সাড়ে চারশ’ কোটি ডলারের ক্রেডিট লাইন এগ্রিমেন্ট সই হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব এবং ভারতের পক্ষে দেশটির এক্সিম ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।