পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ব্যালটের মাধ্যমে দেশের জনগণ আর ক্ষমতা পরিবর্তনের সুযোগ পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। গতকাল সোমবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ লোপাটকারীদের জনসম্মুখে হাজির করার দাবিও জানান সাবেক এই মন্ত্রী। জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে দুপুরে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরাম।
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এদেশে নির্বাচনের মাধ্যমে কোনো সরকার পরিবর্তন হবে না। আর এদেশে রাজপথে রক্ত না দিলেও ক্ষমতায় পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জীবন দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েই তরুণদের রাজপথে নামতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮০০ কোটি টাকা লুটপাটের সাথে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-এমপিরা জড়িত মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লুট হওয়ার পর সরকার গুজব ছড়িয়ে দিয়েছেন যে, এর সাথে হ্যাকাররা জড়িত। পরে যত দিন যাচ্ছে ততই তস্করদের মুখোশ উন্মোচন হচ্ছে। আর এর সাথে যদি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সদস্যদের নামের তালিকা দেখা হয় তাহলে প্রকৃৃত লুটপাটকারীদের নাম বের হয়ে আসবে। আর আমরা এই লুটপাটকারীদের জনসম্মুুখে দেখতে চাই।
দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি চলছে মন্তব্য করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, নারী নির্যাতন, শিশু হত্যাসহ সকল দুর্নীতির সাথে ক্ষমতাসীনদের একজন করে ব্যক্তি জড়িত। আর তারাই প্রকৃৃত অপরাধীদের বাঁচিয়ে রাখছেন। যার ফলে প্রকৃত অপরাধীর বিচার হচ্ছে না।
জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে সাবেক সেনাপ্রধান হাফিজ বলেন, কোনো পাগলই বলবে না দেশে কোনো নির্বাচন কমিশন আছে। আর এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অসম্ভব। কারণ তারা কোনো কাজেই ‘ইয়েস বা নো’ বলে না।
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, উন্নয়নের কথা বলে জনগণের সাথে আর মিথ্যাচার করবেন না। কারণ দেশে এ পর্যন্ত কোনো উন্নয়ন হয়নি। উন্নয়নের কথা শুধুই আপনাদের মুখে।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মো. আতিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপির কর্মী আবু নাসের মুহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ প্রমুখ বক্তব্যে রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।