পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিপাকে উৎপাদক, ব্যবসায়ী ও হিমাগাররা
বান বর্ষণে ক্ষতির কারনে বাজারে সব ধরনের শাকস্বব্জির দাম চড়া হলেও কপাল মন্দ আলুর। যদিও সব তরিতরকারীর সাথে আলু খাপ খেয়ে যায়। এজন্য অপবাদও রয়েছে ‘‘গোল আলু’’ হিসাবে। এবার আলু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন রাজশাহীর আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা। হঠাৎ করে আলুর বাজারে দরপতন। প্রায় সব ধরনের শাকসবজি যেখানে কেজি প্রতি চল্লিশ পঞ্চাশ টাকার নীচে নয়। সেখানে আলুর দাম পাইকারী বাজারে তের টাকা। ডায়মন্ড বা কার্ডিনাল কোন জাতের আলুর দাম নেই। উৎপাদন খরচের চেয়ে প্রতিবস্তায় (৮৫ কেজি) লোকসান গুনতে হচ্ছে চার থেকে পাঁচশো টাকা। উৎপাদকরা বলছেন সব মিলিয়ে তাদের উৎপাদন খরচ হয়েছে দেড় হাজার টাকা। আর এখন বাজার দর হাজার টাকা। এমন অবস্থায় আলু চাষীরা লাভের স্বপ্ন দেখেছিল তা ফিকে হয়ে যাচ্ছে। ভাল উৎপাদন যেন কাল হয়ে দাড়িয়েছে। আর এজন্য উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা দুষছেন বাজার ব্যবস্থাপনাকে।
এবার রাজশাহীতে আলু উৎপাদন হয় আটত্রিশ হাজার হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া ভাল থাকায় উৎপাদনও হয় বেশ ভাল। লাভের আশানিয়ে উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা জেলার ২৬টি কোল্ডস্টোরেজে প্রায় ৩৪ লাখ বস্তা (৮৫ কেজিতে এক বস্তা) আলু মজুদ করেন। একজন উৎপাদক বলেন প্রতি বিঘায় আলু উৎপাদন খরচ পড়েছে প্রায় বিয়াল্লিশ হাজার টাকা। আর বিঘা প্রতি ফলন পেয়েছেন গড়ে চল্লিশ বস্তা করে। ভাল দাম পাবার আশায় তিনি সব আলু হিমাগারে রেখেছেন। হিমাগার ভাড়া, বস্তা, পরিবহন শ্রমিক সবকিছু মিলিয়ে তার বস্তা প্রতি খরচ পড়েছে দেড় হাজার টাকা। এখন বস্তায় পাঁচশো টাকা লোকসান। শুধু উৎপাদক নন অনেক মৌসুমী ব্যবসায়ী উৎপাদন মওসুমে আলু কিনে হিমাগারে মজুদ করেন। পরবর্তী আলু না ওঠা পর্যন্ত ধীরে ধীরে বের করে বিক্রি করেন। মৌসুমের শুরুতে বাজার বেশ কম থাকে। তবে ধীরে ধীরে বাড়ে। কিন্তু এবারের চিত্র ভিন্ন। শুধু উৎপাদক বা ব্যবসায়ীরা নন বিপাকে পড়েছে হিমাগার মালিকরা। তারা আলু মজুদ করার শর্তে আলু চাষীদের কোটি কোটি টাকা ঋন দিয়েছে। শর্ত আলু বিক্রি করে টাকা ফেরত। হিমাগার মালিকরা তাদের ওখানে মজুদ রাখা আলু বের করার জন্য বার বার তাগিদ দিচ্ছেন। কিন্তু বাজার দর কম থাকায় মজুদকরাীরা আলু বের করছেন না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন বিভিন্ন হিমাগারে এখনো ২৬ লাখ বস্তা আলু সংরক্ষিত রয়েছে। একজন হিমাগার মালিক জানান তার হিমাগারে ধারন ক্ষমতা একলাখ ৭২ হাজার বস্তা। এরমধ্যে মাত্র পঞ্চাশ হাজারের কিছু বেশী বস্তা আলু বের হয়েছে। বাকী সব মজুদ রয়েছে। বাজারে দাম কম, হিমাগার থেকে আলু বের করে ঋন পরিশোধের চাপের কারনে মজুদকারকরা হিমাগার মুখী হচ্ছেন না। এ অবস্থায় হিমাগার ভাড়ার পাশাপাশি ঋণ আদায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাজার চাঙ্গা না হলে এবার বিপুল পরিমান আলু হিমাগারে পড়ে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আগামী আলু মওসুম আবাদে চাষীরা আলু চাষে আগ্রহ হারাবে। আগামী দু’মাসের মধ্যে এসব আলু বিক্রি না হলে সংশ্লিষ্টরা বেশ ক্ষতির মুখে পড়বে। যার পরিমান দাড়াবে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা। এক্ষেত্রে আলু চাষী ও ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিশেষ করে যারা চড়া সুদে ঘরবাড়ি বন্দক রেখে হিমাগার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ঋণ নিয়েছেন। আলু ব্যবসায়ীরা বলেন, সব শাকসবজির দাম বাড়লেও আলুর দাম বাড়ার কোন লক্ষন নেই। তাদের দাবী সরকার যে ত্রান তৎপরতা চালাচ্ছে সেখানে আলু অর্ন্তভূক্ত করা যেতে পারে। এতে করেই আলু ব্যবসায়ীরা লোকসানের হাত থেকে বাঁচতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।