পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক্সিট পোলের প্রাথমিক ফলাফল অনুযায়ী সম্ভবত চতুর্থবারের মতো জার্মানির চ্যান্সেলর হতে চলেছেন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। তবে জোট গড়তে তাকে একাধিক দলের সমর্থন আদায় করতে হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হবার পর এক্সিট পোল বা বুথ ফেরত সমীক্ষার প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। সেই তালিকায় প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো ফল করেছে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের ইউনিয়ন শিবির। তারা পাচ্ছে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট। তবে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে এবারেও জোট গঠন করতে হবে। কিন্তু ম্যার্কেল-শিবিরের সবচেয়ে সম্ভাব্য সহযোগী উদারপন্থী এফডিপি দল (১০.৫ শতাংশ ভোট) যথেষ্ট আসন না পাওয়ায় সবুজ দল (৯.৫ শতাংশ)কেও সেই জোটে শামিল করার চেষ্টা করা হবে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে ম্যার্কেল-এর নেতৃত্বে তিন দলের জোট সরকার গঠিত হতে পারে।
পূর্বাভাষ অনুযায়ী নির্বাচনি ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করেছে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি দল। তারা পেতে যাচ্ছে ২০ শতাংশ ভোট। ম্যার্কেল-এর প্রতিদ্ব›দ্বী মার্টিন শুলৎস দলের জন্য ভোটারদের যথেষ্ট আস্থা অর্জন করতে পারেননি। তবে আসনের বিচারে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে এসপিডি প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা পেতে পারে।
অঙ্কের বিচারে দুই বড় দলের মহাজোট সরকার সম্ভব হলেও এসপিডি খুব সম্ভবত সেই পথ বেছে নেবে না। দুই দলই ফেডারেল জার্মানির ইতিহাসে অন্যতম খারাপ ফলাফল করেছে।
যে দলকে ঘিরে সবচেয়ে বেশি উৎকণ্ঠা ছিল, সেই চরম দক্ষিণপন্থী এএফডি দল ৫ শতাংশের বেশি জনপ্রিয়তা নিয়ে জার্মান সংসদের নিম্ন কক্ষ বুন্ডেসটাগ-এ প্রবেশ করতে চলেছে। তবে ম্যার্কেল আবার চ্যান্সেলর হলে এবং এসপিডি দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হওয়ার ফলে এএফডি তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি হয়েও প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পাবে না।
২০০৫ সালের ফেডারেল নির্বাচনে প্রথমবারের মতো চ্যান্সেলর নির্বাচিত হন আঙ্গেলা ম্যার্কেল। সেই নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিলো ৭৭.৭ ভাগ। কিন্তু হঠাৎই এর পরের নির্বাচনগুলোতে কমে যায় উপস্থিতির হার। ২০০৯ সালের ফেডারেল নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিলো ৭০.৮ শতাংশ। ২০১৩ সালে তা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৭১.৫ শতাংশে।
জার্মান পার্লামেন্টে ৫৯৮ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে সরাসরি নির্বাচন হয়েছে, আর বাকি ২৯৯টি আসনে দলীয় ভোটপ্রাপ্তির শতাংশের হিসাব অনুযায়ী বিভিন্ন দলের তৈরি করা প্রার্থী তালিকা থেকে সংসদ সদস্য হবেন। আগামী ২৪ অক্টোবর নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন বসার কথা। সেদিনই স্পিকার নির্বাচন করা হবে। এরপর কোয়ালিশন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হলে সেই জোটের সংসদ সদস্যরা আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে নির্বাচিত করবেন। সূত্র : ডয়েচে ভেলে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।