পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আজিবুল হক পার্থ : নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী হয়। এছাড়া সাংবিধানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া ক্ষমতার মধ্যেও নির্বাচনী কাজে যেকোনো সময় প্রয়োজনে নিজেদের অধীনে নিতে পারে। প্রচলিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য প্রয়োজনমতো ব্যবহারের ক্ষমতা রয়েছে। চাইলে সরকার তাদের কাজে সহযোগিতা করতে বাধ্য। তবু প্রচলিত সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারে দ্বারে হাজির হচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এতে ইসির নিজেদের ক্ষমতার ব্যবহার ও দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গেছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন ইউনিয়ন পরিষদের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠক করেছেন ৩ মার্চ। এর ১০ দিন পর পুলিশ, বিজিবি, আনসার, কোস্টগার্ড ও র্যাব সদর দপ্তর তিন দিন পরিদর্শনসূচি রেখেছেন নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী। যেখানে সিইসি সবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন সেখানে। এভাবে তার আলাদা আলাদা করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যাওয়া নিয়ে কমিশনে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, প্রয়োজন হলে ইসি শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে আরেক দফা বৈঠকও করতে পারেন। তা না করে উল্টো একজন কমিশনার গিয়ে সদস্য মোতায়েনের বিষয়ে অবহিত হওয়ার নজির প্রথম। পরিস্থিতি উন্নতি করতেই হয়ত এমন হতে পারে বলেন তারা।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, নির্বাচন কমিশন নিজেই তো বাহিনীগুলোর প্রধানদের ডাকতে পারেন। সেখানে তিনি কোন উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন, তা পরিষ্কার না হয়ে কিছু বলা যাবে না।
গত রোববার এ নির্বাচন কমিশনারের সফরসূচির জারি করেছেন জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব মো. শাহ আলম। এতে বলা হয়, ১৪-১৬ মার্চ ইউপি সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েনের বিষয়ে অবহিত হওয়ার জন্যে এসব দপ্তর পরিদর্শন (ভিজিট) করবেন।
সুচিতে দেখা যায়, সোমবার বিকাল তিনটায় পুলিশ সদর দপ্তরে উপস্থিতি, মঙ্গলবার ১১ টায় বিজিবি সদর দপ্তরে, তিন টায় আনসার সদর দপ্তরে, বুধবার ১১ টায় কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে ও তিন টায় র্যাব সদর দপ্তরে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অংশ হিসেবে ডেপ্লয়মেন্ট প্ল্যান-এর বিষয়ে অবহিত হবেন নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী। গতকাল দুপুর ২টায় নির্বাচন কমিশন থেকে বের হয়ে পুলিশ সদর দপ্তরে যান তিনি। সেখান থেকে বেলা ৫টার দিকে বাসায় ফিরেন তিনি বলে জানা গেছে।
এদিকে আইন-শঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েনের বিষয়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদর দপ্তরে পরিদর্শন করছেন নির্বাচন কমিশনার জাবেদ আলী। তবে তার এই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদর দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘোরা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা। উঠেছে সমালোচনার ঝড়ও।
দুপুরে নিজ কার্যাালয়ে বসে একজন নির্বাচন কমিশনার সফরসূচি দেখেও বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের ডেকে পাঠানোর ক্ষমতা রাখে ইসি, সেখানে তাদের দ্বারে দ্বারে যাওয়াটা সমীচীন হচ্ছে না। এটা নির্বাচন কমিশনের ইজ্জতেরও প্রশ্ন।
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তরা জানান, যেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের ডেকে ইসি বৈঠক করতে পারেন সেখানে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠিানের একজন কমিশনারের এভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারে দ্বারে যাওয়াটা সমীচীন হচ্ছে না। জাবেদ আলীর এই দপ্তর ভিজিটে ইসির অসহায়ত্বই প্রকাশ বলে মনে করছে তারা।
শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে নির্বাচন কমিশনের আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমন্বয় বৈঠকের পর আলাদাভাবে সদর দপ্তরে গিয়ে নির্বাচন কমিশনারের এমন করে অবহিত হওয়ার রীতি আগে দেখেন নি বলে জানান ইসি কর্মকর্তারা।
জাতীয় সংসদ, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদ ও পৌর নির্বাচনের সমন্বয় বৈঠকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর অধিকাংশ শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এনইসি মিলনায়তনের ইউপি নির্বাচনের সভায় অনেকে তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছিলেন। তবে ৩ মার্চ আইন শৃঙ্খলা বৈঠকে অনেক শীর্ষ কর্মকর্তা উপস্থিত না থেকে প্রতিনিধি পাঠানোয় নির্বাচন কমিশনারের এমন পরিদর্শন হতে পারে বলে ধারণা কর্মকর্তাদের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।