Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ম্যানিলা থেকে ২৩৫ কোটি টাকা ক্যাশ তুলেছিল এক ব্যক্তি

প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে হ্যাক করা বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৩০ মিলিয়ন ডলার ২৩৫ কোটি ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় এক চীনা বংশোদ্ভূত ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। তবে এই অর্থ একসঙ্গে নয়, বরং কয়েক দিন ধরে পর্যায়ক্রমে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ফিলিপাইনি মুদ্রায় ভাঙানো হয়েছিল। ফিলিপাইনের দুর্নীতিবিষয়ক সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান তেওফিস্তো গুংগোনা অর্থ পাচারের এ ঘটনার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঞ্চিত অর্থ থেকে গত মাসে হ্যাকাররা ৮০ মিলিয়ন ডলার লোপাট করে। বিশ্বের বিভিন্ন ব্যাংক নিরাপদ লেনদেন করতে এই সুইফট মেসেজিং সিস্টেম ব্যবহার করে। গত সপ্তাহে ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম ডেইলি ইনকোয়ারার অর্থ লোপাটের এ তথ্য প্রকাশ করে। সুইফট মেসেজিং সিস্টেমে জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ সরানো হয় ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কার ব্যাংকে। শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার মাঝপথে আটকানো গেলেও ফিলিপাইনের রিজাল ব্যাংকের মাকাটি সিটির জুপিটার স্ট্রিট শাখার পাঁচটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে নেওয়া ৮০ মিলিয়ন ডলার ক্যাসিনো হয়ে হংকংয়ে পাচার হয়ে গেছে। ফিলিপাইনের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এই অর্থ পাচারের ঘটনা তদন্তে নামে দেশটির সিনেটের দুর্নীতি বিষয়ক ব্লু রিবন কমিটি। গতকাল মঙ্গলবার সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান তেওফিস্তো গুংগোনা জানান, যেদিন রিজাল ব্যাংকের মাকাটি সিটির জুপিটার স্ট্রিট শাখা থেকে অর্থ উত্তোলিত হয়েছিল সেদিন ব্যাংকের সিসিটিভি ক্যামেরা চালু ছিল না। তবে ওই দিন ব্যাংক থেকে উত্তোলিত অর্থ ‘ফিলরেম সার্ভিস করপোরেশন’ নামে একটি বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তরিত হয়েছিল । সেখান থেকে এই অর্থ এক চীনা ব্যক্তি ও দুটি ক্যাসিনোর হাতে গেছে। চীনা বংশোদ্ভূত ওই ব্যক্তি মূল চীনা ভূখন্ডের না কি তাইওয়ানের নাগরিক তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে ফিলরেম সার্ভিস করপোরেশন কোনো মন্তব্য করতে রাজী হয়নি।
সিনেট কমিটির চেয়ারম্যান তেওফিস্তো গুংগোনা জানান, কয়েক দিন ধরে পর্যায়ক্রমে ফিলরেম সার্ভিস থেকে ৬০০ মিলিয়ন পেসো ( ১২ দশমিক ৮৭ কোটি ডলার) ভাঙ্গানো হয়েছে এবং বাকী প্রায় ১৮ মিলিয়ন ডলার কমপক্ষে ৭ লাখ ৮০ হাজার ব্যাংক নোটে রুপান্তর করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এটা অবশ্যই একসঙ্গে করা হয়নি, এটা ভাগে ভাগে করা হয়েছে।’
তিনি জানান, ২৯ মিলিয়ন ডলার জমা হয়েছিল ব্লুমবারি রিসোর্ট করপোরেশন পরিচালিত ‘সোলারি ক্যাসিনো রিসোর্টের’ অ্যাকাউন্টে। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ব্লুমবারি করপোরেশনের মালিক এনরিক র‌্যাজন ফিলিপাইনের পঞ্চম শীর্ষ ধনী। অভিযোগের বিষয়ে সোলারি করপোরেটে কমিউনিকেশনসের প্রধান নানা সোরিয়ানো বলেছেন, ‘তদন্তাধীন বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে রাজী নই।’ সিনেটর গুংগোনা বলেন, বাকী ২১ মিলিয়ন ডলার ইস্টার্ন হাওয়াই লেইসার নামে উত্তর ফিলিপাইনের একটি ক্যাসিনোতে গেছে। তিনি জানান, ফিলিপাইনের ক্যাসিনোগুলো অর্থপাচারে আইনের আওতাভুক্ত না থাকায় চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধার সম্ভব হবে কি না তা এখনো পরিষ্কার নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ম্যানিলা থেকে ২৩৫ কোটি টাকা ক্যাশ তুলেছিল এক ব্যক্তি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ