পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এম বেলাল উদ্দিন রাউজান থেকে : চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর ৩য় সমাবর্তন গতকাল (সোমবার) বেলা ২টায় চুয়েট কেন্দ্রীয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট ও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ৩য় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যেদিয়ে আমাদের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ হয়। বন্ধ হয় মানুষের বাক মতামত ও চিন্তার স্বাধীনতা। নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। সভাপতির বক্তেব্য প্রেসিডেন্ট বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনাতার সুবর্ণ জয়ন্তীকে সামনে রেখে একটি তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান ভিত্তিক সুখী সমৃদ্ধ দেশ গঠনে (রুপকল্প-২০২১) ঘোষণা করেছেন। এই রুপকল্প বাস্তবায়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন, আগামী ২০৫০ বা ২১০০ সালে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেমন হওয়া উচিত বা অবস্থান কোন স্তরে পৌঁছাবে তা বিবেচনায় রেখেই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টিকেও যথাযতভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশ্বায়নের এই যুগের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে নিজেদের জ্ঞান ও দাতাকে আর্ন্তজাতিকমানে উন্নীত করতে হবে। গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সেবা, সততা, নিষ্ঠা ও দেশপ্রেম দিয়ে এই সনদের মান সমুজ্জল রাখতে হবে। তোমাদের এই অর্জনে দেশের মানুষের অনেক অবাদান রয়েছে। নিজেদের মেধা, মনন ও কর্মে মাধ্যমে তা পরিশোধ করবে। কর্মক্ষেত্রে পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাক না কেন মাতৃভূমি এবং দেশের জনগণের কথা কখনো ভুলবে না।
সমাবর্তন বক্তা সাবেক তত্ত্ববাধায়ক সরকারের উপদেষ্ট ও এশিয়া প্যাসিপিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ বন্যা, ঘুর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে যতির যতির পরিমাণ কমিয়ে সারা বিশ্বে প্রসংশিত হয়েছে। ভূমিকম্পের অতি হৃাসের লক্ষে অতি দ্রুত এই ধরনের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা জরুরি।
চুয়েটের গুরুত্ব উপলব্দি করে ভূমিকম্প গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করছে। এই মহাপরিকল্পনা প্রনয়ণ এবং বাস্তবায়নে চুয়েটের শিক্ষার্থী, প্রকৌশলী ও স্থপতিরা উল্ল্যেখযোগ্য অবদান রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, শিক্ষার্থী প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর থেকে উচ্চমানের চিন্তা নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ব্যাপারে আমরা পিছিয়ে রয়েছি। শিক্ষার্থীদের যথোপযোক্ত উন্নয়নের জন্য গবেষকদের মান উন্নয়নের দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া বক্তব্য দেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি, চুয়েটের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের পুরকৌশল অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ হযরত আলী, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. আশাতোষ সাহা, যন্ত্রকৌশল অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, তরিৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন ড. মাহমুদ আবদুল মতিন ভুইঁয়া, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন ড. মোস্তফা কামাল ও রেজিস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফারুকুজ্জামান চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, এবারের সমাবর্তনে স্নাতকে ১ হাজার ৫৬৪ জন, মাস্টার্সে ৩২ জন, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা ৪ জন এবং পিএইচডিতে ৩ জনকে ডিগ্রি দিয়েছে চুয়েট। এর মধ্যে গোল্ড মেডেল পেয়েছে ৪ জন। সমাবর্তনে এবারেই প্রথম প্রেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়াররিং (পিএমই) বিভাগ থেকে প্রকৌশল ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।