পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার ব্যুরো : সরকারের নির্দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে গতকাল থেকে পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছে সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনীর সদস্যরা গতকাল শুক্রবার থেকে উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে সেড নির্মাণ, নিবন্ধন কার্যক্রম, ত্রাণ বিতরণে শৃংখলা ফিরিয়ে আনা, সর্বপোরি পূর্ণবাসনের কাজ তদারকি শুরু করেছেন।
শুক্রবার দুপুরের দিকে সেনা সদস্যরা ত্রাণ কার্যক্রমের দায়িত্ব নিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছেন। সেনা সদস্যরা প্রথমে বিক্ষিপ্ত ভাবে যত্রতত্র অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের অভ্যন্তরে সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেন। এছাড়াও ক্যাম্পগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য আজ শনিবার সকালে ক্যাম্পের (বøক ভিত্তিক) রোহিঙ্গা মাঝিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সেনা বাহিনীর মেজর পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ। শুক্রবার দুপুরে উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌছেন সেনা বাহিনীর মেজর পর্যায়ের কয়েকজন কর্মকর্তা। তারা কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ রেজাউল করিমকে সঙ্গে নিয়ে রোহিঙ্গাদের জন্য নতুন ক্যাম্প নির্মাণের জন্য নির্দিষ্ট স্থানটি পরিদর্শন করেন।
গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক পরিদর্শন করার পর গতকাল শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) থেকে রোহিঙ্গাদের পূর্ণবাসনে মাঠে নামেন সেনাসদস্যরা। বিজিবি ও সংশ্লিষ্টরা শুরু হওয়া নিবন্ধন কার্যক্রম ১১ দিনের মাথায় সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করেছেন গতকাল। এতে করে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কার্যক্রমে নতুন করে গতি ফিরে এসেছে। সেনাবাহিনীর পুরোদমে নিবন্ধন কার্যক্রম চালিয়ে যেতেও দেখা গেছে।
এদিকে পার্সপোট অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রিদুয়ান জানান, মিয়ানমার হতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কাজ গতকাল শুক্রবার থেকে ৫০টি বুথ খোলা হয়েছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, নিবন্ধনের কার্যক্রম শেষ করতে অধিক ৪/৫ মাস লাগতে পারে। এ পর্যন্ত ১১ হাজার রোহিঙ্গাকে বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন সম্পন্ন ও পরিচয় পত্র সরবারহ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর থেকে রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্টিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে নিবন্ধন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) ও পাসর্পোট অধিদপ্তর। এই প্রকল্পের ডেপুটি পরিচালক লেঃ কর্নেল শফিউল আলম জানান, নিবন্ধনের সময় প্রত্যেকের দশ আঙ্গুলের চাপ, ছবি, বাংলাদেশে প্রবেশের সময় এবং মিয়ানমারে তাদের ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা হবে। দেওয়া হবে পরিচয় পত্র।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে কুতুপালং ক্যাম্প ও বালুখালী ক্যাম্পে ৩০টি বুথে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন কাজ চলতে দেখা গেছে। আঙ্গুলের ছাপ, ছবি তোলা ও তথ্য সংরক্ষণ করতে একেকজন রোহিঙ্গার জন্য গড়ে তিন থেকে চার মিনিট সময় প্রয়োজন বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।