পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদ ছিলেন বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ, দুঃখ-দুর্দশার চিত্র তুলে ধরতেন নির্মোহভাবে। এছাড়া তিনি নিবেদিতপ্রাণ ও পরিশ্রমী সাংবাদিকও ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বিশিষ্ট এই সাংবাদিকের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্মৃতি পরিষদ ওই স্মরণ সভার আয়োজন করে।
আতাউস সামাদের প্রিয় দুই ছাত্র কবি হাসান হাফিজের সভাপতিত্বে ও শওকত মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন- নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, সাবেক প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও বাংলাদেশ অবজারভার এর সাবেক নির্বাহী সম্পাদক আবদুর রহীম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, এনটিভির বার্তা প্রধান খায়রুল আনোয়ার মুকুল, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী রওনক হোসেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক মোরসালীন নোমানী, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক পারভীন সুলতানা ঝুমা, নারী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মমতাজ বিলকিস বানু। এছাড়া স্মরণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস খান, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, সাংবাদিক সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী, ডি.এম. আমিরুল ইসলাম অমর প্রমুখ।
রিয়াজ উদ্দিন আহমদ বলেন, আমি অবজারভারে যোগ দিয়ে আতাউস সামাদকে চীফ রিপোর্টার হিসেবে পেয়েছি। আমি তখন অনেকটা রচনার মত রিপোর্ট লিখতাম। সামাদ ভাই শিখিয়েছেন কীভাবে রিপোর্ট লিখতে হয়। তিনি বলেন, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে এ অঞ্চলে বিবিসির জনপ্রিয়তা আতাউস সামাদের বস্তুনিষ্ঠ রিপোর্টের কারণে। তার রিপোর্ট নিয়ে কখনো বিতর্ক হয়নি। সাংবাদিকতায় তিনি যে দৃষ্টান্ত ও অনুপ্রেরণা রেখে গেছেন তা তাঁকে বাঁচিয়ে রাখবে।
আবদুর রহিম বলেন, আতাউস সামাদ সত্য, নিষ্ঠাবান ও নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ছিলেন। একাগ্র চিত্তে কাজ করতেন। কাজে কখনো ফাঁকি দিতেন না। রিপোর্ট জমা দিয়ে যাওয়ার পর খটকা লাগলে আবার অফিসে ছুটে আসতেন। তিনি সাড়া জাগানো বহু রিপোর্ট করেছেন। তিনি বলেন, মানুষ আতাউস সামাদের ব্যবহারে মুগ্ধ হতেন। তার সাথে কাজ করে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। তার পথ অনুসরণ করতে পারলেই সম্মান জানানো হবে।
শওকত মাহমুদ বলেন, আতাউস সামাদ খবরের পাগল ছিলেন। তার সঙ্গে এক সফরে গিয়ে ফেরার সময় দেখেছি পথে পথে সংবাদের পেছনে ছুটেছেন। এনজিও ঋণের টাকা পরিশোধ না করায় ঘর ভেঙে নিতে দেখে যাত্রা পথে তিনি ছয় ঘণ্টা সংবাদ সংগ্রহে কাটিয়েছেন। তিনি বলেন, আতাউস সামাদ নিশ্চিত না হয়ে কোন খবর প্রকাশ বা প্রচার করতেন না। অথচ দুঃখজনক ঘটনা হচ্ছে হাসপাতালে তার মৃত্যুর দুই ঘণ্টা আগেই কোন কোন সংবাদমাধ্যম মৃত্যু সংবাদ প্রচার করেছে।
এম আবদুল্লাহ বলেন, নিউজের সোর্সকে সবসময় প্রাধান্য দিতেন আতাউস সামাদ। নিশ্চিত না হয়ে কোনো খবর প্রকাশ করতেন না তিনি। গণতন্ত্রের জন্য জেলে যাওয়ার ঝুঁকি নিয়েছিলেন অকুতোভয় এই সাংবাদিক। তার মৃত্যুতে ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বেঁচে থাকলে আজ যে নতজানু সাংবাদিকতা চলছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ভ‚মিকা নিতেন। গণমাধ্যমের এই দুর্দিনে তার অভাব প্রচন্ড ভাবে অনুভ‚ত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।