Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দুই মন্ত্রীকে ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ

প্রকাশের সময় : ১৬ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : আদালত অবমাননার অভিযোগে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে আগামী ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আপিল বিভাগে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন নয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ আপিল বিভাগ এ দিন পুনঃনির্ধারণ করেন। গতকাল দুই মন্ত্রীকে সকাল নয়টায় আপিল বিভাগে হাজির হয়ে তাঁদের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। বেঞ্চের অপর আট সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা, বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, বিচারপতি মো. নিজামুল হক ও বিচারপতি মোহম্মদ বজলুর রহমান।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সকাল ৯টায় আপিল বিভাগে উপস্থিত হন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী। সরকারি কাজে বিদেশে থাকায় আদালতে হাজির হননি কামরুল ইসলাম। আদালতে দুই মন্ত্রীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ও অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার। আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে দুই মন্ত্রীর পক্ষের আইনজীবীরা শুনানি মুলতবির আরজি জানান। ১৬ মার্চের পর যেকোনো দিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করতে আরজি জানান আবদুল বাসেত মজুমদার। এসময় তিনি বলেন, মোজাম্মেল হক তাঁর বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, তাঁরা এখন এ বিষয়ে কিছু শুনবেন না। আগামী ২০ মার্চ তারিখ ধার্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই দিন দু’জনকেই (দুই মন্ত্রী) আপিল বিভাগে হাজির হতে হবে। ওই দিন শুনানি হবে। পরে আবদুল বাসেত মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, দুই মন্ত্রী নিঃশর্তভাবে আদালতের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য ছিল। কিন্তু আমরা সময় আবেদন করায় আদালত ২০ মার্চ শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন। সেদিন দুই মন্ত্রীকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে কামরুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হকের বক্তব্যে স্তম্ভিত হয়ে গত ৮ মার্চ আপিল বিভাগ তাঁদের তলব করেন। একই সঙ্গে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে কেন কার্যক্রম শুরু করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন। তাতে ১৫ মার্চ সকাল নয়টায় দুই মন্ত্রীকে আপিল বিভাগে হাজির হয়ে তাঁদের বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। ইতোমধ্যে কামরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যের জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁর পক্ষে সৈয়দ মামুন মাহবুব গত সোমবার সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন জমা দেন। আবেদনে বলা হয়, আবেদনকারী প্রথম সুযোগেই আদালতের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁর বক্তব্য ও মন্তব্যের জন্য গভীর দুঃখ ও অনুশোচনা প্রকাশ করেছেন। আবেদনকারী আরও নিশ্চয়তা দিচ্ছেন, ভবিষ্যতে তিনি কখনো এ ধরনের কোনো মন্তব্য করবেন না। প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের বিচারক, সর্বোপরি বিচার বিভাগের ওপর আবেদনকারীর সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা আছে। আবেদনে আরও বলা হয়, নির্ধারিত দিনে ব্যক্তিগতভাবে হাজির থেকে তাঁর আদালতের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। কিন্তু দায়িত্ব ও শারীরিক অসুস্থতার জন্য নির্ধারিত দিনে তিনি আদালতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। ১৬ মার্চ তিনি বিদেশ থেকে ফিরবেন। আদালত যেন ব্যক্তিগত হাজিরার দিনটি পুনঃনির্ধারণ করে আবেদনকারীকে নিজের হাতে লেখা আবেদনের মাধ্যমে ক্ষমা প্রার্থনার সুযোগ করে দেন। অন্যদিকে মোজাম্মেল হক লিখিত ব্যাখ্যা নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দিয়েছেন তাঁর আইনজীবী। গত ৬ মার্চ এক গোলটেবিল আলোচনায় খাদ্যমন্ত্রী মীর কাসেম আলীর আপিল মামলা পুনঃশুনানির দাবি জানান। ওই শুনানিতে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। একই অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী প্রধান বিচারপতিকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দুই মন্ত্রীকে ২০ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ