পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন মন্ত্রণালয়ের ভুল নীতিই দায়ী
সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের পরও কমছে না চালের দাম। এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর পাইকারি বাজারে মোটা চালের দাম কেজিপ্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে নিম্নআয়ের মানুষের। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যা পরবর্তী সময়ে চালের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়ে। রোহিঙ্গাদের আগমনে সেই চালের বাজারে আগুন লেগেছে। বাজারে ৪০-৪২ টাকার মোটা চালের দাম বেড়ে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা হয়েছে। বর্তমানে ৫২ টাকার কমে কোনো চাল নেই বাজারে। সরকারের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপের কথা বলা হলেও কোনো কাজে আসছে না। অভ্যন্তরীণ চাল সংগ্রহে ব্যর্থ হয়ে সরকার দৃষ্টি দেয় আন্তর্জাতিক বাজারে। সেখানেও বিভিন্ন বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ ভারত থেকে সরকারি পর্যায়ে (জি টু জি) চাল আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও এখনও ইতিবাচক কোন সরা পাওয়া যায়নি। একই পরিণতি হয় থাইল্যান্ডের ক্ষেত্রেও। চাল মজুদ নিয়ে সঙ্কটের অন্যতম কারণ এটি বলে খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে ১০ লাখ টন চাল আমদানির লক্ষ্য নিয়ে ভিয়েতনামে গেলেও চুক্তি হয়েছে মাত্র আড়াই লাখ টনের। আর মিয়ানমারেও ১০ লাখ টন চাল কিনতে চেয়ে আশ্বাস পাওয়া গেছে তিন লাখ টনের। তবে মিয়ানমার থেকে ৪৪২ মার্কিন ডলার দরে এক লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করেছে সরকার। কত দিনের মধ্যে চাল আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্য মন্ত্রী বলেন, কেবল সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন পেলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন লাগবে। এরপর এলসি খোলা হবে। তারপর চাল আসবে। এছাড়া চালের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ (মঙ্গলবার) সচিবালয়ে মিল মালিক, আমদানিকারক ও আড়তদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন খাদ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীরও উপস্থিত থাকবেন। যদিও সব মিলিয়ে ১৬ লাখ টন ধান, চাল ও গম সংগ্রহের যে ঘোষণা খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম দিয়েছিলেন, তার ৭৮ শতাংশই অর্জিত হয়নি। ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ ও আমদানির মাধ্যমে ধান, চাল ও গম সংগ্রহ করা গেছে চার লাখ টনের কিছু বেশি। এদিকে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ অভিযানের প্রাথমিক সময়সীমা এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। অপরদিকে চালের বাজার থেকে সুবিধা নিতে কেউ অরাজকতা ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহিদুল হক।
সাবেক খাদ্য সচিব আবদুল লতিফ মন্ডল বলেন, সঙ্কট ও সমস্যার শুরুতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারাটা খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বড় ভুল। তিনি বলেন, মজুদ শেষ হয়ে এলেও আমদানির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বিলম্বে। এছাড়া উৎপাদনের বিষয়ে কাগুজে তথ্যের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভর করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সব বিষয় একত্রিত হয়ে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বলা যায়, পরিস্থিতি সামাল দিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ যখন চাল নিয়ে সঙ্কটে তখন ভারতসহ প্রতিবেশি দেশগুলো চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা প্রতিবেশি দেশ হয়েও এক্ষেত্রে ব্যবসায়িক ভাবমূর্তি দেখিয়েছে। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।
সূত্র মতে, গত কয়েক বছরে ধানের বাম্পার ফলনে বাংলাদেশ চালের ক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়। কিন্তু এ বছর আকস্মিকভাবে হাওর এলাকায় পাহাড়ি ঢলে বিপুল এলাকার বোরো জমি তলিয়ে যাওয়ায় এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অকাল বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, বøাস্টরোগ, পাহাড়ি ধস ও সা¤প্রতিক বন্যা প্রভৃতি কারণে চালের বাজার দরে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
সরকারের হিসেব অনুসারে, এবার চালের উৎপাদন কমবে প্রায় ৮ লাখ টন। কিন্তু কোন সংকট যেন না হয়, সেজন্য বিদেশ থেকে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির পথ বেছে নিতে হয়েছে। এরই মধ্যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অনুপ্রবেশ ঘটেছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতীয় কোনো পরিকল্পনা না থাকায় আর্থিকভাবে নতুন করে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধান না হলে দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে। বর্তমানে চালের দাম বাড়ার পেছনে রোহিঙ্গা সমস্যার সম্পর্ক রয়েছে।
রাজধানীর বাবুবাজার ও বাদামতলী এলাকার পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগেও এসব বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয়েছিল ৪১-৪২ টাকায়। একই চাল গতকাল বিক্রি হয় ৫০-৫২ টাকা কেজিদরে। অন্যান্য চালের দামও প্রায় একই হারে বেড়েছে বলে জানান এ বাজারের ব্যবসায়ীরা।
বাবুবাজার ও বাদামতলীতে পাইকারি পর্যায়ে মানভেদে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৫৮-৬০ টাকায় বিক্রি হলেও এক সপ্তাহ আগে দাম ছিল ৫২-৫৩ টাকা। একইভাবে এক সপ্তাহ আগে ৫৮-৬০ টাকা কেজিদরের নাজিরশাইল চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৮-৭০ টাকায়। এছাড়া ৪৬-৪৭ টাকার বিআর-২৮ চাল এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৬ টাকা কেজি দরে।
বাদামতলী এলাকার আড়তদাররা জানান, বাজার এখন অটোরাইস মিলারদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তারা যে দাম বেঁধে দিচ্ছেন, সে দামেই চাল বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাদামতলী-বাবুবাজার চাল আড়তদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি রফিকুল ইসলাম বলেন, তিন-চারদিন ধরে বড় চালকল মালিকরা সরবরাহ আদেশ নিচ্ছেন না। তবে হাসকিং মিল মালিকরা এখনো চাল সরবরাহ দিচ্ছেন।
পুরান ঢাকার বংশাল থানার মাজেদ সরদার সড়কের বাসিন্দা আইয়ূব আলী জানান, গত সোমবার বাবুবাজার থেকে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা বিআর-২৯ চাল ২ হাজার ৪৫০ টাকায় কেনেন তিনি। এ হিসাবে প্রতি কেজির দাম পড়ে ৪৯ টাকা। মাত্র পাঁচদিনের ব্যবধানে গতকাল একই চাল বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৬৫০ টাকায়। এ হিসাবে কেজিপ্রতি দাম পড়ে ৫৩ টাকা। অর্থাৎ পাঁচদিনেই দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪ টাকা। এক সপ্তাহের হিসাবে দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা।
পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা পর্যায়েও ভোক্তাদের বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোয় প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হয় ৫০-৫৪ টাকায়। এক সপ্তাহ আগেও এ চাল বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ৪২-৪৫ টাকায়। অর্থাৎ টিসিবির হিসাবেই এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা।
চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীর ভুইয়া বলেন, মোটা চালের দাম ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় নিম্নআয়ের লোকজন কষ্টে আছে। সরকার চাল আমদানি শুল্ক ২ শতাংশে নামিয়ে আনলেও বাজার নিয়ন্ত্রণে আসছে না। যে কোনো মূল্যে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
এদিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে খোলাবাজারে চাল বিক্রি কর্মসূচি শুরু করছে সরকার। যদিও বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় ওএমএসের আওতায় ১৫ টাকা কেজিদরের চালের দাম বাড়িয়ে ৩০ টাকা করেছে সরকার।
চালের খুচরা বিক্রেতা আব্দুল হক জানান, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে চালের দাম। কেন চালের দাম বাড়ছে জানতে চাইলে আব্দুল হক বলেন, মিল মালিকরা চালের দাম বাড়াচ্ছে।
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, গতকাল ঢাকায় সরু চাল কেজিপ্রতি ৬২ থেকে ৬৮ টাকা, সাধারণ মানের নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, উত্তম মানের নাজিরশাইল ও মিনিকেট ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা, সাধারণ মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকা, উত্তম মানের পাইজাম ও লতা চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, স্বর্ণা ও চায়না ইরি চাল প্রতিকেজি ৫০ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ সংস্থাটির হিসাব মতে, গত সপ্তাহেই গরীবের চাহিদা মিটানো মোটা চালের দাম ছিল ৪৪ থেকে ৪৬টাকা। আর তাই সপ্তাহের ব্যবধানেই মোটা চালের দাম বাড়লো ১০টাকা।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি পরিস্থিতি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের (২০১৭-১৮) ১ জুলাই থেকে ১৮সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চাল আমদানি হয়েছে ৭লাখ ৫৩ দশমিক ১৭ হাজার টন। যেখানে গত অর্থবছরে (২০১৬-১৭) মোট আমদানির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার টন। সে হিসেবে এই দুই মাসের কিছু বেশি সময়ে গত অর্থবছরের প্রায় ৭ গুণ পরিমাণ চাল আমদানি করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ১৭ সেপ্টেম্বরের বাজার দরে দেখা গেছে, মোটা চালের বর্তমান বাজার দর পাইকারি প্রতি কেজির দাম ৪৮ থেকে ৫০ এবং খুচরা মূল্য ৫০ থেকে ৫২টাকা। গত সপ্তাহেই এই দাম ছিল পাইকারী ৪৩ থেকে ৪৪ এবং খুচরা মূল্য ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। যদিও কোরবানি ঈদের আগেই পাইকারি বাজারে এই চালের দাম ছিলো ৪১ থেকে ৪২ টাকা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে প্রায় ১২টাকা।
মিল মালিকদের কথামতে, দুই দফা বন্যার কারণে ধান নষ্ট হয়েছে। এ কারণে চালের দাম বাড়তি। খুচরা বিক্রেতারা জানান, আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলেই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতা ফারুক বলেন, সামনে চালের দাম আরো বাড়বে।
এদিকে কাওরান বাজারে চাল কিনতে আসা বাদশা মিয়া জানান, এক সপ্তাহ আগে যে চাল কিনেছেন ৫৭ টাকায় এখন তা ৬৫ টাকা। অভিমানের সুরে বাদশা বলেন, কারে কি বলবো।
ঈদের আগে কেজিপ্রতি দুই-তিন টাকা কমলেও আবার বাড়ার কারণ সম্পর্কে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী বলেন, মজুদ কম হওয়া এবং বর্তমান রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে থাকায় চালের চাহিদা বেড়েছে। এদিকে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে চাল রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। যা দেশের চালের বাজারে প্রভাব ফেলবে মনে করছেন চাল ব্যবসায়ীরা। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নির্লিপ্ততার সুযোগে মুনাফালোভীদের অপতৎপরতা বেড়ে গেছে। তারাই অবৈধ মওজুদ ও নানা অজুহাতে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে বাজারকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। যা স্বল্প আয়ের মানুষদের জীবনযাত্রাকে কঠিন চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উচিত বাজারে বড় আকারে ওএমএস চালু করা, নিজেদের মজুত বাড়ানো এবং বেসরকারি খাতে চাল আনতে সহায়তা করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।