পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চালের পর এবার দাম বেড়েছে আটা ও ময়দার। পাইকারি বাজারে আটার ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা। একইভাবে ময়দার দাম বেড়েছে প্রতি বস্তায় ২১০ টাকা। প্রতি কেজি খোলা আটায় ৬ টাকা এবং ময়দার দাম বেড়েছে চার টাকা ২০ পয়সা। খুচরা বাজারেও আটা ও ময়দার দাম একই হারে বেড়েছে। তবে, বিক্রেতা ও ক্রেতাদের আশঙ্কা খোলা আটার দামও বাড়বে। গতকাল রাজধানীর কাওরানবাজাসহ বেশকটি বাজার ঘুরে বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে দাম বাড়ার সত্যতাও পাওয়া গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসিআই, তীর, স্বাদসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের প্যাকেটজাত আটা কেজিতে ৬ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে খুচরা দোকানদাররা বলছেন, সপ্তাহের শুরু থেকেই তারা ডিলারদের কাছ থেকে ৪ থেকে ৫ টাকা বেশি দামে আটা কিনছেন। এ কারণে বাধ্য হয়ে তারা দাম বাড়িয়েছেন।
কারওরান বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী লাকসাম স্টোরের মালিক আবুল হোসেন, ইব্রাহিম স্টোরের মালিক মো. ইব্রাহিমসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, ভুসির দাম কমে যাওয়ায় উৎপাদন পর্যায়ে আটা ও ময়দার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আটার দাম বস্তাপ্রতি ৩০০ টাকা এবং ময়দা ২১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তারা জানান, উৎপাদন পর্যায়ে ভুসি বিক্রি করে সেই টাকা সমন্বয় করে আট ও ময়দার দাম নির্ধারণ করা হয়। এখন ভুসির দাম কমে যাওয়ায় আটা-ময়দার দাম বেড়েছে। তবে বাজারে পর্যাপ্ত আটা রয়েছে বলে জানান তারা।
লাকসাম স্টোরের মালিক আবুল হোসেন বলেন, ‘জনতা, তীর ও সোনারগাঁওসহ অন্যান্য ব্র্যান্ডের আটার ৫০ কেজির বস্তা পাইকারি বাজারে আগে এক হাজার টাকায় বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৩০০ টাকায়। আগে প্রতিকেজি ছিল ২০ টাকা, এখন হয়েছে ২৬ টাকা।’ ময়দা বিক্রি হতো ৫০ কেজির বস্তা এক হাজার ৩৫০ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৫৬০ টাকায়। পাইকারিতে প্রতি কেজির দাম ২৭ টাকা থেকে চার টাকা ২০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৩১ টাকা ২০ পয়সা।
আটার দাম বাড়লো কেন জানতে চাইলে আবুল হোসেন বলেন, আমরা বেশি দামে কিনেছি, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। ভুসির দাম কমে যাওয়ায় মোকাম থেকে আটার দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আটা উৎপাদনের পর ভুসি বিক্রি করে দাম সমন্বয় করে বস্তাপ্রতি আটার দাম নির্ধারণ করা হয়। ভুসির দাম কমে যাওয়ায় আটার দাম বাড়ানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে তাই জেনেছি।
কাওরান বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী চাঁদপুর ট্রেডিংয়ের মালিক আরমান হোসেন বলেন, খুচরা বাজারে আগে খোলা আটা বিক্রি হতো প্রতি কেজি ২৪ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। প্রতি কেজিতে বেড়েছে ছয় টাকা। ময়দা আগে বিক্রি হয়েছে ৩২ টাকায়। এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।
একইভাবে দাম বেড়েছে প্যাকেটজাত আটা ও ময়দার। কাওরান বাজারে প্যাকেটজাত আটা আগে বিক্রি হতো ৩০ থেকে ৩১ টাকায়। এখন দাম রাখা হচ্ছে ৩৪ টাকা। দুই কেজির প্যাকেট আগে বিক্রি হতো ৫৮ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়।
কাওরানবাজারের কিচেন মার্কেটের মুদি দোকানি মো. মমিন বলেন, প্যাকেটজাত ২ কেজি আটার প্রতিটি প্যাকেট গত সপ্তাহে ৬০ টাকা করে বিক্রি করেছি। কিন্তু চলতি সপ্তাহে প্রতি প্যাকেট ৪/৫ টাকা বেশি দামে কিনছি। এখন তা বিক্রি করছি ৬৫ টাকা করে। তিনি বলেন, দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে ডিলাররা কিছুই বলেনি। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাড়া মহল্লার দোকানে আটার দুই কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা পর্যন্ত। ময়দার দুই কেজির প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৮৮ টাকা।
কাওরান বাজারের আনছার মাঝি স্টোরের মালিক আব্দুস সালাম বলেন, শুধু আটা বা ময়দার দামই নয়, বেড়েছে সুজির দামও। দুই হাজার ৩২৪ টাকার সুজি বস্তাপ্রতি বেড়ে হয়েছে দুই হাজার ৫২৭ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।