পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
ইনকিলাব ডেস্ক ঃ প্রধানমন্ত্রীর কাছে ড. আতিউর রহমান পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর তার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যালয়ের সামনে ওই বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বিপ্লব ও সাজ্জাদ হোসেনসহ বিনিয়োগকারীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন।
এসময় সদ্য বিদায়ী গভর্নর আতিউর রহমানের শাস্তির দাবি জানান সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এই দাবিতে মিছিল নিয়ে মতিঝিল এবং এর আশপাশের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন তারা।
বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গভর্নর পদ থেকে ড. আতিউর রহমানের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেয়ার খবর জানার পরই ডিএসইতে উপস্থিত সবার মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ১ মে থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ম গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন আতিউর রহমান। দুই মেয়াদে টানা প্রায় সাত বছর কেন্দ্রীয় ব্যাংকপ্রধানের দায়িত্ব পালন করেন আতিউর রহমান। এ সময়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিমূলক কাজের জন্য ব্যাপক প্রশংসিত হলেও সোনালী-বেসিক ঋণ কেলেঙ্কারিসহ ব্যাংকিং খাতে নানা অনিয়মের জন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাকে।
গত ফেব্রæয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফেডারেল রিজার্ভের বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার শ্রীলঙ্কা ও ফিলিপাইনে স্থানান্তরিত করে দুর্বৃত্তরা। এর প্রায় এক মাস পর ফিলিপাইনের ইনকোয়ারার পত্রিকায় অর্থ পাচার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের রিজার্ভ চুরির বিষয়টি ফাঁস হয়। এ সময় পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে অবহিত না করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন গভর্নর আতিউর রহমান।
অর্থ চুরির বিষয়টি অবহিত না করার বিষয়ে গভর্নরের প্রতি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গত রোববার ভারত থেকে দেশে ফিরেছেন গভর্নর আতিউর রহমান। দেশে ফিরেই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পদত্যাগপত্র জমা দেন ড. আতিউর রহমান। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, কোনো কারণে গভর্নরের পদ শূন্য হলে ডেপুটি গভর্নর অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নরের দায়িত্ব পান।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নরের দায়িত্ব পালন করবেন ডেপুটি গভর্নর-১ মো: আবুল কাশেম। সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আতিউর রহমান পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পরই অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নর হিসেবে মো: আবুল কাশেমের নাম ঘোষণা করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই নতুন গভর্নর হিসেবে সাবেক অর্থসচিব ফজলে কবীরের নাম ঘোষণা করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।