Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

সার্বিয়ার জেনারেলদের মতো হেগে মিয়ানমার জেনারেলদের বিচার হবে -রাশেদ আহমেদ চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

কসোভোতে জাতিসংঘের সাবেক অন্তবর্তীকালীন মিশনের প্রশাসক প্রখ্যাত কূটনীতিক রাশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, বসনিয়া জাতিগত যুদ্ধ বন্ধে জাতিসংঘ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। এমনকি গণহত্যার জন্য দায়ী সার্ব জেনারেল মিলোশেভিচ ও কারাদিচকে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছিল। আর এটা সম্ভব হয়েছিল আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের সরাসরি হস্তক্ষেপের কারণে। মিনয়ানমারের জেনারেলদের বিচারের আওতায় আনতে হলে পশ্চিমা দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে বাংলাদেশকে। টিভিএনএ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বসনিয়ায় মুসলমানদের ওপর গণহত্যা বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। জাতিসংঘ এবং ন্যাটো আলাদা আলাদাভাবে শান্তি স্থাপনে কাজ করেছিল। এখন মিয়ানমারের রাখাইনে মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে দেশটির সেনাবাহিনী। মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে তারা। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ বিষয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না। অন্যদিকে সু চি’কে দেওয়া সম্মাননা স্থগিত করেছে যুক্তরাজ্য। দেশটির প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে মিয়নমারের গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছেন। এখন বাংলাদেশ সরকারের উচিত যুক্তরাজ্যকে সাথে নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মিয়ানমারে গণহত্যার জন্য দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা।
সাবেক রাষ্ট্রদূত রাশেদ আহমেদ কসোভোতে দায়িত্বপালনের সময় তার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে মিডিয়াকে বলেন, বিশ্বনেতারা সোচ্চার হলে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়বে। কিন্তু মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যা হচ্ছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে শুধু উদ্বেগ আর নিন্দাই যথেষ্ট নয়; শান্তিও নিশ্চিত করতে হবে। জাতিসংঘই বলছে, মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সামরিক-বেসামরিক লোকজন জাতিগত নিধন চালাচ্ছে। এই জাতিগত নিধনযজ্ঞে ইতিমধ্যে কয়েক’শ লোক প্রাণ হারিয়েছে। এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে চার লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অগ্রহ নেই। অথচ এই যুক্তরাষ্ট্রই ১৯৯৫ সালে বসনিয়ায় এবং ২০১৪ সালে ইরাকের কুর্দিস্তানে গণহত্যা বন্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিয়েছিল। মিয়ানমারের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তাদের নাম কালো তালিকায় তুলতে হবে। তাদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে। গত মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে সু চি যা বলেছেন তাতে বাস্তবতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। বরং তিনি আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়কে বিভ্রান্ত ও বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। আনান কমিশন তারাই গঠন করেছিল। এখন আনান কমিশনের সুপারিশ বস্তবায়নে তালবাহানা করছে নোবেল জয়ী সু চি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ