Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে হাইকোর্টের রুল

প্রকাশের সময় : ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নাগরিকদের আঙুলের ছাপ নিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনের সিম নিবন্ধন কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি গ্রহণ করে বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগির হোসেন ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের বেঞ্চ গতকাল সোমবার এই রুল জারি করেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জাতীয় পরিচয়পত্র অনুবিভাগের ডিজি, মোবাইলফোন অপারেটরগুলোসহ ১৩ বিবাদীদের এক সপ্তাহের মধ্যে এর জবাব দিতে বলেছেন আদালত। এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৪ মার্চ দিন ঠিক রেখেছেন হাইকোর্ট।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রমের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে এসএম এনামুল হক নামে এক আইনজীবী গত ৯ মার্চ হাইকোর্টে এই রিট আবেদন করেন, যা গতকাল সোমবার শুনানির জন্য ওঠে।
রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এ ওয়াই মশিউজ্জামান ও ব্যারিস্টার মুক্তাদির রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায় ও জেসমিন সুলতানা।
গত ১৬ ডিসেম্বর সিম নিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ায় আঙুলের ছাপ না দিয়ে এখন আর নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন চলছে, যা এপ্রিলের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনার কথা বলে আসছেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী। ভুয়া পরিচয়ে অথবা নিবন্ধন ছাড়া সিম কিনে নানা অপরাধে ব্যবহারের অভিযোগ বাড়তে থাকায় সম্প্রতি গ্রাহকদের তথ্য যাচাই ও সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেয়া হয়। এরপর মোবাইল গ্রাহকদের সিমের তথ্য যাচাইয়ে শুরু হয় জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য ভা-ার ব্যবহারের প্রক্রিয়া।
আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী মুক্তাদির রহমান বলেন, “গত ১৩ ডিসেম্বর বিটিআরসি জানায়, সব সিম নিবন্ধন, অ্যাক্টিভেশন ও ভেরিফিকেশনের জন্য আঙুলের ছাপ দিতে হবে। দেশের ছয়টি মোবাইলফোন অপারেটরের মধ্যে পাঁচটির মালিকানাই বিদেশিদের হাতে। দেশের ৯৭ শতাংশ গ্রাহকের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে। আমরা জানি না, এসব তথ্য নিয়ে কীভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।” ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরপেক্ষতা লঙ্ঘিত হতে পারে- এই আশঙ্কা থেকে এই রিট আবেদন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “তৃতীয় পক্ষের বদলে যদি সরকার ওই তথ্য নেয়, তাহলে আমাদের আপত্তি নেই।”



 

Show all comments
  • আব্দুল হালিম ১৫ মার্চ, ২০১৬, ১১:৫৪ এএম says : 0
    আমার তো মনে হয় আঙ্গুলে ছাঁপ নেয়ার দরকারই পড়ে না।সরকার এমন একটা সিদ্ধান্ত নিলে কেমন হয় যে, সরকারের পক্ষ থেকে একজন কর্মকর্তা প্রতি ইউনিয়নে নিয়োগ দেয়া হোক। আর প্রত্যেক সিম ব্যবহারকারী তার সিম, আইডি কার্ডের মূল কপি ও ফটোকপি এবং ছবি নিয়ে যার যার ইউনিয়নের ঐ কর্মকর্তার কাছে যাবেন। উনি দেখবে যে, সিম ব্যবহারকারী আর যে নামে সিম রেজিষ্ট্রেশন করা তার সব তথ্য মিল আছে কিনা। যদি মিল থাকে তাহলে তো আর নতুন করে রি-রেজিষ্ট্রেশন করার দরকার নাই। আর মিল না থাকলে ঐ ব্যক্তির নামে সাথে সাথে রেজিষ্ট্রেশন করে দিয়ে দিল। আর ঐ কাজের জন্য অন্তত এক বছর সময় দেয়া হোক।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Joynul islam ১৫ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৫৯ এএম says : 0
    বায়োমেট্রিক পদ্বতিতে সিম রেজিষ্ট্রেশনের কারনে গ্রাহকদের হয়রানী করা হচ্ছে।মনে করেন আমার Nid কার্ড নেই।আমি আমার পিতার Nid দিয়ে সিম রেজিষ্ট্রেশন করলাম।এখন কয়েক দিন পর আমার পিতা মারা গেলেন।এখন আমি কি করব।এখন দেখা গেল উনি বিদেশ চলে গেলেন।এখন আমার সিমটি হেরে গেলো এখন সিমটি রিপ্লেস করতে উনার আংগুলের ছাপ লাগবে।এখন ১টি সিম রিপ্লসের জন্ উনি কি ভাবে বিদেশ থেকে আসবেন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনে হাইকোর্টের রুল
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ