Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেফাকে ব্যাপক অনিয়ম

চাকরিচূ্্যত কর্মচারীদের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দেশের বৃহত্তম কওমী মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। বেফাক থেকে অসহায় ও নিরীহ চাকুরিচূ্্যত কর্মীদের এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের উপর অন্যায় ও অবিচার করা হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন। বেফাক দুর্নীতি ও অনিয়মের আখড়ায় পরিণত হয়েছে বলেও এসময় বলা হয়। গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাকে রক্ষার জন্যই সাধারণ এই কর্মচারীদেরকে বলি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। এমনকি তাদেরকে কোন নোটিশ বা আত্মপক্ষ সমর্থনেরও কোন সুযোগ দেয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ি ভাঙ্গাপ্রেসে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। গত রমজানের পর মাত্র এক মাসের মধ্যে ১১ জন কর্মীকে বিভিন্ন কারণে চাকুরিচ‚্যত করা হয়েছে। তারাই ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা যোবায়ের আহমদ, মাওলানা ওহিদুজ্জামান, মাওলানা মুনির আহমদ, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা ইলিয়াস ফারুক, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, মাওলানা আবদুল্লাহ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বেফাকের সাবেক নেতৃবৃন্দের স্মৃতিচারণ করা হয়। বেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাওলানা হাজী ইউনুস রহ. মাওলানা আতাউর রহমান খান রহ., মাওলানা নুরুদ্দীন গওহরপুরী রহ. মাওলানা হারুন ইসলামাবাদী রহ. ও মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী রহ. এর আত্মত্যাগ ও পরিশ্রমকে তারা স্মরণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, অদূরদর্শিতা ও অসচেনতার দরুণ বেফাকে আজ কোটি কোটি টাকার আত্মসাতের মহা উৎসব চলছে। এতে বেফাকের মধ্যম সারির কিছু নেতৃবৃন্দ ও উচ্চ পর্যায়ের কর্মচারীরা সরাসরি জড়িত। যা আজ অফিসের ভিতরে ওপেন সিক্রেট। প্রতিষ্ঠানটি আজ দুর্নীতিবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দুর্নীতিবাজ এসব লোকজন তাদের এই অশুভ কাজটি নির্বিঘেœ সারতে যাদেরকে কাটা বা প্রতিবন্ধক মনে করে নিরীহ এসব কর্মচারীকে সামান্য অজুহাতে লঘু দোষে গুরু দন্ড দেয়ার মত ১১ জন কর্মচারীকে চাকুরিচ‚্যত করেছে। অথচ প্রকাশনা বিভাগ ও পরীক্ষা বিভাগে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি পুকুর চুরি নয় সাগর চুরির মত চলছে, বারবার তদন্ত কমিটি করে সময় বাড়িয়ে সেসব দুর্নীতিবাজদেরকে জামাই আদর করে রাখা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুসের নিকটাত্মীয় হিসাবে মুফতি নুরুল আমীন ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন এবং পিছনের সব কলকাঠি নাড়ছেন বলেও অভিযোগ করা হয়। ভেতরের উচ্চপদস্থ কর্মচারীদের সাথে তার দুর্নীতির যোগসাজেস রয়েছে বলে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে চাকুরিচ্যুতরা ৫টি দাবি করে। ১. নাটের গুরু মুফতী নুরুল আমীনকে বেফাকের সকল দায়-দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করতে হবে। ২. যে সকল কর্মীদেরকে অনৈতিকভাবে বিদায় করা হয়েছে, অনতিবিলম্বে তাদেরকে পুনঃবহাল করতে হবে। ৩. বেফাকের চেয়ারম্যান মহোদয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি উপেক্ষা করে চক্রান্ত করে পরবর্তী যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কমিটি বাতিল ও তাদের সকল সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে। ৪. সভাপতি গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্টসহ গত ৩৬ ও ৩৭ হি. অডিট রিপোর্ট অনতিবিলম্বে শূরা ও আমেলায় পেশ করতে হবে। ৫. বেফাকের অভ্যন্তরে যে সকল চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ রয়েছে, তাদেরকে অনতিবিলম্বে বহিস্কার করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বেফাকে

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ