পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ষীয়ান কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জার ইউরেশীয় অবকাঠামো পরিকল্পনায় বেইজিংকে সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়ে বলেছেন, ওয়াশিংটনের এটা স্বীকার করা দরকার যে বিশে^র ভরকেন্দ্রের পরিবর্তন ঘটছে।
কিসিঞ্জার একটি সম্মেলনে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। এতে চীনের উপ প্রধানমন্ত্রী লিউ ইয়ানডং ছিলেন মূল প্রবন্ধকার। কিসিঞ্জার বলেন, ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্কের একমাত্র বিকল্প হচ্ছে বিশ^ব্যাপী ধ্বংস। এর জবাবে লিউ বলেন, আগামী মাসে বেইজিংয়ে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সম্মেলনের পর চীনের অর্থনীতি আরো উন্মুক্ত হবে।
কিসিঞ্জার বলেন, মধ্য এশিয়া ও চূড়ান্ত ভাবে ইউরোপের সাথে চীনকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগে আটলান্টিক থেকে বিশে^র ভরকেন্দ্রকে প্রশান্ত অঞ্চলে পরিবর্তিত করার বাস্তব ভিত্তিক গুরুত্ব রয়েছে এবং তা ইউরেশিয়ার সংস্কৃতিকে সংশ্লিষ্ট করবে যাদের প্রত্যেকে সিদ্ধান্ত নেবে যে এ অঞ্চলে কি সম্পর্ক তারা দেখতে চায়। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রেরও তাই করা উচিত।
তিনি বলেন, বহু পন্ডিতই বলেছেন যে চীন যা করছে সে রকম এক অঞ্চলে শক্তির বিকাশ কখনো এ রকম ছিল না। এবং মিথষ্ক্রিয়া উত্তেজনার সৃষ্টি করবে, এমনকি তা যুদ্ধেও রূপ নিতে পারে। এটা আমাদের কাক্সিক্ষত নয়। এটা হচ্ছে বিপর্যয়ের দিকে এগনো এবং বিশ^ সেই অবস্থায় পড়বে যা দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধ করেছিল ইউরোপে।
কিসিঞ্জার ১৯৭২ সালে নিক্সনের ঐতিহাসিক চীন সফরের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন। লিউ নিউইয়র্কে কলম্বিয়া বিশ^বিদ্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বিশ^বিদ্যালয় প্রেসিডেন্টস ফোরামে শত শত ছাত্র ও ফ্যাকাল্টির উদ্দেশে বক্তৃতা করেন। সপ্তাহব্যাপী যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে লিউ ২৮ সেপ্টেম্বর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সিনো-মার্কিন সংলাপে অংশ নেবেন। এতে কো-চেয়ার থাকবেন লিউ ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন।
লিউ বলেন, আমরা সরবরাহ দিক কাঠামোগত সংস্কার বৃদ্ধি করব যাতে উৎপাদন ভালোভাবে চাহিদা পূরণ করবে। আমরা খোলা অর্থনীতির জন্য একটি নতুন ব্যবস্থা তৈরি করার লক্ষে কাজ করছি এবং ১৮ অক্টোবর চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির ১৯ তম জাতীয় কংগ্রেসের পর তা ব্যাপক ভাবে উন্মুক্ত হবে। তিনি বলেন, চীনের উন্মুক্তকরণ কখনো বন্ধ হবে না, চীন শুধু ব্যাপকভাবে উন্মুক্ত হবে।
এ কংগ্রেসে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ক্ষমতায় তার নিয়ন্ত্রণ আরো করবেন। চীনের মহিলা উপ প্রধানমন্ত্রী লিউ প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে চীনের অর্থনীতি উন্নয়নের জন্য শি জিনপিংকে কৃতিত্ব দেন।
মার্কিন সরকার চীনের বিনিয়োগ আইন ও বিশাল বাণিজ্য ঘাটতিকে চীনের অনুকূলে একটি রাজনৈতিক ইস্যু করেছে। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা সে ব্যবস্থাকে সমর্থন করেছেন যা মার্কিন কোম্পানিগুলোকে চীনা বাজারে সহজ প্রবেশাধিকার দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।