পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন আছে, বাস্তবে প্রয়োগ নেই। আইনটি হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও মজুদবিরোধী আইন। ওই আইন প্রয়োগ ও বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলায় জেলায় মনিটরিং কমিটি আছে। কিন্তু বাস্তবে মনিটরিং হয় নামকাওয়াস্তে। চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বাড়লে এবং হৈ চৈ শুরু হলে সংশ্লিষ্টদের তৎপর হতে দেখা যায়। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, ১৯৬৪ সালের এগ্রিকালচারাল প্রডিউস মার্কেটস রেগুলেশন এ্যাক্ট ও ১৯৮৫ সালের সংশোধিত বাজার নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৬(১) ও ১৬(২) ধারামতে কৃষিজাত ও ভোগ্যপণ্যের ক্রয়মূল্য, বিক্রয়মূল্য ও মজুদ পরিস্থিতির তদারকির ক্ষমতা রয়েছে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের বাজার কর্মকর্তাদের। তারা সাধারণত আইনটির প্রয়োগ করেন না। তাছাড়া ১৯৫৬ সালের মজুদবিরোধী ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরিস্কারভাবে কতটুকু চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ করা যাবে তার সুনির্দ্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। আইনটিতে উৎপাদক, ভোক্তা ও বিক্রেতা উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণেও রয়েছে ব্যবস্থা। তাছাড়া এন্টি হোর্ডিং এ্যাক্ট ও এ্যাসেনসিয়াল কমোডিটিজ এ্যাক্ট মোডিফাই করে ২০১১ সালে ১১৩ নম্বর এসআরওতে বিশেষ করে মজুদবিরোধী আইনটি আরো কঠোর করা হয়। সেটিও কার্যকর হয় না।
আইনে উল্লিখিত রয়েছে, আমদানীকারক ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা সর্বোচ্চ ৩শ’ মেট্রিক টন চাল ৩০দিন, মিলাররা মিলিং ক্যাপাসিটির ৫গুন ধান ৩০দিন ও চাল ২গুন ১৫দিন মজুদ রাখতে পারবে। এর বাইরে অতিরিক্ত মজুদ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সুত্র জানায়, যশোর, কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানের অটো রাইস মিলে শ’ শ’ নয়, কোন কোন বড় বড় অটো রাইস মিলে হাজার হাজার টন চাল বিভিন্ন সময় মজুদ থাকে। কুষ্টিয়া ও নওয়াপাড়ার প্রভাবশালী ব্যক্তির অটো রাইস মিলে প্রশাসন কখনো উঁকি মেরে দেখে না। খাদ্য অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্রে জানা গেছে, দেশের কোথাও সাধারণত এই আইনটির প্রয়োগ হয় না। সুত্রমতে, মুক্ত বাজার অর্থনীতির কোপানলে ওইসব আইন কার্যত অকার্যকর হয়ে পড়েছে। সেজন্য ক্রমাগতভাবে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। জেলায় জেলায় বাজার নিয়ন্ত্রণ কমিটি ও মনিটরিং সেল আছে। যশোর, খুলনা, মাগুরা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া ও সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোথাও কোন কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। চালসহ ভোগ্যপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি হলে তখন উপরের নির্দেশে তড়িঘড়ি করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাজারে নামেন। তাছাড়া কোন সময় বাজারে নামার রেকর্ড নেই। আইনটির প্রয়োগ কাগজ কলমেই সীমাবদ্ধ বলে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
বাজার কর্মকর্তারা বেশীরভাগক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলার বাজারে গিয়ে মূল্য তালিকা টাঙানো হয়েছে কিনা, ক্রয় বিক্রয় রশীদ ব্যবহার হচ্ছে কিনা, কোন পণ্যের কত মূল্য-সাধারণত এটি দেখে থাকেন। মাঠপর্যায়ের একজন বাজার কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, মুক্ত বাজার অর্থনীতিতে এর বাইরে সাধারণ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের সুযোগ বাজার কর্মকর্তাদের নেই। তিনি চালের মূল্য এতটা বৃদ্ধির কোন যৌক্তিকতা নেই বলে উল্লেখ করেন। তার মতে, মজুতদার, মুনাফালোভী ও সিন্ডিকেটদের কারসাজি চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় মুনাফালোভীরা কোন নিয়ম নীতি মানে না। তারা যেটি মূল্য নির্ধারণ করবে সেটিই যেন আইন। সুত্র জানায়, জেলা বাজার কর্মকর্তারা শুধু কোন জিনিসের কি মূল্য তার তালিকা করে সংশিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানোর রুটিনওয়ার্ক করে থাকেন। এর বাইরে কোন দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায় না। কিভাবে এবং কেন মূল্য বৃদ্ধি হলো, তার কারণ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করে চিহ্নিত করার চেষ্টা করেন না বলে অভিযোগ।
খাদ্য অধিদপ্তর, বাজার কর্মকর্তা ও মনিটরিং সেল সুত্র জানায়, দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু মাঠে কার্যকর হচ্ছে না। সর্বশেষ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসন খাদ্য বিভাগ থেকে মিলারদের তালিকা নিয়ে মাঠে নেমেছে। তারপরেও সংশয় রয়েছে, ঢালাও অভিযান চালিয়ে চালের মূল্য কমানো যাবে কিনা। কারণ বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে পরিস্কার ধারণা পাওয়া গেছে, সরকারের সংশিষ্ট বিভাগ চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সবখানে সমানতালে আন্তরিকতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যার কারণে মজুদদারদের দাপট বেড়েই চলেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।