পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার আগামী তিন বছরে দেশের ২ লাখ ৮০ হাজার গৃহহীন পরিবারের আবাসন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি আরও বলেন, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার পাশাপাশি আমাদের মূল লক্ষ্য ধাপে ধাপে দারিদ্র্য বিমোচন করা। এ লক্ষ্যে আমরা দরিদ্র মানুষগুলোকে ক্ষুদ্র ঋণের গ-িতে ফেলে রেখে দরিদ্রতাকে লালন-পালন না করে আয়বর্ধক কর্মকা-, সমবায় ও ক্ষুদ্র সঞ্চয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। আমরা চাই মানুষ ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে দারিদ্র্য থেকে উঠে আসুক।
তিনি গতকাল মঙ্গলবার তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন দরিদ্র জনগণের আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য প্রকল্পের বাস্তবায়ন, অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ক এক বৈঠকে সভাপতিত্বকালে একথা বলেন। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে আশ্রায়ন প্রকল্প-২, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প, ঘরে ফেরা কর্মসূচি ও গৃহায়ন তহবিল প্রকল্প।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালে এই সরকারের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার সময় দেশে আর কেউ যেন গৃহহীন না থাকে, তা নিশ্চিত করতেই সরকার সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, রাজধানীর বিভিন্ন বস্তি এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে বসবাসকারী দরিদ্র জনগণের জন্য একটি জায়গায় আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে সরকার কামরাঙ্গীর চর এলাকায় দরিদ্রদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, তৌফিক-ই-এলাহি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ-উল-আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম প্রমুখ।
মানুষ যেন সরকারের সহযোগিতা-নির্ভর না হয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়, সেদিকে দৃষ্টি দিতে সংশ্লিদের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজ না করার প্রবণতা যেন সৃষ্টি না হয়। পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া। সহযোগিতা পেয়ে সরকারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে কেউ যেন কর্মবিমুখ না হয়। আমরা মানুষকে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর একটা সুযোগ তৈরি করে দিতে চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই না আর কেউ মানবেতরভাবে ফুটপাত, রাস্তার ধারের বস্তিতে কিংবা রেললাইনের পাশে বসবাস করুক। দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে কেউ দরিদ্র থাকবে না। সে লক্ষ্য নিয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার চায়, মানুষকে দারিদ্র্যের দুষ্টচক্র থেকে বের করে নিয়ে আসতে।
বাংলাদেশকে নদীভাঙনের দেশ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নদীভাঙনের কবলে পড়ে অনেক মানুষ অমানবিক জীবনযাপন করছে, দুর্ভোগে আছেন। তিনি এসব মানুষের জন্য গৃহনির্মাণ নিশ্চিত করতে সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করার নির্দেশ দেন।
শেখ হাসিনা সরকারের দেয়া সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করে দরিদ্র জনগণের জীবনমান উন্নয়নের জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, কোনো প্রকার ভূমিদস্যু বা জোতদাররা যেন আশ্রায়ন প্রকল্পের সুবিধা নিতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় রেকর্ড সংরক্ষণের জন্যও তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের ’৯৬-পরবর্তী মেয়াদে আশ্রায়ন প্রকল্পের উল্লেখ করে পরবর্তীতে জমিগুলো বেদখল হয়ে যাওয়ায় উদাহরণ দেন। এজন্য প্রধানমন্ত্রী আশ্রায়ন প্রকল্পের বাড়িগুলো ব্যারাকের (সেনা সদস্যদের ব্যারাকের মতো গুচ্ছাকারে) মতো করে তৈরির পাশাপাশি বসবাসকারীদের বিভিন্ন সমবায়ভিত্তিক প্রকল্পে সংযুক্ত করে স্থায়ী আয়ের উৎস করে দেয়ার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় নির্মাণাধীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্লট প্রকল্পে সত্যিকারের হতদরিদ্রদেরই আবাসিক সুবিধা প্রদানের বিষয়ে নজর রাখার জন্যও সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান। বৈঠকে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পরিচালকগণ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।