পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার ঃ সেকেন্ডারি কোয়ালিটি স্টিল আমদানিতে বিএসটিআই-এর সনদ দাখিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ আয়রন অ্যান্ড স্টিল ইম্পোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। একই দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করছেন সংগঠনের নেতারা। মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের পরে এবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তারা। সোমবার অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এ দাবিতে একটি স্মারকলিপি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত চার দশক ধরে আমরা বাংলাদেশের প্রায় চার লাখ ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ শিল্প কারখানার কাঁচামাল আমদানি করে আসছি। এদেশে কোনো খনি না থাকায় আমাদেরকে কাঁচামালের ওপর নির্ভর করতে হয়।
স¤প্রতি সেকেন্ডারি কোয়ালিটির স্টিল আমদানির সময় বিএসটিআইয়ের সনদ দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা বন্ড সুবিধার মাল খোলা বাজারে বিক্রি করে তাদের মদদে এ মালের জন্য বিএসটিআই-এর সনদ বাধ্যতামূলকের প্রস্তাব দিয়ে গেজেটও প্রকাশ করা হয়েছে। সেকেন্ডারি কোয়ালিটির মালগুলো গার্মেন্টসের স্টক লটের মতো হওয়ায় প্রায় প্রত্যেক কনসাইনমেন্টে কয়েকশত সাইজ, কয়েকশত গেজ, কয়েকশত রোলড্, শত রকমের কালার, শত রকমের কোটিং, শত রকমের জিংক এবং শত রকমের কোয়ালিটির মাল থাকে তাই এগুলোকে আলাদা আলাদাভাবে বাছাই করে পরীক্ষা করা বা টেস্ট করা সম্ভব নয়।
দীর্ঘ চার দশকের পদ্বতির ওপর হঠাৎ কঠিন শর্ত জুড়ে দেয়ায় পরীক্ষার নামে সময়ক্ষেপণসহ আমদানি খরচ বেড়ে লক্ষ লক্ষ শিল্পের বিপর্যয় নেমে আসবে। আমদানির ক্ষেত্রে ফিনিশড্ প্রোডাক্ট ও শিল্পের কাঁচামালের মধ্যে বিশাল অসম প্রতিযোগিতা দেখা দেবে। এতে একদিকে যেমন বিশৃংখলা দেখা দেবে তেমনি মাল খালাসের সময় সময়ক্ষেপণ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।